আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
54 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ!

আমার প্রায় সাড়ে তিন মাস যাবত পিরিয়ড হয়না। তো প্রায় ২০/২২ দিন আগে একবার ১ দিনের মত বাদামি স্রাব গিয়েছিল তারপর অফ হয়ে যায়। তাই আমি তখন তা ইস্তেহাজা ভেবে নামাজ আদায় করি। এখন ৪ দিন যাবত আবার আমার বাদামী স্রাব যাচ্ছে শুধুই স্রাব কোন ব্লিডিং না। আমি নামাজ,রোজা অফ রেখেছি।
যখন আমার অনেক দিন পিরিয়ড অফ থাকে যেমন ৩ মাস। তখনই আমার এরকম হয় যে ৭/৮ দিন শুধুই বাদামী স্রাব দেখা যায় কোন ব্লিডিং হয়না। এমনও আছে ১০ দিনের উপর শুধু বাদামী স্রাবই গিয়েছে কোন প্রকার ব্লিডিং হয়নি।তারপর থেকে শুরু হয় পুরো দমে ব্লিডিং প্রচুর ভারি ব্লিডিং যা শুরু হলে ২০/৩০ দিন চলে যায় বন্ধ হয়না ওষুধ না খাওয়া অব্দি।
তো আমি প্রায় এমন অনেকবার ১০ দিনের সেই স্রাবকে হায়েজ ধরে ব্লিডিং এর সময় থেকে নামাজ আদায় করেছি যা আমার জন্য খুবই কষ্টকর ছিল। এই অবস্থায় নামাজ আদায় খুবই কষ্টকর।
আমি আসলে জানতে চাচ্ছি যে আমার যে কয়েকদিন শুধু বাদামী স্রাব যায় তখন থেকে কি আমি নামাজ আদায় করতে পারবো? কারন আমার ব্লিডিং শুরু হয় ৮/৯ দিন পর থেকে ব্লিডিং এর সময় নামাজ পড়া খুবই কষ্টকর কারন আমার স্বাভাবিক হয়না প্রচুর ভারি ব্লিডিং হতে থাকে তখন মাথা ঘুরায়।
বি:দ্র: আমার ৯/১০ দিন পর থেকে ব্লিডিং হয় এটা শুধু মাত্রই ৩ মাসের মত পিরিয়ড গ্যাপ গেলে। যদি মাসে মাসে হয় তখন আমার ৭/৮ দিন যায়।

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা হলো ৩ তিন,আর সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হাদীস শরীফে এসেছে   
أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام
دار قطني، السنن، 1: 219، رقم: 61
রাসুল সাঃ বলেন  মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি এই বাদামী স্রাবকেই হায়েজ হিসেবে ধরবেন। এরপর ব্লিডিং হলে সেটি ইস্তেহাজা ধরে নামাজ রোযা চালিয়ে যাবেন।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা দ্রুত ভালোভাবে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ থাকবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...