আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
941 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (5 points)
E-commerce site এ gift card যার  মুল্য উদাহরনস্বরূপ ৫০০০ টাকা ,  ১ মাস পরে শুধু এই gift card দিয়ে e-commerce site টির সাথে চুক্তিকৃত নির্দিষ্ট দোকান থেকে ১০,০০০ টাকার পন্য কেনা যাবে। সেই দোকান ১ মাস পরে পন্য না দিয়ে তারা নিজেরাই নিজেদের পন্য কিনে ১০%-২০% (তাদের ধার্যকৃত) বাদ দিয়ে চেক দিতে চায়। চাইলে পন্য ও নেওয়া যাবে।  এখানে উল্লেখ্য যে আমি পেমেন্ট করবো e-commerce site কে সরাসরি দোকানে না, দোকান আমাকে পন্য/চেক দেওয়ার বেশ কিছু দিন পরে eCommerce company থেকে টাকা নিবে।

প্রশ্ন ১ঃ  এমন gift card কেনা যাবে?
প্রশ্ন ২ঃ দোকান থেকে চেক নিলে তার অর্থ কি হালাল হবে?
প্রশ্ন ৩ঃ দোকান থেকে পন্য নিয়ে সে পন্য বাহিরে বিক্রি করলে সে অর্থ হালাল হবে?
প্রশ্ন ৪ঃ gift card নেওয়া থেকে পন্য বিক্রি/চেক নেওয়া পুরা লেনদেন টা কি হালাল হবে?

অনেক মানুষ ই এখন এমন লেনদেনের সাথে জড়িত কিন্তু একেক জন একেক মত নিজের মত ধরে নিয়েছে, তাই প্রশ্নটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বর্তমান সময়ে।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


প্রথমেই জানা প্রয়োজন সূদ (রিবা) কি? সূদ (রিবা) কাকে বলে? আরবী ‘রিবা’ শব্দের আভিধানিক অর্থ হ’ল বৃদ্ধি, অতিরিক্ত, প্রবৃদ্ধি ইত্যাদি। অবশ্য এর অর্থ এই নয় যে, ইসলামে সব ধরনের বৃদ্ধি বা প্রবৃদ্ধিকে হারাম বা নিষিদ্ধ গণ্য করা হয়েছে। 

শরী’আতে রিবা বলতে ঐ অর্থকে বোঝায়, যা ঋণের শর্ত হিসাবে মেয়াদ শেষে ঋণগ্রহীতা মূল অর্থসহ অতিরিক্ত অর্থ ঋণদাতাকে পরিশোধ করতে বাধ্য হয়।

ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী রহঃ বলেন, জাহেলী যুগে আরববাসী সকলেরই রিবা সম্বন্ধে জানা ছিল এবং তাদের মধ্যে এটি বহুল প্রচলিতও ছিল। সে যুগেও তারা প্রথাসিদ্ধভাবে ঋণ দিত এবং শর্ত অনুসারে তার উপর মাসে মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আদায় করত, কিন্তু আসলের পরিমাণ থাকত অপরিবর্তিত। যখন ঋণের মেয়াদ শেষ হ’ত এবং ঋণগ্রহীতা ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হ’ত তখন সূদ বাড়িয়ে দেওয়ার শর্তে পরিশোধের সময়ও বাড়িয়ে দেওয়া হ’ত {তাফসীরুল কাবীর}।

কুরআনে কারীমে ইরশাদ হচ্ছে-

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَذَرُوا مَا بَقِيَ مِنَ الرِّبَا إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ [٢:٢٧٨] 

হে ঈমানদারগণ,তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যে সমস্ত বকেয়া আছে,তা পরিত্যাগ কর,যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক। [সূরা বাকারা-২৭৮] 

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَأْكُلُوا الرِّبَا أَضْعَافًا مُّضَاعَفَةً ۖ وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٣:١٣٠] 

হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারো। [সুরা আলে ইমরান-১৩০] 

হাদিস শরিফে  এসেছে-

لَعَنَ رَسُولُ اللهِ ﷺ آكل الربا وموكله وكاتبه وشاهديه، وقال : هم سواء.

আল্লাহর রাসূল ﷺ সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক এবং তার উপর সাক্ষীদ্বয়কে অভিশাপ করেছেন, আর বলেছেন, ওরা সকলেই সমান। (মুসনাদে আহমাদ ৩৮০৯)

আরো জানুনঃ 


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন, 
সূদ বলা হয় টাকার বিনিময়ে টাকা,চালের বিনিময়ে চাল,রুপার বিনিময়ে রুপা কমবেশি হলেই সূদ।
,
যদি টাকার বিনিময়ে টাকা না হয়ে পন্য হয়,তাহলে সেটি সুদ হবেনা।
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি ৫০০০ টাকা দিয়ে দশ হাজার টাকার পন্য নেয়,সরাসরি দশ হাজার টাকা না নেয়,তাই এটা সূদ হবেনা। 
,
যদি উক্ত পন্য নিয়ে এসে অন্য কাহারো কাছে বিক্রয় করা হয়,তাহলে জায়েজ আছে। 
,
আরো জানুনঃ 

তবে সরাসরি টাকা নেওয়া কোনোভাবেই জায়েজ নেই।
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
প্রশ্নে E-commerce site এর কার্যক্রম যদি সূদ ভিত্তিক হয়,তার এই ৫০০০ টাকা যদি তারা সুদে খাটিয়ে তাকে ১০০০০ টাকার পন্য দেয়,তাহলে এই ছুরতে পন্য নেওয়াও জায়েজ নেই। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আমি তো ঐ দোকানদার এর কাছে পন্য পাওনা আছি ঐ পন্যের বিনিময়ে কি অর্থ নেওয়া যাবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...