আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
408 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (67 points)
edited by
১. তালাকের পর তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী কি আগের স্বামীর গায়েরে মাহরাম এবং পর্দার বিধান কি?

২. তালাকের পর তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর কারণে যাদের সাথে বিয়ে করা হারাম ছিল এবং মাহরামে পরিণত হয়েছিলেন তাদের সাথে বিয়ে করা কি জায়েজ হবে এবং তাদের সাথে কি পর্দা করা লাগবে?

যেমন- তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর মা, দাদী, নানী, অন্য স্বামীর ঔরসজাত কন্যা ইত্যাদি।

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
তিন তালাক বা এক তালাক বায়েনের পর তালাকের পর তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী পূর্বের জন্য স্বামীর গায়েরে মাহরাম হিসেবে সাব্যস্ত হবে। তখন গায়রে মাহরাম মহিলার সাথে যেভাবে পর্দা করতে হয়, ঠিক সেভাবে পর্দা করতে হবে। বেগানা গায়রে মাহরাম মহিলার হাতকে স্পর্শ না করতে কটুর হুশিয়ারী হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে .....

ﻋﻦ ﻣَﻌْﻘِﻞَ ﺑْﻦَ ﻳَﺴَﺎﺭٍ، ﻗﺎﻝ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ﻷَﻥْ ﻳُﻄْﻌَﻦَ ﻓِﻲ ﺭَﺃْﺱِ ﺃَﺣَﺪِﻛُﻢْ ﺑِﻤِﺨْﻴَﻂٍ ﻣِﻦْ ﺣَﺪِﻳﺪٍ ﺧَﻴْﺮٌ ﻟَﻪُ ﻣِﻦْ ﺃَﻥْ 
তরজমাঃ- তোমাদের মাথায় লোহার সুই দ্বারা যখম করাই উত্তম হবে কোনো গায়রে মাহরাম মহিলার হাতকে স্পর্শ করা থেকে। (তাবারানি-486)
অন্যত্র বর্ণিত আছে....................
ﻋﺎﺋﺸﺔ ( ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ) : ﻻ - ﻭﺍﻟﻠﻪ - ﻣﺎ ﻣﺴﺖ ﻳﺪ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ( ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ) ﻳﺪ ﺍﻣﺮﺃﺓ ﻗﻂ ﺇﻻ ﺍﻣﺮﺃﺓ ﻳﻤﻠﻜﻬﺎ . 
তরজমাঃ- আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:আল্লাহর ক্বসম!নবীজী সা:এর হাত কখনো কোনো বেগানা মহিলার হাতকে স্পর্শ করেনি।(সহীহ বুখারী-6674)
আরও অনেক সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত আছে যে,গায়রে মাহরাম পুরুষ-মহিলার দেখা-সাক্ষ্যাৎ সম্পূর্ণ হারাম।

ﻣﺎ ﺧﻼ ﺭﺟﻞ ﺑﺎﻣﺮﺃﺓ ﺇﻻ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺛﺎﻟﺜﻬﻤﺎ
তরজমাঃ-কোনো পুরুষ যদি কোনো মহিলার সাথে নির্জনে একাকী বসবাস করে,তাহলে তাদের সাথে তৃতীয়জন আরেকজন হল শয়তান।(তিরমিযি-2165)
অর্থাৎ শয়তান সর্বদাই তাদেরকে খারাপ কাজের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকে।
প্রোফাইল পিকচারে প্রাণীর ছবি দেওয়া,পুরুষের হোক বা মহিলার হোক সর্বাবস্থায় হারাম।

তবে এক তালাক রেজয়ী দেওয়ার পর স্বামীর জন্য স্ত্রী গায়রে মাহরাম হিসেবে সাব্যস্ত হবে না। 

(২)
মাহরাম দুই প্রকার যথাঃ- (১) মাহরামে আবদি যাদের সাথে সর্বদাই বিয়ে হারাম, যেমন নিজ খালা, বোন, খালা ফুফু শাশুড়ী,চায় স্ত্রীর সাথে বাসর রাত তথা সহবাস হোক বা না হোক, এবং ঐ স্ত্রীর অন্য স্বামীর মেয়ে যে স্ত্রীর সাথে সহবাস হয়ে গেছে। স্ত্রীর সাথে তালাক হওয়ার পরও তারা হারাম থাকবে। (২) মাহরামে গায়রে আবদি অর্থাৎ সাময়িক মাহরাম, তথা স্ত্রীর সাথে তালাক হয়ে গেলে যাদেরকে বিয়ে করা যাবে ।যেমন স্ত্রীর বোন, ফুফু,খালা ইত্যাদি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...