আসসালামু আলাইকুম
আমি প্রায় ২ বছর যাবত একজন ছেলের সাথে গোপনে বিবাহিত অবস্থায় আছি। আমার স্বামী অন্য বিভাগে থাকে এবং আমি অন্য বিভাগে। এ জন্য আমাদের ৩/৪ মাসেও দেখা হয় না। দূরত্বের কারনে আমাদের মাঝে অনেক মনোমালিন্য হয়। উনি আমাকে সময় দেয় না, সে জন্য আমাদের মাঝে অনেক ঝগড়া হয়। ঝগড়ার সময় আমি ১ বার আমার কথার দ্বারা তাকে প্রচন্ড আঘাত করে ফেলি। এর পর তার কাছে বহুবার ক্ষমা চেয়েছি। অনেক কান্না কাটি করেছি। আমি বলেছি, উনি যদি আমার সামনে আসেন, তাহলে আমি তার পা ধরে ক্ষমা চাইবো। কিন্ত উনি বলেছেন উনি আমার সাথে আর থাকতে চান না। আমি তাকে বহুবার বলেছি রাগের মাথায়, আমার কষ্টের জায়গা থেকে ওমন হয়ে গেছে, উনি যাতে আমাকে ক্ষমা করে দেন। কিন্ত উনি কোনো ভাবেই আমার সাথে আর থাকতে চাচ্ছেন না।
আমি মোটামুটি ধার্মিক মেয়ে। আল্লাহ এর প্রতি আমার ভয় প্রচুর। স্বামী স্ত্রীর বিচ্ছেদ কেও আমি কখনো ভালো চোখে দেখি না। আমার স্বামী মনের দিক দিয়ে অনেক ভালো মানুষ। কোনো নারীর সাথে তার কোনো আলাপ নেই। উনি বলেছেন, আমাকে তালাক দিয়ে দিবেন। আমি যাতে অন্যত্র বিয়ে করে ফেলি।
কিন্তু আমি একবার যেহেতু বিয়ে করেছি, আমি তার সাথেই সারাজীবন থাকতে চাচ্ছি।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে, বিয়ের ক্ষেত্রে কোন পর্যায়ে গেলে তালাক দেয়া অনিবার্য হয়ে যায়? স্বামী স্ত্রীর মনোমালিন্য হলে, ইসলামের শরীয়তে সেটা কিভাবে ঠিক করার বিধান? স্বামী স্ত্রীর তালাক হয়ে গেলে, আল্লাহ তায়ালা দুজন কেই ক্ষমা করবেন কিনা? আমি যদি তালাক না নিয়ে সারাজীবন তার থেকে দূরে থাকি, তাহলে উনার আমার প্রতি কি কি দায়িত্ব পালন করা উচিত হবে?
প্লিজ উত্তর দিবেন দয়া করে। আমি আমার সংসার ভাঙতে চাই না