বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যদি ট্রেন বা লঞ্চে বা বাসে উল্লেখিত তিনটির কোন একটি করা সম্ভব না হয়, তাহলে সে নামায ত্রুটিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে নিবে । কিন্তু পরে দোহরানো জরুরী হবে।
গাড়ীতে লঞ্চে বা বাসে নামায পড়ার নিয়ম এই যে, প্রথমে দাঁড়িয়ে তাহরীমা বাঁধার পর পড়ে যাওয়ার ভয় থাকলে হেলান দিয়ে বা কোন কিছুকে ধরে দাঁড়াবে । মনে রাখতে হবে- হাত বাঁধা সুন্নাত । কিন্তু দাড়ানো ফরয । কাজেই প্রয়োজনের সময় সুন্নাত তরক করে ফরয আদায় করতে হবে । গাড়ী, লঞ্চ ও বাস কিবলা থেকে ঘুরতে থাকলে মুসল্লীও ঘুরবে এবং সর্বদা কিবলামুখী থাকবে । সিজদার সময় পিছনের সিটে পা ঝুলিয়ে বসে সামনের ছিটে কম করে ১ তাসবীহ পরিমাণ সময় সিজদা করবে । আর খালি জায়গা পেলে লঞ্চে, বাস বা ট্রেনের ফ্লোরে সিজদাহ করবে । আর যদি সিজদা করার মত কোন খালি জায়গা না পাওয়া যায়, তাহলে ইশারায় রুকূ-সিজদা করে নামায পড়ে নিবে । তবে এ ক্ষেত্রে গন্তব্যে স্থলে পৌঁছে নামায দুহরিয়ে পড়তে হবে ।
যানবাহনে যদি কেউ বিনা ওযরে বসে নামায পড়ে কিংবা নামায অবস্থায় কিবলা থেকে চেহারা ফিরে যায়, তাহলে নামায দুহরিয়ে নিতে হবে ।
(প্রমাণঃ আহসানুল ফাতাওয়া-৪/৮৮ ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়াহ-২ /১২০) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/573
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) সফররত অবস্থায় কেবলা ঠিক রেখে বাস/ট্রেনের সিটে বসে নামাজ আদায় করলে, সেই নামাজ আবার আদায় করে নিতে হবে। কেননা দাড়ায়ি নামায পড়া হয়নি।
(২) সফরকালেও অজু করে নামায পড়তে হবে। তায়াম্মুম করে নামাজ আদায় করা যাবে না।
(৩) সফরকালে কোন ওয়াক্ত চলে গেলে, বিশেষত এশার জামাতের সময় চলে যাবার পর কেউ ঘরে ফিরলে এবং ঘরে ফিরে (রাত ১১/১২টায়) স্বামী স্ত্রী একত্রে জামাতে ফরজ নামাজ আদায় করতে পারবে।
(৪) নফল নামাজ স্বামী স্ত্রী একত্রে জামাতে আদায় করতে পারবে না। স্ত্রীর ককনো ইমাম হতে পারবে না।
(৫) মাসবুক আত্তাহিয়াতু সুরতে বসে তাশাহুদ পড়বে। দুরুদ পড়বে না। এত ধীরগতিতে পড়বে যে, ইমাম তাশাহুদ, দুরুদ সবকিছু শেষ করে নিবে।
"من جملتها أنه قیل: إذا فرغ المسبوق من التشهد قبل سلام الإمام یکرره من أوله، وقیل: یکرر کلمة الشهادة، وقیل: یسکت، وقیل: یأتي بالصلاة والدعاء، والصحیح أنه یترسل لیفرغ من التشهد عند سلام الإمام". (کبیري، ص: ۴۴۱)
(৬) স্বামীর খেদমত ও সাংসারিক দায়িত্বপালনে বেশী আগ্রহী হওযার চেষ্টা করতে হবে।