আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
26 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (18 points)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু,

গত রমজানে যাকাত দিয়েছিলাম।
নির্দিষ্ট তারিখ মনে নাই।  তবে রমজানের শেষ দশকে বলে মনে হচ্ছে।
১. মনে করুন, আমি গত বছর ২১ রমজান যাকাত দিয়েছি।
এ বছর ২০ রমজান পর্যন্ত আমার কাছে যাকাতের নেসাব পরিমাণ সম্পদ ছিল।  কিন্তু ২১ রমজানে আমার কাছে যাকাতের নেসাব পরিমাণ সম্পদ এর কম সম্পদ রয়েছে। তাহলে তো আমার উপর এ বছর যাকাত ফরজ নয়।  তাই নয় কি ?

১.২ মনে করুন, যাকাত  ফরজ হওয়ার তারিখ ২১ রমজান।  এরপর যাকাত বন্টনে ২-১ দিন দেরি হলে কোনো সমস্যা ?

 ১-২৪ রমজান পর্যন্ত আমি ৪১+ হাজার টাকা খরচ করি।
এখন আমার কাছে প্রায় ৪৫  হাজার টাকা আছে। আমার কাছে আরো পেন্ডিং ১২০+ আপকামিং ৮০ মোট  ২০০ ডলার (খরচ  বাদে প্রায় ২৩+ হাজার )   আছে যেগুলো রমজানের পর ব্যবহার যোগ্য হবে।
২. আমার কাছে তো যাকাতের নেসাব পরিমান টাকা নেই। আমি কি অগ্রিম যাকাত দিতে পারি যা আমি পরবর্তী রমজানে সমন্বয় করতে পারি ?

আমি পশুর যাকাতের ক্ষেত্রে কনফিউজ হয়ে যাই কারণ পশু আবার ব্যবসায়িক পণ্য হয়ে যায় কিনা।
শখ করে তো আর মানুষ পশু(গরু, ছাগল) লালন-পালন করে না ,  লাভের  জন্যই করে।
আমরা সাধারণত পশু লালন-পালন  করি। লালন পালন শেষে লাভজনক সময়ে বিক্রি করে দেই, টাকার প্রয়োজনে যেকোনো সময় ও বিক্রি করে দিতে পারি।
আমরা সাধারণত পশু  পাইকারের কাছে বিক্রি করে দেই। সে সন্তোষজনক লাভ পেলেই  মুহূর্তেই পশু  বিক্রি করে দিবে। সে তো ব্যবসা করলো বা করবে । লালনপালন তার মুখ্য উদ্দেশ্য নয়। তাই তার পশু ব্যবসায়িক পণ্য।
৩.১ তাই পশুর পাইকার কে টাকার হিসাবে (পশুর মূল্য) যাকাত দিতে হবে, পশুর সংখ্যা হিসেবে নয়। আমার ধারণা কি সঠিক ?

৩.২ মূল প্রশ্ন হচ্ছে : আমি যে লাভের জন্য পশু লালন পালন করলাম আমার পশুর ব্যাপারে যাকাতের হুকুম কি ?  আমার পশু ও কি ব্যবসায়িক পণ্য হলো ? না হলে তো যাকাতের নেসাব হবে পশুর সংখ্যা, পশুর টাকা নয়।  তাই নয় কি ?


৩.৩ পশুর সংখ্যা হিসেবে যাকাত হলে (কয়েক বছর পর কিংবা যেকোনো সময় ) পশু বিক্রি হলে সেই টাকার হুকুম কি যেখানে কোনো ব্যক্তি রমজান মাসে সে অন্যান্য সম্পদের যাকাত দিয়ে থাকে?

৩.৪ পশুর খামার যেখানে অনেক পশু লালন পালন করা হয় (মুখ্য উদ্দেশ্য হতে  পারে লালন পালন করে দুধ বিক্রি, বংশ  বৃদ্ধি করে কিংবা বড়ো করে  বিক্রি ) এসব খামারের  পশুর ব্যাপারে যাকাতের হুকুম কি ? সংখ্যা নাকি পশুর মূল্য ?

