আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
30 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ উস্তায,

আমার কিছু প্রশ্ন ছিলো-
১. ক্বাবলা জুমা আর উমরি কাজার দলিল কি?

২. হানাফি ফিকহের অনুসারীগণ কি বিতর সালাতে ২ রাকাআতের পরে হাত তুলে দু'আ করতে পারবে? দলিল কি?

৩. শাফেয়ী মাজহাবের অনেকে আছরের নামায সাড়ে তিনটায় পড়ে ফেলে, তারা বলে ওয়াক্ত হয়ে গেছে। এর দলিল কি? হানাফি কেউ ওই সময় সলাত পড়লে হবে কিনা?

৪. ফরজ সলাতের শেষ দুই রাকাতে সূরা ফাতিহা না পড়লেও হবে, এর দলিল কি?

দয়া করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দিলে উপকৃত হতাম উস্তায।
জাযাকুমুল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (628,170 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
কাবলাল জুম'আ সংক্রান্ত হাদীস সমূহঃ-

হযরত ইবনে আব্বাস রা. বর্ণনা করেন,

كان النبي صلى الله عليه و سلم يركع قبل الجمعة أربعا . لا يفصل في شيء منهن

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমআর পূর্বে চার রাকাত পড়তেন। মাঝে সালাম ফেরাতেন না। ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ১১২৯, তাবারানী, আল মুজামুল কাবীর, হাদীস নং ১৬৪০। 

হযরত আলী রা. বর্ণনা করেন,

كان رسول الله يصلي قبل الجمعة أربعا وبعدها أربعا يجعل التسليم في آخرهن ركعة

অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমআর পূর্বে পড়তেন চার রাকাত, পরে পড়তেন চার রাকাত। আর চার রাকাতের পরেই তিনি সালাম ফেরাতেন। তাবারানী, আল মুজামুল আওসাত, হাদীস নং ১৬১৭; আবু সাঈদ ইবনুল আরাবী, (মৃত্যু ৩৪০ হি.) আল মুজাম, হাদীস নং ৮৭৪।

حدثنا علي بن سعيد الرازي قال نا سليمان بن عمر بن خالد الرقي قال نا عتاب بن بشير عن خصيف عن ابي عبيدة عن عبد الله عن النبي صلى الله عليه و سلم أنه كان يصلي قبل الجمعة اربعا وبعدها أربعا

অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমআর পূর্বে চার রাকাত ও পরে চার রাকাত পড়তেন। (মু'জামুল আওসাত,হাদীস নং ৩৯৫৯)

নাফে’ রহ. বর্ণনা করেন,

كَانَ ابْنُ عُمَرَ يُطِيلُ الصَّلاَةَ قَبْلَ الْجُمُعَةِ وَيُصَلِّى بَعْدَهَا رَكْعَتَيْنِ فِى بَيْتِهِ وَيُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- كَانَ يَفْعَلُ ذَلِكَ

ইবনে উমর রা. জুমআর পূর্বে দীর্ঘ নামায পড়তেন এবং জুমআর পরে ঘরে গিয়ে দুই রাকাত পড়তেন। আর বলতেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমনই করতেন। (আবু দাউদ ১১২৮)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

উমরী কা’যার নামায সম্পর্কে  বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-

(০২)
না,পারবেনা।

এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৩)
হানাফি কেউ ওই সময় সলাত পড়লেও তার সালাত হবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৪)
ফরজ নামাজের তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাতে শুধু সুরা ফাতিহা পড়া সুন্নত। তাই কেউ ভুলবশত এই দুই রাকাতে সূরা ফাতিহা না পড়লে নামাজ হয়ে যায়। সাহু সিজদা দিতে হয় না। (আল বাহরুর রায়েক ১/৩১২)

তবে ইচ্ছাকৃতভাবে এমনটি করা সুন্নতের প্রতি অবহেলার নামান্তর। সুতরাং ইচ্ছাকৃতভাবে এমনটি করা যাবে না। হাদিস শরিফে এসেছে, আবূ কাতাদাহ্ রাযি. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,

أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ كَانَ يَقْرَأُ فِي الظُّهْرِ فِي الأُولَيَيْنِ بِأُمِّ الْكِتَابِ وَسُورَتَيْنِ، وَفِي الرَّكْعَتَيْنِ الأُخْرَيَيْنِ بِأُمِّ الْكِتَاب

নবী ﷺ যুহরের প্রথম দু’রাকাতে সূরা ফাতিহা ও দু’টি সূরা পড়তেন এবং শেষ দু’রাকাতে সূরা ফাতিহা পাঠ করতেন। (বুখারী ৭৪০)

ইবনু নুজাইম রহ. বলেন,

 ثُمَّ الْفَاتِحَةُ وَاجِبَةٌ فِي الْأُولَيَيْنِ مِنْ الْفَرْضِ , وَفِي جَمِيعِ رَكَعَاتِ النَّفْلِ , وَفِي الْوِتْرِ وَالْعِيدَيْنِ , وَأَمَّا فِي الْأُخْرَيَيْنِ مِنْ الْفَرْضِ فَسُنَّةٌ

অতপর ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতে, নফল নামাজের সকল রাকাতে, বিতরের নামাজে ও দুই ঈদের নামাজে সূরা ফাতিহা পড়া ওয়াজিব। আর ফরজ নামাজের শেষ দুই রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়া সুন্নাত। (আল বাহরুর রায়েক ১/৩১২)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...