বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কবিরা গোনাহ যেমন ধর্ষণ ইত্যাদিতে লিপ্ত ইমামের পিছনে কি নামায শুদ্ধ হবে?
উত্তরঃ
এ প্রশ্নের জবাব জানার পূর্বে আমাদের দুয়েকটি হাদীস ও আসরের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে হবে। দেখুন হাদীস শরীফে এসেছে,
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻰ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ :( ﻣَﻦْ ﻧَﻔَّﺲَ ﻋَﻦْ ﻣُﺆْﻣِﻦٍ ﻛُﺮْﺑَﺔً ﻣِﻦْ ﻛُﺮَﺏِ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﻧَﻔَّﺲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻛُﺮْﺑَﺔً ﻣِﻦْ ﻛُﺮَﺏِ ﻳَﻮْﻡِ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ ، ﻭَﻣَﻦْ ﻳَﺴَّﺮَ ﻋَﻠَﻰ ﻣُﻌْﺴِﺮٍ ﻳَﺴَّﺮَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻓﻲ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﻭَﺍﻵﺧِﺮَﺓِ ، ﻭَﻣَﻦْ ﺳَﺘَﺮَ ﻣُﺴْﻠِﻤًﺎ ﺳَﺘَﺮَﻩُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻓﻲ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﻭَﺍﻵﺧِﺮَﺓِ ، ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻓﻲ ﻋَﻮْﻥِ ﺍﻟْﻌَﺒْﺪِ ﻣَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﺍﻟْﻌَﺒْﺪُ ﻓﻲ ﻋَﻮْﻥِ ﺃَﺧِﻴﻪِ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দুনিয়ার কোনো কষ্টক্লিষ্টকে দূর করবে,কেয়ামতের দিন আল্লাহ তা'আলা তার কষ্টক্লিষ্টকে দূর করে দিবেন।আর যে ব্যক্তি কোনো অভাবীর অভাবকে দূর করবে,কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে প্রশস্ততার জীবন দান করবেন।আর যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষত্রুতিকে গোপন রাখবে,আল্লাহ তা'আলা দুনিয়া ও আখেরাতে তার দোষত্রুতিকে গোপন রাখবেন।বান্দা যতক্ষণ পর্যন্ত তার ভাইয়ের সাহয্যের মধ্যে থাকবে,আল্লাহ তা'আলা ততক্ষণ ঐ বান্দার সাহায্যে থাকবেন।(সহীহ মুসলিম২৬৯৯)
ইমাম ত্বাহাবী রাহ, উনার আক্বিদার কিতাব- 'আক্বিদাতুত ত্বাহাবী'- নামক কিতাবে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এর আক্বিদা বর্ণনা করতে যেয়ে বলেন,"আমরা আহলে কিবলা প্রত্যেক নেককার এবং বদকারের পিছনে নামায পড়াকে বৈধ মনে করি।এবং নেককার বদকার যেই মারা যাক না কেন সবার জানাযার নামাযে আমরা অংশগ্রহণ করি"।
উক্ত আক্বিদার সমর্থন আমরা নিম্নোক্ত হাদীস থেকে পেতে পারি।হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ( ﺍﻟﺼَّﻼﺓُ ﺍﻟْﻤَﻜْﺘُﻮﺑَﺔُ ﻭَﺍﺟِﺒَﺔٌ ﺧَﻠْﻒَ ﻛُﻞِّ ﻣُﺴْﻠِﻢٍ ﺑَﺮًّﺍ ﻛَﺎﻥَ ﺃَﻭْ ﻓَﺎﺟِﺮًﺍ ﻭَﺇِﻥْ ﻋَﻤِﻞَ ﺍﻟْﻜَﺒَﺎﺋِﺮَ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, ওয়াক্তিয়া ফরয নামায ইমামের পিছনে জামাতের সাথে পড়া ওয়াজিব।চায় ইমাম নেককার হোক বা বদকার হোক।এবং চায় উক্ত ইমাম কবিরাহ গুনাহ করে থাকুক না কেন।(সুনানে আবু-দাউদ;৫৯৪)(কেউ কেউ যেমন ইমাম আলবানী রাহ উক্ত হাদীসকে সনদের দিক দিয়ে দুর্লব বলেছেন) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
291
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সুতরাং কবিরা গোনাহ লিপ্ত তথা চুরির অভিযোগ প্রমাণিত ইমামের পিছনে নামায আদায় যদিও শুদ্ধ হয়ে যাবে। ইমাম তাওবাহ না করলে , এমন ইমামকে অপসারণ করাই উচিৎ।