1 Answer

0 votes
by (632,880 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) যাকাত ওয়াজিব হওয়ার জন্য শর্ত হল, নেসাব পরিমাণ মালে চন্দ্রবর্ষ হিসেবে পুরোপুরি এক বৎসর অতিবাহিত হওয়ার। সুতরাং আপনি যদি গত বছর ২১ রমজান যাকাত দিয়ে থাকেন। এই বছর ২০ রমজান পর্যন্ত আপনার নিকট নেসাব পরিমাণ মাল থাকে, তবে ২১ রমজান আপনার নিকট নেসাব পরিমাণ সম্পদ না থাকে, বরং কিছুটা কমে যায়, তাহলে এই বছর আপনার উপর যাকাত ফরজ হবে না।

(২) যাকাত ফরজ হওয়ার তারিখ ২১ রমজান। কিন্তু যাকাত বন্টনে ২-১ দিন যদি দেরি হয়, তাহলে গোনাহ হবে  না।

الفتاوى الهندية (1/ 175)ط دار الفکر:
"(ومنها حولان الحول على المال) العبرة في الزكاة للحول القمري كذا في القنية، وإذا كان النصاب كاملًا في طرفي الحول فنقصانه فيما بين ذلك لايسقط الزكاة كذا في الهداية. ولو استبدل مال التجارة أو النقدين بجنسها أو بغير جنسها لا ينقطع حكم الحول، ولو استبدل السائمة بجنسها أو بغير جنسها ينقطع حكم الحول كذا في محيط السرخسي.
ومن كان له نصاب فاستفاد في أثناء الحول مالا من جنسه ضمه إلى ماله وزكاه المستفاد من نمائه أولا وبأي وجه استفاد ضمه سواء كان بميراث أو هبة أو غير ذلك.


وشرط کمال النصاب فی طرفي الحول فی الابتداء للانعقاد وفی الانتہاء للوجوب فلا یضر نقصانہ بینہا۔ (در مختار / باب زکاۃ المال ۳؍۲۳۳ زکریا، کذا في الفتاویٰ التاتارخانیۃ ۳؍۱۸۱ زکریا)


 صورت مسئولہ میں اگر ۲/ رمضان کو وہ صاحب نصاب نہیں تھا، تو شرعاً اس پر اس سال کی زکات واجب نہیں ہوگی اگرچہ ۳/ رمضان کو اس کے پاس نصاب سے زائد مال آگیا ہو، اب اس کی زکات کے حساب کی تاریخ ۳/ رمضان ہوگی اور آئندہ سال ۳/ رمضان کو اگر وہ صاحب نصاب ہے گا تو اس پر زکات فرض ہوگی۔
جواب نمبر: 60242
دارالافتاء،
دارالعلوم دیوبند

(২) হ্যা, আপনি অগ্রিম যাকাত দিতে পারবেন। পরবর্তী রমজানে সমন্বয় করে নিবেন।

পশুর ক্রয়ের সময় ক্রয় বিক্রয়ের নিয়ত থাকলে  সেটা ব্যবসায়িক পণ্য হিসেবে বিবেচিত হবে।


(৩) পশু পাইকারকে পশুর সংখ্যা হিসেবে যাকাত দিতে হবে। 
পশুর যাকাত দুই প্রকার (১) পশুর সংখ্যা হিসেবে পশু দ্বারা আদায় করা, (২) ব্যবসায়িক হিসেবে আদায় করা।

প্রকার প্রকারের যাকাত ওয়াজিব হওয়ার জন্য শর্ত
(১)
যে পশু বৎসরের অধিকাংশ সময়, মাঠে নিজে নিজে চড়ে খাবে, সেই পশুর উপর যাকাত ওয়াজিব হবে। 
(২) দুধ বা বংশ বৃদ্ধি উদ্দেশ্য থাকতে হবে। গোশত উদ্দেশ্য হলে ব্যবসায়িক পণ্য হিসেবে বিবেচিত হবে।
(৩) সুস্থ সবল হতে হবে।
(৪) সব কটি বাচ্চা হতে পারবে না। বরং দুয়েকটি বড় হতে হবে।

(قوله: سائمة) نعت لثلاثون فهو مرفوع ويجوز النصب على التمييز ح فلو علوفة فلا زكاة فيها إلا إذا كانت للتجارة فلا يعتبر فيها العدد بل القيمة."(كتاب الزكاة، باب زكاة البقر، ج:2، ص:280، ط: دار الفكر)

(৪)  লাভের জন্য পশু লালন পালন করলে ব্যবসায়িক পণ্য হিসেবে বিবেচিত হবে।


(৫) পশুর সংখ্যা হিসেবে যাকাত হলে (কয়েক বছর পর কিংবা যেকোনো সময় ) পশু বিক্রির পর সেই টাকাতে পরবর্তী বৎসর যাকাত আসবে যদি তা অবশিষ্ট থাকে। তবে এই বৎসর আসবে না।

(৬) পশুর খামারে ব্যবসায়িক যাকাত আসবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...