স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য বা কলহ হলে ইসলামিক শরীয়তে তা মীমাংসার জন্য কিছু নির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা ও পদ্ধতি রয়েছে। ইসলামে বিবাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্ধন, এবং এই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা ও ভালোভাবে পরিচালনার জন্য কুরআন ও হাদীসে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
★পারস্পরিক সংলাপ ও বোঝাপড়া
প্রথমেই, স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের উচিত একে অপরের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে কথা বলা, একে অপরের কষ্ট বা অভিযোগ মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং বোঝার চেষ্টা করা।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
(অনুবাদ)
"...তোমরা যদি তাদের (নারীদের) সঙ্গে সদ্ব্যবহার করো, তবে তারা তোমাদের জন্য কল্যাণকর হতে পারে, যদিও তোমরা তাদের অপছন্দ করো..."
(সূরা আন-নিসা: ১৯)
★নসীহত ও উপদেশ দেওয়া
যদি স্ত্রী বা স্বামীর কোনো আচরণে সমস্যা দেখা দেয়, তবে প্রথমে তাকে সুন্দরভাবে উপদেশ দেওয়া এবং বুঝিয়ে বলা উচিত।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
(অনুবাদ)
"তোমরা যাদের অবাধ্যতা আশঙ্কা করো, প্রথমে তাদের উপদেশ দাও..."
(সূরা আন-নিসা: ৩৪)
★আলাদা থাকা।
যদি উপদেশে কাজ না হয়, তখন স্বামী কিছু সময়ের জন্য স্ত্রী থেকে পৃথক থাকতে পারে—কিন্তু সেটা মারাত্মক বিচ্ছেদের উদ্দেশ্যে নয়, বরং তাকে নিজের ভুল বোঝানোর একটি পদ্ধতি হিসাবে।
★মধ্যস্থতা।
যদি সমস্যার সমাধান না হয়, তাহলে উভয় পক্ষের পরিবারের একজন বিশ্বস্ত সদস্যকে নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করতে বলা হয়েছে।
★তালাককে সর্বশেষ বিকল্প হিসেবে রাখা।
ইসলামে তালাকের অনুমতি রয়েছে, তবে সেটি অত্যন্ত অপছন্দনীয় (মাকরুহ)। তাই যদি সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়, তবে তালাক একান্ত প্রয়োজনীয় হলে তা নিয়ম অনুসারে করা যেতে পারে।
স্বামী স্ত্রীর তালাক হয়ে গেলে, এক্ষেত্রে শরীয়তে গ্রহণযোগ্য এমন ওযর ছাড়া তালাক দিলে তালাক দাতার গুনাহ হবে।
এক্ষেত্রে একে অপরকে ক্ষমা করে দিয়ে মহান আল্লাহর কাছে খালেস দিলে তওবা করলে আল্লাহ তায়ালা দুজন কেই ক্ষমা করবেন।
আপনি যদি তালাক না নিয়ে সারাজীবন তার থেকে দূরে থাকি, তাহলে এটি কোনোভাবেই জায়েজ হবেনা।সুতরাং এমতাবস্থায় উনার আপনার প্রতি দায়িত্ব পালনের তো প্রশ্নই উঠেনা।