আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
383 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (7 points)
edited by
আসসালালামু আলাইকুম,

মুহতারাম মুফতি সাহেব, আমার প্রশ্ন হলঃ

১। এক ব্যক্তি পাগল। জিন, জাদুর সমস্যার কারণেই হোক বা মানসিক সমস্যার কারণে, সে পাগল হয়েছে। তার শরঈ কোনো বুঝ নেই। এখন সে যদি কোনো পাপ করে তাহলে তার বিধান কি? সে কি দোষী হবে? পাগল থাকা অবস্থায় যদি সে যদি স্ত্রীর কাছে গিয়ে তালাক বলে তাহলে তালাক হয়ে যাবে কি?

২। আরেকব্যক্তি, সে পাগল নয়। দ্বীন-দুনিয়ার বুঝ আছে। কিন্তু সে জিন আক্রান্ত। সে সালাত, যিকর করতে পারে। কিন্তু তার সাথে থাকা জিনের কারণে সে প্রচন্ড ওয়াসওয়াসায় ভোগে। অযু-গোসলে প্রচুর সময় লাগে। পাপের ওয়াসওয়াসা হয়, এমনকি সে নির্জনে পাপ করেও ফেলে। এখন এই যে ওয়াসওয়াসার কারণে পাপ করলো এতে দায়ী কে হবে? সে নাকি তার সাথে থাকা জিন? এই ব্যক্তি স্ত্রীকে তালাক বললে তালাক হবে?

৩। তৃতীয় ব্যক্তি সম্পূর্ণ সুস্থ। তার জিনগত কোনো সমস্যা নেই। এই ব্যক্তি পাপ করলে তার বিধান কি? সে স্ত্রীকে তালাক দিলে তার বিধান কি?

৪। এক দম্পতি কোনো চিকিৎসকের কাছে গেল যে ঝাড়ফুক করে থাকে। সমস্যার শোনার পর উক্ত চিকিৎসক বললো, উক্ত স্ত্রী জিনদ্বারা আক্রান্ত এবং জ্বিন তার সাথে শারিরিক সম্পর্ক করে। (প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই কথার সাথে চিকিৎসার কোনো সম্পর্ক নেই। এসব কথা না বলেও চিকিৎসা হয়। আর এটা অকাট্যভাবে প্রমাণ করাও সম্ভব নয়) এই কথা শোনার পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি। বাস্তবিকই স্ত্রীর সাথে শারিরিক সম্পর্ক করে কেউ এটা মানতে পারে না। এখন উক্ত চিকিৎসকের বাড়তি কথার কারণে তাদের মধ্যে যে গন্ডগোল হল এর দায় কার? স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাক দেয় এই কথা শুনে তাহলে উক্ত চিকিