ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নামাযের মধ্যে সতরের আওতাধীন কোনো একটি অঙ্গের এক চতুর্থাংশ যদি স্বেচ্ছায় খুলা হয়,তাহলে এক মুহুর্তের জন্য খুলা হলেও নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।কিন্তু যদি অনিচ্ছায় এক চতুর্থাংশ খুলে যায়,তাহলে তিন তাসবিহ (সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা) পরিমাণ সময় পর্যন্ত খুলে গেলে নামায ফাসিদ হবে।
কিন্তু যদি তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় থেকে কম হয়,কিংবা এক চতুর্থাংশ থেকে কম হয়,তাহলে নামায ফাসিদ হবে না।
নামাযের মধ্যে অঙ্গের হিসাব কিছুটা ভিন্ন রকমের।
নাভী থেকে নিয়ে লজ্জাস্থানের উপরী ভাজ পর্যন্ত একটি অঙ্গ। এই অঙ্গের এক চতুর্থাংশ যদি নামাযে খুলে যায়,এবং ইচ্ছাকৃত হয়,তাহলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।(আহসানুল ফাতাওয়া-৩/৩৯৯)
ঢেকে রাখা অঙ্গগুলোর কোনো একটির এক-চতুর্থাংশ বা এর অধিক ইচ্ছাকৃত এক মুহূর্তের জন্য খুললেও নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। আর যদি অনিচ্ছাকৃত এক-চতুর্থাংশ বা ততোধিক খুলে যায়, তাহলে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় খোলা থাকলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। এক-চতুর্থাংশের কম হলে চাই ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় নামাজ নষ্ট হবে না।
যদি একাধিক জায়গায় সামান্য করে খোলা থাকে,
তাহলে এর সমষ্টি ছোট একটি অঙ্গের এক-
চতুর্থাংশ পরিমাণ হলেও নামাজ হবে না- (রদ্দুল মুহতার ১/৩৭৯,তাবয়ীনুল হাক্বায়েক্ব ১/৯৭)।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ
যদি খুলে যাওয়া অংশ এক চতুর্থাংশ পরিমাণ হয়,তাহলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।যেহেতু উনি পেন্ট পড়ছেন,তাই এক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃতই মনে করা হবে।সুতরাং এক মুহুর্তের জন্যও খুলে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
এটা হানাফি ফিকহের সিদ্ধান্ত।এছাড়া অন্যান্য ফিকহের সিদ্ধান্ত হল,নামাযে ঢেকে রাখা ওয়াজিব, এমন অঙ্গের কমবেশ যাই হোক কেউ যদি ইচ্ছাকৃত খুলে দেয়,তাহলে তার নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
5215
(১)
যেহেতু পা দূশ্যমান নয়, তাছাড়া পায়ের এক চতর্থাংশও খোলে যায়নি,তাই নামায ফাসিদ হবে না।
(২)
ঈমান নিয়ে মৃত্যর ভয় থাকা কোনো ভূল নয়,বরং সেটাও ঈমানের একটা অংশ ও উত্তম কাজ।এটা মানষিক রোগ নয়। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
9443