আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
32 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম
ডা. জাকির নায়েক এর একটা লেকচার এ শুনলাম যে, একটা ছেলে এবং একটা মেয়ে যদি একেঅপরের সাথে যেনার সম্পর্কে থাকে পরবর্তীতে তারা একেঅপরকে বিয়ে করে কিন্তু বিয়ের আগে যদি তারা আল্লাহর কাছে মাফ চেয়ে না নেয় তাহলে নাকি বিয়ে সহিহ হবে না।।বিয়ে গ্রহনযোগ্য হবে না।

প্রশ্ন ১।আমি আর আমার স্বামী বিয়ের আগে একেঅপরের সাথে হারাম সম্পর্কে ছিলাম।।আমাদের কয়েকবার শারিরীক সম্পর্কও হয়েছে। তারপর আমরা ২ জন গোপনে ২ জন সাক্ষীর উপস্থিতি তে ইজহাব কবুল এর মাধ্যমে বিয়ে করেছি। কোনো কাজী ছিল না।। বিয়ের পর আমরা আল্লাহর কাছে আমাদের যেনা করার জন্য মাফ চেয়েছি এখোনো চাচ্ছি।।বিয়ের আগে আল্লাহর কাছে মাফ চাইনি তাই আমাদের বিয়ে গ্রহনযোগ্য নয়?? আবার বিয়ে করতে হবে??

প্রশ্ন ২। একটা মেয়ে যদি বিয়ের আগে যেনার সম্পর্কে থাকে তারপর  অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়।। সেখানে বিয়েও হয়।।যার সাথে মেয়েটির বিয়ে হয়েছে তার পূর্বে কোনো যেনার সম্পর্ক ছিলো না আলহামদুলিল্লাহ।। কিন্তু মেয়েটির ছিলো।।মেয়েটি যে হারাম সম্পর্কে ছিলো যেনা করেছে তার জন্য বিয়ের আগে আল্লাহর কাছে মাফ চায়নি বিয়ের পর আল্লাহর কাছে মাফ চেয়েছে।।।এখন বিয়ের আগে আল্লাহর কাছে মাফ চায়নি তাই তার বিয়ে গ্রহনযোগ্য হবে না?

1 Answer

0 votes
by (618,420 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَ اسۡتَشۡہِدُوۡا شَہِیۡدَیۡنِ مِنۡ رِّجَالِکُمۡ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُوۡنَا رَجُلَیۡنِ فَرَجُلٌ وَّ امۡرَاَتٰنِ مِمَّنۡ تَرۡضَوۡنَ مِنَ الشُّہَدَآءِ اَنۡ تَضِلَّ اِحۡدٰىہُمَا فَتُذَکِّرَ اِحۡدٰىہُمَا الۡاُخۡرٰی

আর তোমরা তোমাদের পুরুষদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী রাখ, অতঃপর যদি দু’জন পুরুষ না হয় তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক যাদেরকে তোমরা সাক্ষী হিসেবে পছন্দ কর, যাতে স্ত্রীলোকদের মধ্যে একজন ভুলে গেলে তাদের একজন অপরজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
(সুরা বাকারা ২৮২)

হাদিস শরিফে এসেছে, 

لَا يَجُوزُ نِكَاحٌ، وَلَا طَلَاقٌ، وَلَا ارْتِجَاعٌ إِلَّا بِشَاهِدَيْنِ

‘রাসূল (সা.) বলেছেন, দুইজন সাক্ষী ছাড়া বিবাহ, তালাক ও ফিরিয়ে আনা বৈধ হবে না।’ [মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস: ১০২৫৪]

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 

রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।”[মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)]
۔
ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরন মতে হানাফি মাযহাব মোতাবেক আপনাদের বিয়ে শুদ্ধ হয়েছে। পুনরায় বিয়ে পড়িয়ে নিতে হবেনা।

আরো জানুনঃ- 

(০২)
প্রশ্নের বিবরন মতে হানাফি মাযহাব মোতাবেক তার বিয়ে শুদ্ধ হবে। 

হানাফি মাযহাব অনুযায়ী বিবাহ শুদ্ধতার জন্য এক্ষেত্রে যেনা থেকে তওবা আবশ্যক নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...