ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
প্রশ্নে বর্ণিত মহিলার ৬.৫ শতাংশের মতো জায়গা রয়েছে এক জায়গায় ৷ তার, পাশের জায়গার মালিক সেই মহিলার জমির কিছু অংশ জুড়ে প্রায় ২০ বছর হলো ইচ্ছাকৃতভাবে দোকান ও বাসা করে ভাড়া দিয়ে খাচ্ছেন৷ কয়েক লক্ষ টাকা ইনকাম করেছেন সম্ভবত।
এক্ষেত্রে উক্ত মহিলা পাশের মালিকের কাছ থেকে ইচ্ছা করলে তার যায়গা হিসেব করে বিগত প্রায় ২০ বছরে ভাড়ার টাকা বুঝে নিতে পারবেন। এবং তিনি উনাকে উক্ত স্থাপনা ভেঙ্গে তার যায়গা বের করে দিতে বাধ্য করতে পারবেন ।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।(সূরা নিসা(২৯)
এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم
" ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ "
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না।(তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)
(২)
কোনো লোকের শুধু এক মেয়ে; কোন ছেলে নেই ৷ এক্ষেত্রে তার সম্পত্তি থেকে সেই লোকের ভাইয়ের ছেলেরা ইসলামিক শরীআহ অনুযায়ী কোন অংশ পাবে। তবে বোনের ছেলেরা কোনো অংশ পাবে না।হ্যা ভাই-বোন জীবিত থাকলে তারা অব্যশই হিস্যা পাবে।
(৩)পূর্বের মত।ভাইয়ের ছেলেরা ইসলামিক শরীআহ অনুযায়ী কোন অংশ পাবে। তবে বোনের ছেলেরা কোনো অংশ পাবে না।
(৪) ইসলামী শরীয়ত মোতাবকে তার ওয়ারিছরা সম্পদ পাবে। কে কতটুকু পাবে? তা কুরআন-হাদীসে সুবিস্তারে বর্ণিত রয়েছে।(চলবে....)
(৫)ইসলামী শরীয়ত মোতাবকে তার ওয়ারিছরা সম্পদ পাবে।কে কতটুকু পাবে? তা কুরআন-হাদীসে সুবিস্তারে বর্ণিত রয়েছে।(চলবে....)