আসসালামু আলাইকুম।
আমার বড় ভাইকে আমার বাবা বিদেশে নিয়েছে ৪ লক্ষ টাকা খরচ করে। তার পর ড্রাভিং লাইসেন্স, গাড়ি ক্রয় এবং একটি ব্যবসায়িক লাইসেন্স করে দিয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে বাবার ভাষ্যমতে ২৫ লাখ টাকার বেশি হবে।
যেহেতু আমার বাবা নিজে ইনকাম করতো তাই তিনি তার আয় দিয়েই চলতেন। কিন্তু যখন আমার বাবার আয় বন্ধ হয়ে যায় তখন আমার ভাইয়ের যথেষ্ট সামর্থ্য থাকার পরও দেখাশুনা না করায় বাবা কিছুটা অসহায় হয়ে পড়ে।
তার কিছুদিন পর আল্লাহর রহমতে আমার আয়ের ব্যবস্থা হয়। তার পর থেকে প্রায় ১.৫ বছর আমিই আমার বাবাকে দেখাশোনা করছি।
এখন বাবার মতে যেহেতু ভাইকে ২৫ লাখ টাকার বেশি দিয়েছে,আর আমাকে কিছুই দিতে পারে নি,তাই বাবার ২ টি জমি ছিলো, ২ টি জমির এ দাম প্রায় ২২-২৫ লখ টাকার ভিতর হবে।
বাবা এখন ২ টি জমি আমার নামে লিখে দিয়েছে। ভাইকে ২৫ লাখ টাকা দিয়েছে তার বিনিময়ে ( যেহেতু আমাকে দেয় নি) তার বিনিময়ে একটি জমি।
বাকি জমির অর্ধেক তাহলে ভাই পায়। যেহেতু ভাই বাবার দেখাশোনা করছে না এবং বিদেশে ব্যবসায়ীক লাইসেন্সটি বাবা ভাইয়ের নামে করে বাবা নিজেকে ইনভেস্টর রেখেছে। সেখানে আমার ভাই একবছরে প্রায় ৭০ লাখ টাকার মত আয় করে বাবাকে এক টাকাও দেয় নাই। কিন্তু বাবা অই লাইসেন্স নিজের টাকায় করেছে এবং এই আয় থেকে বাবার এবং বাবার সন্তান হিসেবে আমারও পাওনা ছিলো।
এই সবাই মিলিয়ে বাবার কাছে আমকে ২ টি জমিই লিখে দেওয়া যুক্তিযুক্ত। আমি শত চেষ্টা করেও বাবাকে বুঝাতে পারি নি। বাবাকে বলেছি আমার লস হয়ে গেলেও ভাইকে সমান করে দিয়ে দিতে।
কিন্তু বাবার কথা হলো, তার পরও উনি আমাকে কম দিয়েছেন।
ইসলামের দৃষ্টিতে এটা কতটুকু জায়েজ। অথবা এক্ষেত্রে কি করনীয়।
অগ্রিম ধন্যবাদ।
আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দান করুক। আমীন।