আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
24 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ,

১?আমার হায়েজের ৫ম দিন শেষ হওয়ার পর রাতে আর হায়েজ দেখা না যাওয়ায় ৬ষ্ট দিন রোজা রাখি।সারাদিন শেষে রাতে আবার হায়েজ দেখা যায়, তাহলে আমি যে সারাদিন রোজা রাখলাম সেটা কি রোজা হবে? নাকি সেটাকেও হায়েজের অন্তর্ভূক্ত ধরব?

২)আমার ১বছরের বাচ্চা ফ্লোরে প্রস্রাব করলে একবার শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে আবার পরিষ্কার ভিজা কাপড় দিয়ে মুছে নি। এভাবে কি নাপাকি দূর হবে? নাকি ভিজা কাপড় ৩বার পানি দিয়ে ৩বার মুছতে হবে?

৩)বাচ্চা বিছানায় প্রস্রাব করে দিলে,সেই প্রস্রাবের জায়গা যদি শুকিয়ে যায় তাহলে সেই জায়গায় বসা/ঘুমানো যাবে?

৪)বাচ্চা বিছানায় প্রস্রাব করে দিলে অনেকসময় বেডশীটের সাথে নিচের জাজিমও ভিজে যায়, তাহলে জায়গাটা কিভাবে পাক করতে হবে? পুরো বেডশীট ধুয়ে দিতে হবে? নাকি শুধু নাপাক জায়গা ৩বার মুছে নিলেই পাক হয়ে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (607,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বোচ্চ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,

أن النساء کن یبعثن بالکرسف إلی عائشۃ رضی اللہ تعالیٰ عنھا فکانت تقول : لا حتی ترین القصۃ البیضاء‘‘ ( المؤطأ للإمام مالک : ۱/۵۹۱ ،  : مصنف ابن عبد الرزاق، حدیث نمبر : ۱۱۵۹ )
সারমর্মঃ আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ সেই সমস্ত মহিলাদের বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা দেখিতে না পাও। 
,
আরো জানুনঃ

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
এটা যেহেতু ১০ দিনের মধ্যেই হয়েছে,সুতরাং এটিও হায়েজ। তাই উক্ত রোযা আদায় হয়নি।

উল্লেখ্য, যদি হায়েজের ১০ দিন পরেও আপনার ব্লিডিং হয়,সেক্ষেত্রে পূর্বের মাস গুলোর আপনার হায়েজের অভ্যাস এর দিন হিসাব করে এই মাসে হায়েজ ধরতে হবে।

এমতাবস্থায় যদি পূর্বের মাস গুলোর আপনার হায়েজের অভ্যাস ৫ দিন হয়,সেক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত ৬ষ্ট দিনের রোযা আদায় হয়ে যাবে।
সেই রোযা পুনরায় রাখতে হবেনা।
কেননা এমতাবস্থায় ৬ষ্ট দিন থেকে আপনার নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।

(০২)
ভেজা পাক কাপড় দিয়ে ৩ বার মুছতে হবে।
প্রত্যেক বার সেই ভেজা কাপড় নতুন পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

(০৩)
যাবে।

(০৪)
এক্ষেত্রে বেডশিট শুকিয়ে গেলে আপনি শুধুমাত্র উপরের চাদর ধুয়ে পাক করবেন।

পুরো তোশক পাক না করেও সেই বিছানায় ঘুমাতে পারবেন।

হ্যাঁ যদি পুরো তোশক পাক করতে চান,সেক্ষেত্রে নিম্নোক্ত লিংকে দেয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে পাক করতে হবেঃ-


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...