ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ক্বেরাত বিশেষজ্ঞ উলামায়ে কেরাম বলেন,তাজবিদ শিক্ষা করা প্রত্যেকে মুসলমানের উপর ফরযে (আইন)।
ক্বেরাত বিশেষজ্ঞ মুহাস্মদ ইবনে জাযরি রাহ বলেন,
ﻭﺍﻷﺧﺬ ﺑﺎﻟﺘﺠﻮﻳﺪ ﺣﺘﻢ ﻻﺯﻡ ﻣﻦ ﻟﻢ ﻳﺠﻮﺩ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﺁﺛﻢ .
তাজবিদ সহকারে কোরআন শিক্ষা করা অতি অত্যাবশ্যকীয়।তাজবিদ সহকারে যে কুরআন পড়বে না সে গোনাহগার হবে। কিন্তু উনার ছেলে আহমদ ইবনে মুহাম্মদ জাযরি এই কবিতার ব্যখ্যায় লিখেন,যাদের জন্য পূর্ণ তাজবিদ সহকারে কুরআন তেলাওয়াত সম্ভব। শুধুমাত্র তাদের জন্যই পূর্ণ তাজবিদ সহকারে কুরআন তেলাওয়াত করা ওয়াজিব।আর যাদের বেলায় সম্ভব নয়, তাদের জন্য পূর্ণ তাজবিদ সহকারে কুরআন তেলাওয়াত করা ওয়াজিব নয়।বরং অর্থে পরিবর্তন আসেনা এমনকরে কুরআন পড়াই তাদের জন্য যথেষ্ট হবে।এমনকি তারা পূর্ণ তাজবিদ সহকারে না পড়লেও তাদের কোনোপ্রকার গোনাহগার হবেন না। (শরহু তাইয়্যিবাতুন-নাশর-৬৩)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1126
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী নামায ফাসিদ হবে না। কেননা পরবর্তীতে সংশোধন করে নেয়া হয়েছে।
"وفي المضمرات: قرأ في الصلاة بخطإ فاحش ثم أعاد وقرأ صحیحاً فصلاته جائزة". (حاشیة الطحطاوي علی الدر المختار،۱: ۲۶۷ط: مکتبة الاتحاد دیوبند)
"ذکر في الفوائد: لو قرأ في الصلاة بخطإفاحش ثم رجع وقرأ صحیحاً ، قال: عندي صلاته جائزة". (الفتاوی الهندیة، ۱: ۸۲، ط: المطبعة الکبری الأمیریة، بولاق، مصر)فقط واللہ اعلم