আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
34 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (3 points)
সম্মানিত হযরত, এর আগে আইফাতওয়া থেকে আমি বেশ কিছু উত্তর পেয়েছি৷ যেমন কোনো বিষয় চিন্তা করলে তখন যদি কোনো কুরআনের আয়াত দেখতে বা শুনতে পাই, তাহলে সেটি আল্লাহর উত্তর নয় এবং  কোন ডিসিশন নিয়ে তারপর কুরআন এর যেকোনো আয়াতে চোখ রেখে সেটাকেই আল্লাহর উত্তর মনে করা এরকম ধরণের বিশ্বাস করা জায়েজ নেই। আমার আরেকটু বিস্তারিত জানার আছে শাইখ। সেটা হলো আমি একটা ছেলেকে পছন্দ করতাম বেদ্বীন অবস্থায়,  এখনো ভুলতে পারিনি৷হয়তো আমি ভুলতে চাইনি কারণ আমার মন খুব চায় তার সাথে কল্যাণকর অবস্থায় আমার বিবাহ হোক, যেটা আপাত দৃষ্টিতে অসম্ভব৷  এখন হযরত, যখন ই তাকে বিয়ে করার কথা চিন্তা করি তখন ই হয় এমন কোনো কুরআনের আয়াত বা হাদিস চোখে পড়ে যাতে বলা হয়েছে যে এতে তুমি চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে বা কাফির হয়ে যাবে৷বা এমন কোনো লেকচার সামনে পড়ে যাতে আলোচনা হয় যে এতে ঈমানহীন মৃত্যু হবে এরকম টাইপ বা এটি মুমিনদের জন্য হারাম করার হয়েছে এমন কোনো আয়াত৷  আবার যখন তাকে বিয়ে না করার চিন্তা করি তখন জান্নাত সংক্রান্ত বা আল্লাহর পুরষ্কার সংক্রান্ত কোন আয়াত বা হাদিস সামনে আসে৷ এতে করে আমার মনে কিছু প্রশ্ন উদয় হয়েছে।
১. সম্মানিত শাইখ, আল্লাহ পাক কি এভাবে আমাকে কোনো ইঙ্গিত দিচ্ছেন যে, ওই ছেলেকে বিয়ের বাসনা অন্তরে থাকলে আমি কাফির হয়ে মারা যেতে পারি এরকম কিছু? এ ব্যাপারে আমার আকিদা কি হবে হযরত?

২. আমি যদি ওই ছেলেকে পাওয়ার জন্য দোয়া নাও করি, তবুও অন্তরে যদি ছেলেটার সাথে বিয়ে হওয়ার আকাংখা থেকে যায় সারাজীবন,  তাহলে কি আমার ঈমানহীন হয়ে মৃত্যুর কোন আশংকা আছে কিনা হযরত? আমি খুবই ভয়ে আছি৷
৩. এইযে বারবার এরকম নেগেটিভ রিমাইন্ডার চোখে পড়ে বারবার, এটার পরও কি ছেলেটাকে কল্যাণকরভাবে পাওয়ার দোয়া করা আর করা যাবে কিনা? হযরত এটা কি ব্যভিচার কিনা? কারণ আমি যখন বেদ্বীন ছিলাম তখন তার জন্য অসম্ভব পাগলামি করতাম, যেগুলো নাজায়েজ ছিলো। হয়তো শিরকও থাকতে পারে কোনো কাজ৷ আমার মনে নেই তেমন৷
৪. আমি ওই ছেলেকে যদি কোনোদিন ই ভুলতে না পারি মন থেকে তাহলে কি আমি ভবিষ্যৎে কাফির হয়ে মারা যাবো, আল্লাহ পাক কি এটাই বোঝাতে চান আমাকে? আল্লাহ কি আমাকে এতোটাই কঠিন পাকড়াও করবেন হযরত? আমি খুব খুব খুব ভয়ে দিন পার করছি৷ আমি কাফির হতে চাইনা আবার ছেলেটাকেও বিয়ে করার খুব ইচ্ছে হয়৷ এই দুশ্চিন্তায় আমি অর্ধেক পাগল বর্তমানে৷ আমার হালত এখন বর্ণনাতীত৷ কতোরাত যে ভয়ে ঘুম হয়না একদম। বারবার শুধু মনে হয় আমি কাফির হয়ে মারা যাবো কিনা, ভয়ে ঘুম নাই৷
৫. হযরত,  আমাকে আগের ফাতওয়ায় বলা হয়েছিলো একটা হাদিস যে, নেকির ব্যাপারে নিজের অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞেস করো। তো আমি হচ্ছি হযরত প্রচন্ড অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার এর রোগী৷ নিজের অন্তরের কোনো কিছু আমি শিওরলি বিশ্বাস করতে পারিনা। আমি প্রচন্ড মানসিক চাপে ভুগছি৷ আপনারা আমাকে দয়া করে পথ দেখান ফাতওয়া দিয়ে,  নাহলে আমি কোনদিন পাগল হয়ে যাবো জানা নেই৷
৬৷ হযরত আমি কাফির হয়ে মারা যাবো এই দুশ্চিন্তা টা আমি কিভাবে বাদ দিবো? আমি কাফির হতে চাইনা। যদি ওই ছেলেকে নাও ভুলতে পারি, সারাজীবন ব্যভিচারের গুনাহ হয়েও যায় তবুও আমি কাফির হয়ে মরতে চাইনা, যেহেতু আলিমগণ বলে থাকেন ব্যভিচারীদের বেশিরভাগ সময় ঈমানহীন মৃত্যু হয় তাই আমি অত্যাধিক ভীত এবং পরিশ্রান্ত৷ ওই ছেলের আইডি একদিন আমি দেখতে গিয়ে আমার মোবাইল নিচে পড়ে নষ্ট হয়ে যায়৷ এটা যদিও গুনাহর কাজ পরপুরুষ এর আইডি দেখা। আর দেখিনা এখন সেভাবে৷ তবে তার কথা খুবই মনে পড়ে৷ তাকে ছাড়া সারাদিন খুব একা লাগে, প্রবল কষ্ট হয়, বেঁচে থাকা কষ্টকর লাগে, জান্নাতেও তাকে পাবোনা ভেবে খুব হতাশ লাগে৷ এগুলো কি সেই ব্যভিচার হযরত? যার কারণে ঈমানহীন মৃত্যু হয়।
দয়া করে সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আমার অশান্ত আর ভীত অন্তরটাকে একটা পথ দেখাবেন। আমি কাফির হয়ে মরতে চাইনা, আমার জন্য দোয়া করবেন

1 Answer

0 votes
by (618,390 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3318

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি ঐ সব চিন্তাকে পরিহার করুন। যখনই নে এরকম আজে বাজে চিন্তা আসবে, তখন বাম দিকে থুথু নিক্ষেপ করে তিনবার আউযু বিল্লাহ পড়বেন।তারপর অজু করে দু রাকাত নামায পড়ে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...