আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
190 views
in সালাত(Prayer) by (5 points)
আমাদের এলাকার ইমাম এর বিরুদ্ধে দানবাক্স এর টাকা চুরির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাকে অপসারণ এর সিদ্ধান্ত নেয় মাসজিদ কমিটি কিন্ত রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সে এখনো ইমামতি করছে। তার পেছনে সালাত আদায় করা জায়েজ হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কবিরা গোনাহ যেমন ধর্ষণ ইত্যাদিতে লিপ্ত ইমামের পিছনে কি নামায শুদ্ধ হবে?
উত্তরঃ
এ প্রশ্নের জবাব জানার পূর্বে আমাদের দুয়েকটি হাদীস ও আসরের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে হবে। দেখুন হাদীস শরীফে এসেছে,
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻰ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ :( ﻣَﻦْ ﻧَﻔَّﺲَ ﻋَﻦْ ﻣُﺆْﻣِﻦٍ ﻛُﺮْﺑَﺔً ﻣِﻦْ ﻛُﺮَﺏِ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﻧَﻔَّﺲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻛُﺮْﺑَﺔً ﻣِﻦْ ﻛُﺮَﺏِ ﻳَﻮْﻡِ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ ، ﻭَﻣَﻦْ ﻳَﺴَّﺮَ ﻋَﻠَﻰ ﻣُﻌْﺴِﺮٍ ﻳَﺴَّﺮَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻓﻲ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﻭَﺍﻵﺧِﺮَﺓِ ، ﻭَﻣَﻦْ ﺳَﺘَﺮَ ﻣُﺴْﻠِﻤًﺎ ﺳَﺘَﺮَﻩُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻓﻲ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﻭَﺍﻵﺧِﺮَﺓِ ، ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻓﻲ ﻋَﻮْﻥِ ﺍﻟْﻌَﺒْﺪِ ﻣَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﺍﻟْﻌَﺒْﺪُ ﻓﻲ ﻋَﻮْﻥِ ﺃَﺧِﻴﻪِ ) 
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দুনিয়ার কোনো কষ্টক্লিষ্টকে দূর করবে,কেয়ামতের দিন আল্লাহ তা'আলা তার কষ্টক্লিষ্টকে দূর করে দিবেন।আর যে ব্যক্তি কোনো অভাবীর অভাবকে দূর করবে,কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে প্রশস্ততার জীবন দান করবেন।আর যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষত্রুতিকে গোপন রাখবে,আল্লাহ তা'আলা দুনিয়া ও আখেরাতে তার দোষত্রুতিকে গোপন রাখবেন।বান্দা যতক্ষণ পর্যন্ত তার ভাইয়ের সাহয্যের মধ্যে থাকবে,আল্লাহ তা'আলা ততক্ষণ ঐ বান্দার সাহায্যে থাকবেন।(সহীহ মুসলিম২৬৯৯)

ইমাম ত্বাহাবী রাহ, উনার আক্বিদার কিতাব- 'আক্বিদাতুত ত্বাহাবী'- নামক কিতাবে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এর আক্বিদা বর্ণনা করতে যেয়ে বলেন,"আমরা আহলে কিবলা প্রত্যেক নেককার এবং বদকারের পিছনে নামায পড়াকে বৈধ মনে করি।এবং নেককার বদকার যেই মারা যাক না কেন সবার জানাযার নামাযে আমরা অংশগ্রহণ করি"।

উক্ত আক্বিদার সমর্থন আমরা নিম্নোক্ত হাদীস থেকে পেতে পারি।হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ( ﺍﻟﺼَّﻼﺓُ ﺍﻟْﻤَﻜْﺘُﻮﺑَﺔُ ﻭَﺍﺟِﺒَﺔٌ ﺧَﻠْﻒَ ﻛُﻞِّ ﻣُﺴْﻠِﻢٍ ﺑَﺮًّﺍ ﻛَﺎﻥَ ﺃَﻭْ ﻓَﺎﺟِﺮًﺍ ﻭَﺇِﻥْ ﻋَﻤِﻞَ ﺍﻟْﻜَﺒَﺎﺋِﺮَ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, ওয়াক্তিয়া ফরয নামায ইমামের পিছনে জামাতের সাথে পড়া ওয়াজিব।চায় ইমাম নেককার হোক বা বদকার হোক।এবং চায় উক্ত ইমাম কবিরাহ গুনাহ করে থাকুক না কেন।(সুনানে আবু-দাউদ;৫৯৪)(কেউ কেউ যেমন ইমাম আলবানী রাহ উক্ত হাদীসকে সনদের দিক দিয়ে দুর্লব বলেছেন) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-291

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সুতরাং কবিরা গোনাহ লিপ্ত তথা চুরির অভিযোগ প্রমাণিত ইমামের পিছনে নামায আদায় যদিও শুদ্ধ  হয়ে যাবে। ইমাম তাওবাহ না করলে , এমন ইমামকে অপসারণ করাই উচিৎ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...