আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
714 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
আমার এক পরিচিত ভাই একসময় অনেক গাফেল ছিলেন। সে এডিকটেড ছিলেন। গাফেল জিন্দেগী তে তিনি একটা মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্কে জড়ায়। সেই মেয়ের সাথে কোনো প্রেমের সম্পর্ক ও ছিল না। কিন্তু তাও শারীরিক সম্পর্কে জড়ায়। ঐ বোন টি কিছুদিনের মধ্যেই প্রেগন্যান্ট হয়।এই ঘটনার কিছু দিনের মধ্যে ঐ ভাই কোনো একটা কারনে জেলে যায়। জেলে থাকা অবস্থায় ঐ মেয়েটি তাকে জানায় সে প্রেগনেন্ট তখন ঐ ভাই সেই বোন কে বলেন অপেক্ষা করতে। তার দেড় মাস পর জেল থেকে বের হয়ে ঐ ভাই মেয়েটির কাছে গিয়ে কিছু দিন থাকে এবং বাচ্চা টা এভোর্শন না করে বাচ্চা টা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় (যদিও তারা অবিবাহীত) ভাইটি তখনও নেশাগ্রস্থ।
এরপর ভাই টি নিজের বাসায় ফিরে আসে ও গোপনে মেয়েটিকে টাকা পয়সা পাঠাত ও মাঝে মাঝে মেয়েটির সাথে দেখা করত। এর দুই মাস পর ভাইটি বুঝতে পারে সে অনেক গভীর ভাবে গুণাহে লিপ্ত হয়ে পরেছে। তাই সে মেয়েটি কে এভোয়েট করতে থাকে এবং এক পর্যায়ে তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
এর দুই তিন মাস পর মেয়েটি একদিন তার বাসায় চলে আসে এবং তার ডেলিভারীর টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। পরে ডেলিভারী হওয়ার পর ভাই টি সমস্থ খরচ বহন করেন।
এর কয়দিন পর ভাই টা দ্বীনের পথে আসেন। দ্বীনের পথে আসার পর সে তার জীবনের সমস্ত ভুল গুলো বুঝতে পারে এবং খাটি মনে তোওবা করে। এবং দ্বীনি জীবন যাপনের চেষ্টা করেন।

কিন্তু মেয়েটি তাকে সবসময় খরচের জন্য চাপাচাপি করতে থাকে। তাই ভাইটি ও আজ প্রায় এক বছর বাসা থেকে নিয়ে খরচ দিয়ে আসছেন।এখন তার পরিবারের সদস্য ও এ ব্যপারে তাকে আর কোন সাহায্য করতে চাচ্ছে না। অন্য দিকে মেয়েটি তাকে বলছে হয় তার সাথে গিয়ে থাকতে না হয় বাচ্চা নিয়ে যেতে অথবা বাচ্চার ভবিস্যতের ব্যবস্থা করে দিতে।

