আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
204 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
অনেক সময় অনিচ্ছা স্বত্বেও সুদী ব্যাংকে একাউন্ট খোলা লাগে।সেই ক্ষেত্রে অ্যাকাউন্টে সুদ আসে।ফাতওয়া তে জেনেছি সোয়াব এর উদ্দেশ্য ছাড়া সুদ পরিমাণ টাকা দান করে দিতে হয়।সেই টাকা টি মসজিদে দেওয়া যাবে?আর সুদের টাকা টা কি ব্যাংক থেকে তুলেই দিতে হবে।না কি আমার হালাল টাকা থেকে দান করে দিলেই হয়ে যাবে? আর ইসলামী ব্যাংকের মুনাফা কি গ্রহণ করা যাবে? যেহুতু উনারা পুরাপুরি শরীয়াহ মোতাবেক পরিচালিত করতে পারেন না

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সুদ বা হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবা সওয়াবের নিয়ত ব্যতীত ফকির-মিসকিনদের  মাঝে সদকা করে দেয়া।
 من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহতেু আপনার প্রয়োজন রয়েছে,তাই আপনি ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে পারবেন। তবে সুদ আসলে আপনি সেটাকে ফকির-মিসকিনদের মধ্যে সদকাহ করে দিবেন। মসজিদে সুদের টাকা লাগানো কখনো জায়েয হবে না। বরং সুদের টাকার একমাত্র খাতই হল, সদকাহ করে দেয়া। 
টাকা কখনো নির্দিষ্ট হয় না। সুতরাং সুদের টাকা সদকাহ করার জন্য ব্যাংক থেকে ঐ টাকা তোলে আনার কোনো প্রয়োজন নাই। আপনার হালাল টাকা থেকে দান করে দিলেই সুদের টাকার সদকাহ আদায় হয়ে যাবে। ইসলামী ব্যাংকের মুনাফা কি জায়েয ? প্রতিউত্তরে বলা যায় যে,
কোনো ব্যাংক যদি মাসিক হারে নির্দিষ্ট পরিমাণ মুনাফা না দেয়। বরং মুনাফার পার্সেন্টিস ঠিক করে মুদারাবা(যৌথব্যবসা-একজনের টাকা আর অন্যজনের শ্রম)এর ভিত্তিতে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে।নামে মাত্র নয় বরং যদি ব্যাংক বাস্তবেই পুঁজিকে ব্যবসায় খাটায়,তাহলে উক্ত ব্যাংকের সাথে মুদারাবা ভিত্তিক ব্যবসা জায়েয।সম্ভবত এরকম ব্যাংক আমাদের এখানে তথা বাংলাদেশে নেই। ইসলামি ব্যাংক সম্পর্কে কেউ কেউ বলে থাকলেও আমাদের অনুসন্ধানে তারা শরীয়তকে পরিপূর্ণরূপে মেনে চলে না।

হ্যা তারপরও খুজ নিয়ে দেখেন, যদি তারা পুরোপুরি শরীয়তকে মেনে চলে। অর্থাৎ তারা যদি লাভ-ক্ষতিতে গ্রাহককে অংশিদ্বার করে ও মুনাফার পার্সেন্টিস নির্দিষ্ট করে এবং বাস্তবেই দেখার মত কোনো ব্যবসায় পুঁজি খাটায়, তাহলে তাদের সাথে ব্যবসা করতে কোনো বাধা নেই।তখন তাদের মুনাফা জায়েয হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...