বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
তিন তালাক বা এক তালাক বায়েনের পর তালাকের পর তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী পূর্বের জন্য স্বামীর গায়েরে মাহরাম হিসেবে সাব্যস্ত হবে। তখন গায়রে মাহরাম মহিলার সাথে যেভাবে পর্দা করতে হয়, ঠিক সেভাবে পর্দা করতে হবে। বেগানা গায়রে মাহরাম মহিলার হাতকে স্পর্শ না করতে কটুর হুশিয়ারী হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে .....
ﻋﻦ ﻣَﻌْﻘِﻞَ ﺑْﻦَ ﻳَﺴَﺎﺭٍ، ﻗﺎﻝ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ﻷَﻥْ ﻳُﻄْﻌَﻦَ ﻓِﻲ ﺭَﺃْﺱِ ﺃَﺣَﺪِﻛُﻢْ ﺑِﻤِﺨْﻴَﻂٍ ﻣِﻦْ ﺣَﺪِﻳﺪٍ ﺧَﻴْﺮٌ ﻟَﻪُ ﻣِﻦْ ﺃَﻥْ
তরজমাঃ- তোমাদের মাথায় লোহার সুই দ্বারা যখম করাই উত্তম হবে কোনো গায়রে মাহরাম মহিলার হাতকে স্পর্শ করা থেকে। (তাবারানি-486)
অন্যত্র বর্ণিত আছে....................
ﻋﺎﺋﺸﺔ ( ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ) : ﻻ - ﻭﺍﻟﻠﻪ - ﻣﺎ ﻣﺴﺖ ﻳﺪ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ( ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ) ﻳﺪ ﺍﻣﺮﺃﺓ ﻗﻂ ﺇﻻ ﺍﻣﺮﺃﺓ ﻳﻤﻠﻜﻬﺎ .
তরজমাঃ- আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:আল্লাহর ক্বসম!নবীজী সা:এর হাত কখনো কোনো বেগানা মহিলার হাতকে স্পর্শ করেনি।(সহীহ বুখারী-6674)
আরও অনেক সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত আছে যে,গায়রে মাহরাম পুরুষ-মহিলার দেখা-সাক্ষ্যাৎ সম্পূর্ণ হারাম।
ﻣﺎ ﺧﻼ ﺭﺟﻞ ﺑﺎﻣﺮﺃﺓ ﺇﻻ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺛﺎﻟﺜﻬﻤﺎ
তরজমাঃ-কোনো পুরুষ যদি কোনো মহিলার সাথে নির্জনে একাকী বসবাস করে,তাহলে তাদের সাথে তৃতীয়জন আরেকজন হল শয়তান।(তিরমিযি-2165)
অর্থাৎ শয়তান সর্বদাই তাদেরকে খারাপ কাজের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকে।
প্রোফাইল পিকচারে প্রাণীর ছবি দেওয়া,পুরুষের হোক বা মহিলার হোক সর্বাবস্থায় হারাম।
তবে এক তালাক রেজয়ী দেওয়ার পর স্বামীর জন্য স্ত্রী গায়রে মাহরাম হিসেবে সাব্যস্ত হবে না।
(২)
মাহরাম দুই প্রকার যথাঃ- (১) মাহরামে আবদি যাদের সাথে সর্বদাই বিয়ে হারাম, যেমন নিজ খালা, বোন, খালা ফুফু শাশুড়ী,চায় স্ত্রীর সাথে বাসর রাত তথা সহবাস হোক বা না হোক, এবং ঐ স্ত্রীর অন্য স্বামীর মেয়ে যে স্ত্রীর সাথে সহবাস হয়ে গেছে। স্ত্রীর সাথে তালাক হওয়ার পরও তারা হারাম থাকবে। (২) মাহরামে গায়রে আবদি অর্থাৎ সাময়িক মাহরাম, তথা স্ত্রীর সাথে তালাক হয়ে গেলে যাদেরকে বিয়ে করা যাবে ।যেমন স্ত্রীর বোন, ফুফু,খালা ইত্যাদি।