আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
390 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (45 points)
  1. একজন আলেমের বক্তব্য শুনেছিলাম   যে  নবীজি  স: একবার মলত্যাগ করে চলে গেছিলেন  একজন ব্যক্তি  সেই মল থেকে কিছু অংশ  খেয়ে ফেলল তারপর নবীজী বললেন তার গুনাহ মাফ হয়ে গেছে -  এটা কি আসলেই ঘটেছিল নাকি এটা কোন বানোয়াট কথা ?

  2. নবীদের শক্তি 40 জন পুরুষের সমান  এবং নবীজি  স: এর শক্তি 40 জন নবী সমান  এই কথাটা কি ঠিক ?

  3. আর একজন আলেমের বক্তব্য শুনেছিলাম যে নবীরা কবিরা এবং সগিরা গুনাহ হতে মুক্ত তবে তাদের দ্বারা সামান্য কিছু ভুল হতে পারে তবে আল্লাহ তাআলা সেগুলো মাফ করে দিয়েছেন -  এ কথাটা কি ঠিক ?

  4. ইনশাআল্লাহ কখন বলা উচিত আর কখন বলা উচিত নয় ?

  5. আল্লাহর কাছে মৃত্যু কামনা করলে আল্লাহ কি নারাজ হন ?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
ইবনে জুবাইর কর্তৃক রাসূলুল্লাহ সা. এর রক্ত পান এবং উম্মে আইমান কর্তৃক প্রস্রাব পান বর্ণিত রয়েছে। তবে এগুলোর সনদ নিতান্তই দুর্বল।
عن أُمِّ أَيْمَنَ قالت : قام رسول الله صلى الله عليه وسلم مِنَ اللَّيْلِ إلى فَخَّارَةٍ في جَانِبِ الْبَيْتِ فَبَالَ فيها ، فَقُمْتُ مِنَ اللَّيْلِ وأنا عَطْشَانَةُ فَشَرِبْتُ ما فيها وأنا لا أَشْعُرُ فلما أَصْبَحَ النبي صلى الله عليه وسلم قال : ( يا أُمَّ أَيْمَنَ قَوْمِي فَأَهْرِيقِي ما في تِلْكَ الْفَخَّارَةِ ) قلت : قد وَالله شَرِبْتُ ما فيها ، قالت : فَضَحِكَ رسول الله صلى الله عليه وسلم حتى بَدَتْ نَوَاجِذُهُ ثُمَّ قال ( أما إنك لا تَتَّجِعِينَ بَطْنَكِ أبدًا ) .
رواه الحاكم في " مستدركه " ( 4 / 70 ) وأبو نعيم في " الحلية " ( 2 / 67 ) والطبراني في " الكبير " ( 25 / 89 ، 90 ) 
অর্থাৎ ‘হযরত উম্মে আয়মন থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক রাত্রিতে ঘুম মোবারক থেকে উঠে ঘরের পাশ্বে একটি মাটির পাত্রে পেশাব মোবারক করলেন। আমি রাত্রে ঘুম থেকে উঠে খুব তৃষ্ণার্তবোধ করলাম। অতঃপর মাটির
পাত্রে যা ছিল তা পান করে নিলাম। পাত্রে কী ছিল আমি মোটেই অবগত নই। তার পর প্রত্যুষে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে সম্বোধন করে বললেন হে উম্মে আয়মন! ঘুম থেকে উঠো এবং মাটির পাত্রে যা আছে তা ফেলে দাও।অতঃপর আমি বললাম নিশ্চয় আল্লাহর কসম মাটির পাত্রে যা কিছু ছিল তা আমি পান করে ফেলেছি। তিনি (উম্মে আয়মন) বলেন তৎক্ষণাৎ আল্লাহর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেঁসে দিলেন।এমনকি তাঁর প্রান্তসীমার দাঁত মোবারক প্রকাশিত হয়ে গিয়েছিল। অতঃপর আল্লাহর হাবীব বললেন,আল্লাহর কসম তোমার পেটে কখনো পীড়া হবে না।’আল্লামা কাজী আয়াজ (রা.) ওফাত ৫৪৪ হিজরি) তদীয় ‘আশ শিফা’নামক কিতাবের ১ম খণ্ডের ৬৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন।

তবে পায়খানা খাওয়ার কোনো বিশূদ্ধ বর্ণনা পাওয়া যায় না।

(২) জ্বী ঠিক।

(৩)উনার কথা পুরোপুরি বিশুদ্ধ নয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/7866

(৪) ভবিষ্যতের কোনো কাজ করা বা না করার জন্য ইনশাআল্লাহ বলা হবে।
وَمَا تَشَاؤُونَ إِلَّا أَن يَشَاء اللَّهُ رَبُّ الْعَالَمِينَ
তোমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অভিপ্রায়ের বাইরে অন্য কিছুই ইচ্ছা করতে পার না। (সূরা তাকবীর-২৯)


(৫)
রাসূল (ছাঃ) মৃত্যু কামনা করতে নিষেধ করেছেন।হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যেন মৃত্যু কামনা না করে। কারণ সে নেককার হ’লে হয়তো অধিক নেকী অর্জন করবে এবং বদকার হ’লে সম্ভবত তওবা করে আল্লাহর সন্তোষ লাভে সমর্থ হবে’ (বুখারী, মিশকাত হা/১৫৯৮ ‘জানাযা’ অধ্যায়, ‘মৃত্যু কামনা ও মৃত্যুর স্মরণ’ অনুচ্ছেদ)। তবে নিতান্তই কেউ যদি মৃত্যু কামনা করতে চায়, তবে সে বিষয়ে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যেন তার নিকটে বিপদ পৌঁছার কারণে মৃত্যু কামনা না করে। তবে সে যদি মৃত্যু কামনা করতেই চায়, তবে যেন বলে, হে আল্লাহ! আমাকে জীবিত রেখ যে পর্যন্ত আমার জীবন কল্যাণকর হয় এবং আমাকে মৃত্যু দান কর, যখন মৃত্যু আমার জন্য কল্যাণকর হয়’ (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১৬০০)।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 103 views
...