ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
ইবনে জুবাইর কর্তৃক রাসূলুল্লাহ সা. এর রক্ত পান এবং উম্মে আইমান কর্তৃক প্রস্রাব পান বর্ণিত রয়েছে। তবে এগুলোর সনদ নিতান্তই দুর্বল।
عن أُمِّ أَيْمَنَ قالت : قام رسول الله صلى الله عليه وسلم مِنَ اللَّيْلِ إلى فَخَّارَةٍ في جَانِبِ الْبَيْتِ فَبَالَ فيها ، فَقُمْتُ مِنَ اللَّيْلِ وأنا عَطْشَانَةُ فَشَرِبْتُ ما فيها وأنا لا أَشْعُرُ فلما أَصْبَحَ النبي صلى الله عليه وسلم قال : ( يا أُمَّ أَيْمَنَ قَوْمِي فَأَهْرِيقِي ما في تِلْكَ الْفَخَّارَةِ ) قلت : قد وَالله شَرِبْتُ ما فيها ، قالت : فَضَحِكَ رسول الله صلى الله عليه وسلم حتى بَدَتْ نَوَاجِذُهُ ثُمَّ قال ( أما إنك لا تَتَّجِعِينَ بَطْنَكِ أبدًا ) .
رواه الحاكم في " مستدركه " ( 4 / 70 ) وأبو نعيم في " الحلية " ( 2 / 67 ) والطبراني في " الكبير " ( 25 / 89 ، 90 )
অর্থাৎ ‘হযরত উম্মে আয়মন থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক রাত্রিতে ঘুম মোবারক থেকে উঠে ঘরের পাশ্বে একটি মাটির পাত্রে পেশাব মোবারক করলেন। আমি রাত্রে ঘুম থেকে উঠে খুব তৃষ্ণার্তবোধ করলাম। অতঃপর মাটির
পাত্রে যা ছিল তা পান করে নিলাম। পাত্রে কী ছিল আমি মোটেই অবগত নই। তার পর প্রত্যুষে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে সম্বোধন করে বললেন হে উম্মে আয়মন! ঘুম থেকে উঠো এবং মাটির পাত্রে যা আছে তা ফেলে দাও।অতঃপর আমি বললাম নিশ্চয় আল্লাহর কসম মাটির পাত্রে যা কিছু ছিল তা আমি পান করে ফেলেছি। তিনি (উম্মে আয়মন) বলেন তৎক্ষণাৎ আল্লাহর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেঁসে দিলেন।এমনকি তাঁর প্রান্তসীমার দাঁত মোবারক প্রকাশিত হয়ে গিয়েছিল। অতঃপর আল্লাহর হাবীব বললেন,আল্লাহর কসম তোমার পেটে কখনো পীড়া হবে না।’আল্লামা কাজী আয়াজ (রা.) ওফাত ৫৪৪ হিজরি) তদীয় ‘আশ শিফা’নামক কিতাবের ১ম খণ্ডের ৬৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন।
তবে পায়খানা খাওয়ার কোনো বিশূদ্ধ বর্ণনা পাওয়া যায় না।
(২) জ্বী ঠিক।
(৪) ভবিষ্যতের কোনো কাজ করা বা না করার জন্য ইনশাআল্লাহ বলা হবে।
وَمَا تَشَاؤُونَ إِلَّا أَن يَشَاء اللَّهُ رَبُّ الْعَالَمِينَ
তোমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অভিপ্রায়ের বাইরে অন্য কিছুই ইচ্ছা করতে পার না। (সূরা তাকবীর-২৯)
(৫)
রাসূল (ছাঃ) মৃত্যু কামনা করতে নিষেধ করেছেন।হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যেন মৃত্যু কামনা না করে। কারণ সে নেককার হ’লে হয়তো অধিক নেকী অর্জন করবে এবং বদকার হ’লে সম্ভবত তওবা করে আল্লাহর সন্তোষ লাভে সমর্থ হবে’ (বুখারী, মিশকাত হা/১৫৯৮ ‘জানাযা’ অধ্যায়, ‘মৃত্যু কামনা ও মৃত্যুর স্মরণ’ অনুচ্ছেদ)। তবে নিতান্তই কেউ যদি মৃত্যু কামনা করতে চায়, তবে সে বিষয়ে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যেন তার নিকটে বিপদ পৌঁছার কারণে মৃত্যু কামনা না করে। তবে সে যদি মৃত্যু কামনা করতেই চায়, তবে যেন বলে, হে আল্লাহ! আমাকে জীবিত রেখ যে পর্যন্ত আমার জীবন কল্যাণকর হয় এবং আমাকে মৃত্যু দান কর, যখন মৃত্যু আমার জন্য কল্যাণকর হয়’ (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১৬০০)।