এখন প্রশ্ন হলো যেহেতু ভাই টা দ্বীনের পথে আছেন এবং এক বছরের বেশি সময় ধরে মেয়েটির সাথে দেখা সাক্ষাত নেই। তাই তিনি এই বিষয়টি নিয়ে ভয় পাচ্ছেন যে এই মুহুর্তে তার কি করা উচিত হবে?
বোনটি ভাইয়ের কাছে এটা ডিমান্ড করেছে যেনো ঐ ভাইটা বেবি আর মা ২ জনের স্যাটেলমেন্টের ব্যবস্থা করে দেন। অথচ এখনও তারা অবিবাহিত।
আবার ঐ ভাইটা বলতে গেলে বেকার। তার পরিবারের ওপর নির্ভরশীল।
আর তার পরিবার কোনো ভাবেই ভাইয়ের বেবি কে মেনে নিবে না এবং ঐ বোন কেও মেনে নিবে না।
যতোটুকু জানি ঐ বোন বলেছেন যে তিনি তোওবা করেছেন অতীতের জন্য। এবং সে এখান একটা সমাধান চায়।যেহেতু ভাইটার মধ্যে ঐ মেয়ের জন্য কোন ইমোশন নেই এবং পরিবারও কোনভাবেই মেনে নিবে না এই বিয়েকে। যার ফলে তিনি বিয়ে ব্যতীত যদি কোন সমাধান থাকে সেদিকে যেতে আগ্রহী। বা ছেলের জন্য আদৌও ঐ সন্তান ও তার মায়ের আর্থিক দায়িত্ব নেওয়া জরুরি কি? ইসলাম এ ব্যাপারে কি বলে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আমর ইবনু শু‘আইব (রহ.) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণিত। 
عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ: إِنَّ النَّبِيَّ صلّى الله عليه وسلم قَضَى أَنَّ كُلَّ مُسْتَلْحَقٍ اسْتُلْحِقَ بَعْدَ أَبِيهِ الَّذِي يُدْعَى لَهُ ادَّعَاهُ وَرَثَتُهُ، فَقَضَى أَنَّ كُلَّ مَنْ كَانَ مِنْ أَمَةٍ يَمْلِكُهَا يَوْمَ أَصَابَهَا، فَقَدْ لَحِقَ بِمَنْ اسْتَلْحَقَهُ، وَلَيْسَ لَهُ مِمَّا قُسِمَ قَبْلَهُ مِنَ الْمِيرَاثِ شَيْءٌ، وَمَا أَدْرَكَ مِنْ مِيرَاثٍ لَمْ يُقْسَمْ فَلَهُ نَصِيبُهُ، وَلَا يَلْحَقُ إِذَا كَانَ أَبُوهُ الَّذِي يُدْعَى لَهُ أَنْكَرَهُ، وَإِنْ كَانَ مِنْ أَمَةٍ لَمْ يَمْلِكْهَا، أَوْ مِنْ حُرَّةٍ عَاهَرَ بِهَا، فَإِنَّهُ لَا يَلْحَقُ بِهِ وَلَا يَرِثُ، وَإِنْ كَانَ الَّذِي يُدْعَى لَهُ هُوَ ادَّعَاهُ فَهُوَ وَلَدُ زِنْيَةٍ مِنْ حُرَّةٍ، كَانَ أَوْ أَمَةٍ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসলামের প্রথম যুগে এরূপ ফায়সালা করতেন যে, প্রত্যেক উত্তরাধিকারী তার পিতার মৃত্যুর পর তার ওয়ারিস হবে যাকে সে ওয়ারিস হিসাবে স্বীকার করে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এ ফায়সালাও দিতেনঃ প্রত্যেক দাসীর সন্তানকে সেই পাবে, যে ঐ দাসীর মালিক হয়ে তার সাথে সহবাস করেছে এবং সে সন্তানও ঐ ব্যক্তির সাথে সংযুক্ত হবে। ইতিপূর্বে যেসব সম্পদ বন্টন হয়ে গেছে, এ সন্তান তা থেকে কোনো অংশ পাবে না। আর যেগুলো ইতিপূর্বে বন্টন হয়নি এ সন্তান তা থেকে অংশ প্রাপ্ত হবে।

তবে পিতা তার জীবদ্দশায় সন্তানটিকে অস্বীকার করলে সন্তানটি তার সাথে সংযুক্ত হবে না। আর যদি সন্তান এমন দাসী থেকে জন্ম নেয়, যে ব্যক্তি তার মালিক নয় কিংবা এমন স্বাধীন মহিলা থেকে জন্ম নেয়, যার সাথে সে যিনা করেছে, এমতাবস্থায় এ সন্তান ঐ ব্যক্তির সাথে সংযুক্ত হবে না এবং এ সন্তান তার উত্তরাধিকারীও হবে না, যদিও সে ব্যক্তি দাবী করে। আর যাকে তার সাথে সংযুক্ত করা হয়, আর সেও সম্পর্কিত হয়, সে জারজ সন্তান, চাই সে দাসী কিংবা স্বাধীন নারীর গর্ভে জন্ম গ্রহণ করুক না কেন। ( সুনানে আবি-দাউদ-২২৬৫)  আরো জানতে ভিজিট করুন- 3712

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জারজ বা যিনার সন্তানের নসব জুমহুর উলামায়ে কেরামের মতে পিতা থেকে প্রমাণিত হয় না। বরং ঐ সন্তানের নসব তার মা থেকে প্রমাণিত হয়ে থাকে। যেহেতু যিনার সন্তানের নসব যিনাকারী থেকে প্রমাণিত হয় না, তাই ঐ যিনার সন্তান যিনা কারীর সম্পদ থেকে কিছুই পাবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...