জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ، أَخْبَرَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَدْعُو فِي الصَّلاَةِ " اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْمَأْثَمِ وَالْمَغْرَمِ " . قَالَتْ فَقَالَ لَهُ قَائِلٌ مَا أَكْثَرَ مَا تَسْتَعِيذُ مِنَ الْمَغْرَمِ يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَقَالَ " إِنَّ الرَّجُلَ إِذَا غَرِمَ حَدَّثَ فَكَذَبَ وَوَعَدَ فَأَخْلَفَ
আবূ বকর ইবনু ইসহাক (রহঃ) ..... নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতের মধ্যে এ বলে দু’আ করতেনঃ “আল্ল-হুম্মাইন্নী আউযুবিকা মিন ’আযাবিল কবরি ওয়া আউযুবিকা মিন ফিতনাতিল মাসীহিদ দাজ্জা-ল ওয়া আউযুবিকা মিন ফিতনাতিল মাহইয়া ওয়াল মামা-তি, আল্ল-হুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিনাল মা’সামি ওয়াল মাগরম” – (অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে কবরের আযাব থেকে আশ্রয় চাই। আমি তোমার কাছে মাসীহ দাজ্জালের ফিতনা থেকে আশ্রয় চাই। আমি তোমার কাছে জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে আশ্রয় চাই। আর আমি তোমার কাছে গুনাহ ও ঋণ থেকে আশ্রয় চাই।)।
আয়িশাহ (রাযিঃ) বলেনঃ জনৈক ব্যক্তি বলল- হে আল্লাহর রসূল! আপনি ঋণগ্রস্ত হওয়া থেকে এত আশ্রয় প্রার্থনা করেন কেন? (এ কথা শুনে) তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ কেউ যখন ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে তখন কথা বললে মিথ্যা বলে এবং প্রতিশ্রুতি দিলে তা ভঙ্গ করে। (মুসলিম শরীফ ১২১২,ইসলামী ফাউন্ডেশন ১২০১, ইসলামীক সেন্টার ১২১২)
وَحَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ وَأَبُو كُرَيْبٍ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ جَمِيعًا عَنْ وَكِيعٍ، - قَالَ أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، - حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ حَسَّانَ بْنِ عَطِيَّةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي عَائِشَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَعَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا تَشَهَّدَ أَحَدُكُمْ فَلْيَسْتَعِذْ بِاللَّهِ مِنْ أَرْبَعٍ يَقُولُ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ وَمِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ " .
নাসর ইবনু আলী আল জাহযামী, ইবনু নুমায়র, আবূ কুরায়ব, যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কেউ যখন (সালাতে) তাশাহহুদ পড় তখন চারটি জিনিস থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রার্থনা করবে। এ বলে দুআ করবেঃ “আল্লহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিন আযা-বি জাহান্নাম ওয়ামিন আযা-বিল কবরি ওয়ামিন ফিতনাতিল মাহইয়া- ওয়াল মামা-তি ওয়ামিন শাররি ফিতনাতিল মাসীহিদ দাজ্জা-ল”– (অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে জাহান্নাম ও কবরের আযাব থেকে, জীবন ও মৃত্যুর ফিতনাহ থেকে এবং মাসীহ দাজ্জালের ফিতনার ক্ষতি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি )। (মুসলিম শরীফ ১২১১,ইসলামী ফাউন্ডেশন ১২০০, ইসলামীক সেন্টার ১২১১)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে তাশাহুদের পরে চারটি জিনিস থেকে আশ্রয় চাইতেন। এটা তিনি ফরয নামাযের মধ্যে করতেন নাকি শুধুমাত্র নফল নামাজের মধ্যে করতেন,তাহা হাদীসে নির্দিষ্ট ভাবে উল্লেখ নেই।
উলামায়ে কেরামগন বলেছেন যে ফরজ নামাজ হোক আর নফল/ওয়াজিব/সুন্নাত নামাজ হোক,যেকোনো নামাজের মধ্যে তাশাহুদের পর উক্ত দোয়া পড়া যাবে।
(০২)
আখেরী বৈঠকে কুরআন সুন্নাহর বর্ণিত দোয়া করা যাবে, সমস্যা নেই।
ফরজ/নফল নামাজ সহ যেকোনো নামাজে কুরআন সুন্নাহর বর্ণিত যেকোনো দোয়া পড়া জায়েয আছে।
★সুতরাং সালাতের মধ্যে তাশাহুদের পরে উক্ত মাসনুন দোয়া টি ছাড়া কোরআন ও হাদিসের অন্যান্য আরবি দোয়া গুলো করতে পারবেন।
ঐ অবস্থায় দোয়া গুলো বারবার রিপিট করতেও পারবেন।
ইবনে মাসউদ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদিস: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদেরকে তাশাহ্হুদ শিক্ষা দিতেন। এরপর তিনি হাদিসের শেষের দিকে বলেন: "এরপর যা ইচ্ছা প্রার্থনা করবে।"[সহিহ বুখারী (৫৮৭৬) ও সহিহ মুসলিম (৪০২)]
এক বর্ণনায় আছে,
ثُمَّ يَتَخَيَّرْ مِنَ الْمَسْأَلَةِ مَا شَاءَ
“অতঃপর যা ইচ্ছা চেয়ে দু’আ করতে
(সহীহ আবু দাউদ, হা/৯৬৮, সহীহুল জামে হা/৭৪০৩, সহীহ।)
আরো জানুনঃ