আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
190 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (72 points)
আসসালামু আলাইকুম,
১. বিশ্বে বিজ্ঞান, গণিত, শান্তি আর অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় পুরস্কার হল নোবেল পুরষ্কার। এই পদকে আল্ফ্রেড নোবেল এর ছবি খোদাই থাকে অনেকটা পয়সায় থাকা ছবির মত। কোন মুসলিম এই পুরস্কার পেলে সেটা কোন আবদ্ধ জায়গায় রেখে দিবে এই নিয়তে তা গ্রহণ জায়েজ কিনা? আর এই পুরস্কার এর অর্থ জায়েজ কিনা?

২. কেউ নাপাক থাকলে তার করা কাজ কি হবে না? বা যা স্পর্শ করবে তা নাপাক হবে এরকম কিছু?

৩. বইয়ে বা পত্রে ছবি (প্রাণীর) থাকলে সে বই ছবি না দেখে পড়া যাবে। কিন্তু যদি দেখে ফেলে তবে সেই বই কি পড়া হারাম হয়ে যাবে? সেখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ হারাম হবে? যদি এমন প্রয়োজন হয় যে ছবি দেখতেই হবে যেমনঃ জীববিজ্ঞান?
৪. মনোবিজ্ঞান কি ইসলামে নাজায়েজ?  হেলুসিনেশন, প্যারাসাইকোলজি এসব কি নাজায়েজ?

1 Answer

0 votes
by (683,240 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের বিধান মতে  পুরুস্কার গুলোতে ছবি থাকলে সেগুলো সংরক্ষণ করা নাজায়েয।

হাদিস শরীফে এসেছে,

قال حدثنا الاعمش عن مسلم قال كنا مع مسروق فى دار يسار بن نمير فراى فى صفته تماثيل فقال سمعت عبد الله قال سمعت النبى ﷺ يقول ان اشد الناس عذابا عند الله المصورون

আ’মাশ তিনি  মুসলিম হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি মাসরুকের  সঙ্গে ইয়াসার ইবনে নুমাইরের ঘরে ছিলাম, তিন ঘরের মধ্যে প্রাণীর ছবি দেখতে পেলেন, অতঃপর বললেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ্  রাযি.-এর নিকট শুনেছি, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘নিশ্চয় মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তিকে আল্লাহ্ তাআলা কঠিন শাস্তি দেবেন, যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি তোলে বা আঁকে।’ (বুখারী ২/৮৮০)

ছবি হারাম কেন,জানুনঃ

আবু তালহা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:

لَا تَدْخُلُ الْمَلَائِكَةُ بَيْتًا فِيهِ كَلْبٌ، وَلَا صُورَةٌ

“ফেরেশতাগণ ঐ ঘরে প্রবেশ করে না, যে ঘরে কুকুর অথবা ছবি থাকে। (সুনানে আন-নাসায়ী হা/৫৩৪৭-সহিহ)

عن على رضى الله تعالى عنه قال صنعت طعاما فدعوت النبى صلى الله عليه و سلم فجاء فدخل فراى سترا فيه تصاوير فخرج وقال ان الملكئة لا تدخلو بيتا فيه تصاوير .

অর্থঃ হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত| তিনি বলেন, আমি খাদ্য তৈরী করে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দাওয়াত দিলাম| হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসে, ঘরে প্রবেশ করে প্রাণীর ছবিযুক্ত একটি পর্দা দেখে, ঘর হতে বের হয়ে গেলেন| এবং বললেন, “নিশ্চয়ই ফেরেশতারা ঐ ঘরে প্রবেশ করেননা, যে ঘরে প্রাণীর ছবি থাকে|”
[ নাসাঈ শরীফ ২/ ৩০০ ]
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে পুরুস্কার গ্রহন করা জায়েজ আছে।
,
(০২)
কেউ নাপাক থাকলেও তার করা কাজ শুদ্ধ হবে। 
এতে শরয়ী দৃষ্টিকোন থেকে কোনো সমস্যা নেই। 
সে যা স্পর্শ করবে তা নাপাক হবেনা।
পাক থাকবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

أَخْبَرَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، قَالَ حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا كَانَتْ تُرَجِّلُ رَأْسَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهِيَ حَائِضٌ وَهُوَ مُعْتَكِفٌ فَيُنَاوِلُهَا رَأْسَهُ وَهِيَ فِي حُجْرَتِهَا .

নাসর ইবনু আলী (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, তিনি ঋতুমতী অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাথায় চিরুনি করতেন আর তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইতিকাফে থাকতেন। সেখান থেকে তার দিকে মাথা বাড়িয়ে দিতেন আর তিনি [আয়িশা (রাঃ)] থাকতেন হুজরায়।

সহিহ, বুখারি হাঃ ২৯৫, মুসলিম (ইসলামিক সেন্টার) হাঃ ৫৯৪

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنْتُ أُرَجِّلُ رَأْسَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا حَائِضٌ .

কুতায়বা (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি ঋতুমতী অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাথায় চিরুনি করে দিতাম।
(নাসায়ী ৩৮৯)
 , 
(০৩)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,   
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত বই পড়া জায়েজ আছে,তবে ছবি দেখা জায়েজ নেই।
তার উপর হাত বা অন্য কিছু রেখে পড়া যেতে পারে।
অন্যথায় গুনাহের জন্য আল্লাহর কাছে ইস্তেগফার পাঠ করতে হবে।    
,
আরো জানুনঃ 

(০৪)
যদি তাতে ইসলামী আকীদা বহির্ভুত কোনো কিছু না থাকে,তাহলে তাহা শিক্ষা করা জায়েজ আছে।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...