আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
43 views
in সাওম (Fasting) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।
হুজুর,রোজা রেখে যদি ফোনে চ্যাট করার সময় অনিচ্ছাকৃত ভাবে কোনোরকম ঘষা বা চেষ্টা ছাড়া বীর্যপাত হয়ে যায়,তাহলে কি রোযা ভাঙবে?
এক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তির করণীয় কি?কাযা ও কাফফারা আদায় করতে হবে কি?

নাকি রোজা ভাঙবে না?

1 Answer

0 votes
by (607,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
জাবির ইবনে যায়েদকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর দিকে কামভাবের সাথে তাকানোর ফলে বীর্যপাত ঘটেছে, তার কি রোযা ভেঙ্গে গেছে? তিনি বললেন, ‘না। সে রোযা পূর্ণ করবে।’
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৬-২৫৯)

 إذَا عَالَجَ ذَكَرَهُ حَتَّى أَمْنَى يَجِبُ عَلَيْهِ الْقَضَاءُ، وَهُوَ الْمُخْتَارُ كَذَا فِي التَّجْنِيسِ والولوالجية وَبِهِ قَالَ عَامَّةُ الْمَشَايِخِ كَذَا فِي النِّهَايَةِ (البحر الرائق، كتاب الصوم، باب ما يفسد الصوم وما لا يفسده-2/475، وكذا فى الهندية-1/205، الباب الرابع فيما يفسد وما لا يفسد، كتاب الصوم(
সারমর্মঃ
রোযাদার যদি নিজ লিঙ্গকে চেষ্টা (মৈথুন) করে,তাতে যদি বীর্যপাত হয়ে যায়,তাহলে রোযার  কাজা আদায় করা ওয়াজিব হবে।

আরো জানুনঃ- 
,
যদি হাতের স্পর্শ ছাড়া শুধু কথা বলার দ্বারা স্বামী বা স্ত্রীর বীর্যপাত হয়ে যায়,সেক্ষেত্রে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।

ইচ্ছাকৃতভাবে লিঙ্গকে শরীর, কাপড় বা অন্য যেকোনো কিছুর সাথে স্পর্শ করে বীর্যপাত করকে সেটিকেও মৈথুন বলা হবে।
এতে রোযা ভেঙ্গে যাবে।

অর্থাৎ যখন বীর্যপাত হয়েছে,তখন যদি বীর্যপাতে হস্তমৈথুনের কোনো আছড় বা ক্রিয়া না থাকে,হস্তমৈথুনের পর উত্তেজনা শেষ হয়ে গেলে পরবর্তীতে সম্পূর্ণভাবে অন্য কিছু চিন্তার কারনেই বীর্যপাত হয়,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।

আর যদি হস্তমৈথুনের পর উত্তেজনা শেষ হওয়ার পূর্বেই অন্য কিছু চিন্তার কারনেই বীর্যপাত হয়,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।
কেননা এখানে সেই হস্তমৈথুনের আছড় বা ক্রিয়া আছে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরণ মতে এক্ষেত্রে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা। এমতাবস্থায় রোযা চালিয়ে গেলে কাজা ও কাফফারা কোনোটিই আবশ্যক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...