আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
107 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (36 points)
edited by
আমার পরিবারের সদস্যদের ইসলামের জ্ঞান কম। পাক নাপাকি বিষয়ে সচেতন না আবার অজান্তে কুফরিও করে।তাদের সাথে থাকতে গেলে ইমানে সমস্যা মনে হতে থাকে। তাদেরকে যে বুঝাবো সে কথা তারা মানবে কিনা তাও জানি না। এমতাবস্থায় নামাজও পড়তে পারছি না। তাদের কাছে হয়ত মনে হয় আমি বাড়াবাড়ি করি। ।কিন্তু আমি অনেক নিশ্চিত যে নাপাক আছে আমাদের ঘরে। কিন্তু আমি স্টুডেন্ট হওয়ায় তারা আমাকে কাজও করতে দেয় ন?   আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে

 ১) পরিবারে থাকলে ইমানে সমস্যা মনে হয় তাহলে কি করব? কথা কম বলতাম মাঝখানে, তারা আমাকে এসে বুঝায় যে তাদের সাথে কথা বললে মন ভাল হবে, বান্ধবীদের সাথে মিশতে। কিন্তু তাদের সাথে কথা বলতে গেলেই মনে হয় কুফর হয়ে যাচ্ছে। এভাবে চুপচাপ থাকার কারনে তারা আমার কথাও শুনবে কিনা জানিনা।  এখন মনে হয় সব জায়গাতেই নাপাকি লেগে আছে, আগে অজ্ঞতাবশত, এখন জানা থাকার পরেও অপারগতার বা অলসতার দরুন। কাজের বুয়াকে দিয়ে কাপড় ধুয়ানো হয়। সে একজনের বাসা থেকে কাজ করে আসে, আমার জানামতে সেই বাসার মহিলা একজন পাক নাপাকি নিয়ে সচেতন না। আল্লাহ জানে।  এই অবস্থায় কি করব একটা পরামর্শ চাচ্ছি। আর কম কথা বলি তাদের সাথে, তাই ইসলাম বিষয়ক কোন কথা শুনতে চাবে কিনা জানিনা। এখন কি করব? তাদের কে ধীরে সুস্থে বুঝাতে গেলে তো কুফরের সম্ভাবনা থেকে যায়। আবার না বুঝালে যে সবসময়েই সমস্যা?

1 Answer

+1 vote
by (714,440 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ঘরের যে জায়গায় নাপাকি রয়েছে বলে আপনার মনে হয়, সেই জায়গাকে আপনি গোপনে ধৌত করে নিবেন।যদি সম্ভব না হয়, তাহলে নিজের জামা কাপড় এবং নিজ শরীরকে নাপাকি থেকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন। ঘরের লোকদেরকে আপনি হেকমতের সাথে বুঝাবেন ও দাওয়াত দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (714,440 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...