আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
77 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ।
যাকাত সম্পর্কে ধারণাটা খুব কম তাই বুঝতে পারছি না আমাদের যাকাত কত আসবে। বিশ্বস্ত কেউ নেই যিনি বলতে পারবেন। যদিও এটা ব্যক্তিগত প্রশ্ন কিন্তু জবাব দিলে উপকৃত হবো  উস্তায।

আমাদের সম্পদ :

> সোনা ২ ভড়ি

>রুপা আট আনা(হয়ত আরও কম)

> আব্বু সরকারী চাকুরী করতেন, তাই রিটায়ার্ড করার সময় ৪লাখ টাকা পেয়েছেন সেটা আছে।

> গত বছর জুন/জুলাই তে পৈতৃক সম্পওি যা ছিল তা সব বেচে সাড়ে ৮ লাখের মত পেয়েছিলাম যা দিয়ে জায়গা কেনার ও ঘর তোলার চিন্তা-ভাবনা আছে।

> পেনশন হিসেবে ৭৭০০ এর মত আসে, ঈদ বোনাস বাদে।

আমাদের যাকাত কতটুকু দিতে হবে?

জাযাকাল্লাহ।

আফওয়ান।

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী স্বর্ণের ক্ষেত্রে যাকাতের নিসাব হল বিশ মিসকাল। -সুনানে আবু দাউদ ১/২২১; মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক  হাদীস ৭০৭৭, ৭০৮২
আধুনিক হিসাবে সাড়ে সাত ভরি।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى قَالَا حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُوسَى أَنْبَأَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ إِسْمَعِيلَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ وَاقِدٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ وَعَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَأْخُذُ مِنْ كُلِّ عِشْرِينَ دِينَارًا فَصَاعِدًا نِصْفَ دِينَارٍ وَمِنْ الْأَرْبَعِينَ دِينَارًا دِينَارًا

ইবনু ‘উমার ও ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)  থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি বিশ দিনার বা তার চেয়ে কিছু বেশি হলে অর্ধ দিনার এবং চল্লিশ দিনারে এক দিনার (যাকাত) গ্রহণ করতেন।

ইবনে মাজাহ ১৭৯১ ইরওয়াহ ৮১৩।
দারাকুতনী ১৮৭৯, ১৮৯২।

সাড়ে ৫২ ভরি রুপা হলে তার উপর যাকাত ফরজ। 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
عن أبي سعيد الْخُدْرِي رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : «ليس فيما دون خمس أَوَاقٍ صدقة، ولا فيما دون خمس ذَوْدٍ صدقة، ولا فيما دُونَ خمسة أَوْسُقٍ صدقة».  
[صحيح] - [متفق عليه]

আবূ সা‘ঈদ আল-খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “পাঁচ উকিয়ার কম রৌপ্যমুদ্রায় যাকাত নেই এবং পাঁচটি উটের কমের ওপর যাকাত নেই। পাঁচ ওয়াসাক এর কম শষ্যের ওপর যাকাত নেই।”
(বুখারী,মুসলিম)

শরীয়তের বিধান হলো যদি কাহারো কাছে সোনা-রুপা, টাকা-পয়সা কিংবা বাণিজ্য-দ্রব্য- এগুলোর কোনোটি পৃথকভাবে পূর্ণ  নিসাব পরিমাণ না থাকে, কিন্তু এসবের একাধিক সামগ্রী এ পরিমাণ রয়েছে, যা একত্র করলে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার সমমূল্য বা তার চেয়ে বেশি হয় তাহলে এক্ষেত্রে সকল সম্পদ হিসাব করে যাকাত দিতে হবে।
(মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক হাদীস ৭০৬৬,৭০৮১; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা ৬/৩৯৩)

আরো জানুনঃ  

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আগে প্রতিটি সম্পদের মালিকানা নির্দিষ্ট করতে হবে।
প্রশ্নে উল্লেখিত ২ ভরি স্বর্ণের মালিক কে?
৮ আনা রুপার মালিক কে?
আপনার আব্বু কি জীবিত আছেন? নাকি মারা গিয়েছেন?
জীবিত থাকলে সেই ৪ লাখ টাকা কি তিনি নিজ মালিকানায় রেখেছেন?
নাকি সন্তানদের মাঝে ভাগ করে দিয়েছেন?
ভাগ করে দিলে কে কত টাকার মালিক?
পৈত্তিক সম্পত্তি বিক্রয় করে যে ৮ লাখ টাকা হয়েছে,এই টাকার মালিক কে?

কমেন্ট বক্সে বিস্তারিত জানালে জবাব প্রদানে সুবিধা হতো।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
reshown
  > স্বর্ণ আর রুপার মালিক বর্তমানে আমার আম্মু।
> আব্বু মারা গেছেন ১৫ বছর
> টাকাগুলো জমা আছে।
> ভাগ করা হয় নায়।
আমরা ৩ বোন, ২ বোন বিবাহিত, এখন আমি আর আম্মু আছি।
by
উস্তায উওর দিলে খুব উপকৃত উপকৃত হবো। 

by (678,880 points)
আপনার আম্মুর উপর যাকাত ফরজ। 

এক্ষেত্রে উক্ত রুপা আর স্বর্ণের বর্তমান বাজার মুল্য ধরে তার মালিকানায় থাকা টাকার সাথে যোগ করবে।
এরপর পুরোটার শতকরা আড়াই পার্সেন্ট যাকাত হিসেবে প্রদান করবে।
by (678,880 points)
টাকা গুলো যাহা ভাগ করা হয়নি,তাহা দ্রুত ভাগ করে দিতে হবে।
প্রত্যেকের মালিকানায় টাকা দিতে হবে।

নতুবা যাকাত এর হিসাব বের করা যাবেনা।
by
টাকাগুলো ৮ লাখ তো গ্রামের বাড়িতে ঘর তুলবো বলে রাখা হয়েছে আর বাকি ৪ লাখ থেকে আমার বিয়েতে খরচের চিন্তা ভাবনা আছে, এ টাকাগুলো তাহলে ভাগ কিভাবে করা হবে? আমরা কেউই ভাগ চাই নি। 
by (678,880 points)
শরীয়তের আইন হিসাবে ঐ ১২ লাখের ৮ ভাগের এক ভাগ আপনার মা পাবে।

আর বাকি টাকা আপনাদের ৩ বোনের মাঝে সমান ভাবে বন্টন হবে।

এক্ষেত্রে মালিকানা তো নির্দিষ্ট হয়ে গেলো।
এখন যে যে নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক হয়েছে,তার উপর যাকাত ফরজ হবে। 
 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...