আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
60 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।আমার বাড়ি ভারতে।

আমি জানতে চাচ্ছি বাংলাদেশে এক ফ্রেন্ড সমন্ধে।আমার ফ্রেন্ডএর বিয়ে হয়েছে ১০ দিন আগে ।ছেলে তালাক প্রাপ্ত ,,পরে আমার ফ্রেন্ড এর সাথে এক দীনি বায়ো ডাটা প্ল্যাটফর্ম থেকে আলাপ হয়। তখন একে উপর কে পছন্দ করেন।ছেলে বিয়ের কথা বাড়িতে জানালে আমার ফ্রেন্ড কে ছেলের "মার" পচন্দ হয়না ।তারা অনেক দিন যাবৎ কথা বলার পরেও বিয়ে টা হয়নি।সেই ছেলে আবার অন্য কোথাও বিয়ে করেন।

বিয়ে করার ২ মাস পর আবার আমার ফ্রেন্ড সাথে কথা হয় এবং ছেলের মার পছন্দ হয় এবং সেই ছেলের সাথে বিয়ে দেয় আমার ফ্রেন্ডের ।তার আগে বউ বিয়ের সন্ধের কথা গুলো জানেন না।ছেলে এবং আর আমার ফ্রেন্ড এক সাথে সংসার করতেছে এখন আলাদা কোথাও,,,( এইখানে বলে রাখা দরকার মেয়ে বাড়ীতে কেউ জানে না,, শুধু ছোট ভাই ছাড়া ,এখনো জানেন না ) আমার প্রশ্ন :___এইখানে কত টুক ইসলামের আইন কানুন হিসাবে কাজ হয়েছে এবং এই বিয়ে কি আদৌ হয়েছে বা করণীয় কি কত টুক জায়েজ?

1 Answer

0 votes
by (67,470 points)

ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।

বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/59301/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

স্বামীর জন্য জরুরি হলো স্ত্রীর অধিকার রক্ষা করা, তার সাথে সদব্যবহার করা।

নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন

ألا واستوصوا بالنساء خيرا، فإنما هن عوان عندكم ليس تملكون منهن شيئا غير ذلك

শোন হে! তোমরা আমার পক্ষ হতে নারীদের প্রতি সদাচরণের উপদেশ গ্রহণ কর। তারা তো তোমাদের কাছে আটকে আছে। তোমরা তাদের কাছ থেকে এছাড়া আর কিছুর অধিকার রাখো না। (জামে তিরমিযী, হাদীস: ১০৮৩

,

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ كَانَتْ لَهُ امْرَأَتَانِ فَمَالَ إِلَى إِحْدَاهُمَا جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَشِقُّهُ مَائِلٌ " .

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি দুই’জন স্ত্রী থাকা অবস্থায় তাদের একজনের প্রতি ঝুঁকে পড়ল, ক্বিয়ামাতের দিন সে পঙ্গু অবস্থায় উপস্থিত হবে। হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

আরো বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/55107/

,

তাওবা ও ইস্তিগফার মুমিন জীবনের সার্বক্ষণিক ওযীফা।

আল্লাহ তাআলা তো বলেছেন,

قُلْ يَاعِبَادِي الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ لا تَقْنَطُوا مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ

বলুন, হে আমার বান্দাগণ যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।”। (সূরা যুমার- ৫৩)

,

হাদীসে এসেছে, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিনে সত্তর থেকে এক শতবার তাওবা-ইস্তিগফার করতেন। (সহীহ বুখারী, হাদীস: ৬৩০৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস: ২৭০২)

,

রাসূলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করে-

التائب من الذنب كمن لا ذنب له

অর্থঃ গুনাহ থেকে তাওবাকারী ঐ ব্যক্তির ন্যায় যার কোন গোনাহ নেই। –সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ৪২৫০

,

খাঁটিভাবে তাওবা করলে আল্লাহ্ তাআলা অতীতের ছোট বড় সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেন। তবে বান্দার কোন হক নষ্ট করে থাকলে তাওবার পাশাপাশি তাকে তার হক তাকে বুঝিয়ে দেওয়া বা মাফ চেয়ে নেওয়া জরুরী।

তওবার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/5905/

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

,

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে শরীয়ত সম্মত বিয়ে করে থাকলে বিয়ে সহীহ হয়ে যাবে। কারণ, সমতা ও ইনসাফ করার শর্তে একজন পুরুষ একসাথে চারজন স্ত্রী রাখতে পারেন। তবে অবশ্যই সবার মাঝে সমতা ও ইনসাফ করতে হবে। অন্যথায় গোনাহ হবে। তবে এভাবে লুকিয়ে বিয়ে করা যুক্তি সঙ্গত নয়। বরং উভয় পরিবারের অভিভাককে বিষয়টি জানানো। তবে অবশ্যই এখন দুই স্ত্রীর মাঝে সমতা ও ইনসাফ করতে হবে। অন্যথায় গোনাহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...