আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
25 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম আমার প্রশ্ন হচ্ছে মা বাবার উপর রাগ করে বদদোয়া চলে আসলে কি গুনাহ হবে?

আমি একজন অবিবাহিত মেয়ে,বয়স ২৫+। আমার পিতামাতার কোন চিন্তা ই নাই আমাকে নিয়ে, আমার বিয়ে সমন্ধে ও তাদের কোন আগ্রহ নাই,ছোট থেকে ই আমার মা আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে মানসিকভাবে,এমন অনেক হয়েছে যে আমি দিনের পর দিন এই মানসিক যন্ত্রনা সহ্য না করতে পেরে ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে মরার মত ঘুমাতাম।আমার কাছে আমার ফেমিলি মানে একটা যন্ত্রনা। আব্বু র সারাজীবন এর জত টাকা সম্পদ তা ভাই কে দিয়ে দিয়েছে, আমার ফিউচার কি হবে তা একটু ও চিন্তা করে নাই।মা র কাছে আমি একটা অভিশাপ, সে আমাকে দেখতেই পারে না।আমি যদি কিছু বলি এসব নিয়ে তাহলে বলে লেখাপড়া করাইছে এটাই অনেক। এখন এমন হইছে যে খাবারের জন্য ও খোটা দিয়ে করা হবে।মাঝে মাঝে মনে হয় একা কোথাও চলে যাই, একা একা একটা জব নিয়ে থাকবো।কিন্তু মান সম্মান এর ভয়ে তা ও পারছি না, এখন এমন হইছে যে ধীরে ধীরে আমি মানসিক রোগী হয়ে যাচ্ছি। ভাই আছে কিন্তু সে জীবনেও ভুলেও আমার খোজ নেয় না।।

বাবা মা এর যে একটা মেয়ের প্রতি কতটা দায়িত্ব তা তারা বুঝে না, মনে থেকে আমার তাদের জন্য বদদোয়া চলে আসে। অনেক সময় রাগের মাথায় বলে ও ফেলি আল্লাহ র লা নত তোমাদের উপর।
এসব বিষয় নিয়ে আমি অনেক চিন্তিত। প্লিজ মুফতি ভাই এর কাছে জানতে চাই এতে করে কি আমার গুনাহ হবে কি না। তারা যে দু নিয়ত করে আমার উপর এর জন্য কি আমার পিতা মায়া র কোন ই দায় নাই, তারা ছেলেকে বাড়ি গাড়ি সব দিয়েছে অথচ মেয়েকে কিছুই দেয় নাই। এমন কি মেয়ের বিয়ে নিয়ে ও ভাবে না, বিষের করে আমার মা। সে ছোট থেকে ই আমার প্রতি জুলুম করেছে। আল্লাহ কি এর জন্য তাকে জিজ্ঞেস কিরবে না?  না কি সে আমাকে জন্ম দিয়েছে এ জন্য তার কোন অপরাধ ই নাই। আমার মন থেকে তাদের জন্য বদদোয়া চলে আসে। আমি যে কতটা মানসিক ভাবে কষ্টে আছি এক আল্লাহ জানে।

কথাগুলো শোনার মত কেউ নাই এক আল্লাহ ছাড়া

1 Answer

0 votes
ago by (641,250 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
وَوَصَّيْنَا الْإِنسَانَ بِوَالِدَيْهِ حَمَلَتْهُ أُمُّهُ وَهْنًا عَلَىٰ وَهْنٍ وَفِصَالُهُ فِي عَامَيْنِ أَنِ اشْكُرْ لِي وَلِوَالِدَيْكَ إِلَيَّ الْمَصِيرُ
আর আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের জোর নির্দেশ দিয়েছি। তার মাতা তাকে কষ্টের পর কষ্ট করে গর্ভে ধারণ করেছে। তার দুধ ছাড়ানো দু বছরে হয়। নির্দেশ দিয়েছি যে, আমার প্রতি ও তোমার পিতা-মতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। অবশেষে আমারই নিকট ফিরে আসতে হবে।
وَإِن جَاهَدَاكَ عَلَىٰ أَن تُشْرِكَ بِي مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ فَلَا تُطِعْهُمَا ۖ وَصَاحِبْهُمَا فِي الدُّنْيَا مَعْرُوفًا ۖ وَاتَّبِعْ سَبِيلَ مَنْ أَنَابَ إِلَيَّ ۚ ثُمَّ إِلَيَّ مَرْجِعُكُمْ فَأُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
পিতা-মাতা যদি তোমাকে আমার সাথে এমন বিষয়কে শরীক স্থির করতে পীড়াপীড়ি করে, যার জ্ঞান তোমার নেই; তবে তুমি তাদের কথা মানবে না এবং দুনিয়াতে তাদের সাথে সদ্ভাবে সহঅবস্থান করবে। যে আমার অভিমুখী হয়, তার পথ অনুসরণ করবে। অতঃপর তোমাদের প্রত্যাবর্তন আমারই দিকে এবং তোমরা যা করতে, আমি সে বিষয়ে তোমাদেরকে জ্ঞাত করবো। (সূরা লুকমান-১৪-১৫)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আল্লাহ তা’আলা বলছেন,
”দুনিয়াতে তাদের সাথে সদ্ভাবে সহঅবস্থান করবে”
সুতরাং মাতাপিতা যতই গোনাহগার হোক না কেন? আপনাকে যতই তিরস্কার করুক না কেন? তাদের হেদায়তের জন্য দু'আ করার পাশাপাশি তাদের সাথে উত্তম ব্যবহার অবশ্যই সন্তানকে করতে হবে। হ্যা, মনের অজান্তেই অনিচ্ছাকৃত ভাবে যদি পিতার গোনাহের দরুণ বা কৃতকর্মের দরুণ পিতার প্রতি ঘৃণাভাব চলে আসে, তাহলে এজন্য সন্তানের গোনাহ হবে না।
ইচ্ছাকৃত মা বাবাকে কখনো গালি বা বদ দুআ দিবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...