আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
32 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (37 points)
আসসালামু আলাইকুম।
অনেক সময় চালের ড্রামে/ বস্তায় তেলাপোকা/ইদুর এর মল থাকে।
এক্ষেত্রে পানি দিয়ে চাল ধোয়ার পরও যখন তেলাপোকা/ইদুর এর ২-৩ টা বা কিছু বেশি ময়লা চালের মধ্যে থেকে যায়।
এখন, প্রতিবার ভাত রান্নার সময় সবগুলো ময়লা চালের ভিতর থেকে আলাদা করা অনেক সময় সাপেক্ষ্য।
তাই যদি তেলাপোকা/ইদুর এর সেই ২-৩ টা বা কিছু বেশি ময়লা চালের সাথে রেখেই চালে পানি দিয়ে ভাত রান্না করা হয় এবং পরবর্তীতে ভাতের মা'র ফেলে দেওয়া হয়।

প্রশ্ন:১: তাহলে সেই ভাত খাওয়ার সময়, প্লেটে ভাত নেওয়ার পর ২-১ টা ময়লা দেখা যায় তাহলে কি ২-১ টা ময়লা ফেলে দিলেই সেই ভাত খাওয়া যাবে?
নাকি সেই চালের সাথে পানি মিশিয়ে ভাত রান্নার করার কারণে সেই সব ভাত নাপাক হয়ে যাবে।
এক্ষেত্রে করনীয় কি? (প্লেটে ভাত নিয়ে সেইটুকু ভাত ধুয়ে তারপর খেতে হবে?)

1 Answer

0 votes
by (623,190 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/79138/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

اَلَّذِیۡنَ یَتَّبِعُوۡنَ الرَّسُوۡلَ النَّبِیَّ الۡاُمِّیَّ الَّذِیۡ یَجِدُوۡنَہٗ مَکۡتُوۡبًا عِنۡدَہُمۡ فِی التَّوۡرٰىۃِ وَ الۡاِنۡجِیۡلِ ۫ یَاۡمُرُہُمۡ بِالۡمَعۡرُوۡفِ وَ یَنۡہٰہُمۡ عَنِ الۡمُنۡکَرِ وَ یُحِلُّ لَہُمُ الطَّیِّبٰتِ وَ یُحَرِّمُ عَلَیۡہِمُ الۡخَبٰٓئِثَ وَ یَضَعُ عَنۡہُمۡ اِصۡرَہُمۡ وَ الۡاَغۡلٰلَ الَّتِیۡ کَانَتۡ عَلَیۡہِمۡ ؕ فَالَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا بِہٖ وَ عَزَّرُوۡہُ وَ نَصَرُوۡہُ وَ اتَّبَعُوا النُّوۡرَ الَّذِیۡۤ اُنۡزِلَ مَعَہٗۤ ۙ اُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡمُفۡلِحُوۡنَ ﴿۱۵۷﴾ 

“(এরা তো তারাই) যারা সেই রাসূল ও নিরক্ষর নবীর অনুসরণ করে যার কথা তারা তাদের তাওরাত ও ইনজীলে লিখিত পাচ্ছে। তিনি তাদেরকে ভালকাজ করার আদেশ দেন ও মন্দকাজ করতে নিষেধ করেন, তাদের জন্য ভাল জিনিসকে বৈধ ও খারাপ জিনিসকে অবৈধ ঘোষণা করেন।”[সূরা আরাফ, আয়াত: ১৫৭]

সুতরাং পোকামাকড় খারাপ জিনিসের অন্তর্ভুক্ত; যেমন- কীট, গুবরে পোকা, তেলাপোকা, ইঁদুর, গিরগিটি, তক্ষক, টিকটিকি, গেছু ইঁদুর, বিচ্ছু, সাপ ইত্যাদি খারাপ জিনিস হিসেবে গণ্য।
এটি ইমাম আবু হানিফা ও ইমাম শাফেয়ির অভিমত...”। 
(আল-মুগনী (১৩/৩১৬-৩১৭) 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
অধিকাংশ ফুকাহায়ে কেরামদের মতে যেহেতু তেলাপোকার মধ্যে প্রবাহমান পরিমান রক্ত নেই,বা কোনো রক্তই নেই,তাই তেলাপোকার বিষ্ঠা নাপাক নয়। কাজেই শরীরে বা কাপড়ে বা অন্য কোথাও যদি তা লাগে তাহলে কোনো ক্ষতি নেই। 

হাদিস শরিফে এসেছে,

عَنْ إِبْرَاهِيمَ أَنَّهُ لَمْ يَرْ بَأْسًا بِالْعَقْرَبِ وَالْخُنْفِسَاءِ وَكُلِّ نَفْسٍ لَيْسَتْ بِسَائِلَةٍ

‘ইবরাহীম নাখয়ী (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বিচ্ছু, গোবরে পোকাসহ যে সকল প্রাণিতে কোনো প্রবহমান রক্ত নেই সেগুলো পানি পড়লে কোনো সমস্যা মনে করতেন না।’ [মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদিস: ৬৫২]
কিতাবুল আসল ১/৫৫,ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/৩৩৪; আলবাহরুর রায়েক ১/৮৮; শরহুল মুনয়া পৃ. ১৬৪)

তবে কিছু ফুকাহায়ে কেরামদের মতে তেলাপোকার বিষ্ঠা নাপাক। সুতরাং সতর্কতা অবলম্বন করা ভালো হবে।

★ফুকাহায়ে কেরাম ইদুরের বিষ্ঠাকে নাপাক বলেছেন। তবে খাবারে তা পড়লে তা খাবার থেকে উঠিয়ে নিলেই যথেষ্ট হয়ে যাবে। কারণ, সার্বক্ষণিক ইদুর ঘরে থাকার কারণে এ থেকে বেঁচে থাকা কষ্টকর। আল্লামা শানকীতি (রহ.) বলেন,

‘ইদুরের বিষ্ঠা খাবারে পড়লে তা উঠিয়ে নিতে হবে। কারণ তা নাপাক।’ [লাওয়ামিয়ুদ দুরার ৫/৮৭]

সুতরাং ভাতে ইদুরের বিষ্ঠা পেলে তা উঠিয়ে ফেললেই পাক হয়ে যাবে। পুরো ভাত ফেলে দেওয়ার দরকার নেই।

(ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া ১/৪৬)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
তাহলে সেই ভাত খাওয়ার সময়, প্লেটে ভাত নেওয়ার পর যদি তাতে তেলাপোকার বিষ্ঠা পাওয়া যায়,তাহলে ময়লা ফেলে দিয়ে ভাত খাওয়া যাবে।
অসতর্কবশত ভাতের সাথে ময়লা খেয়ে ফেললেও সমস্যা হবেনা।

তবে প্লেটে ভাত নেওয়ার পর যদি তাতে ইদুরের মল পাওয়া যায়,সেক্ষেত্রে সেই মল ফেলে দিয়ে ভাত ধুয়ে তারপর খেতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 196 views
...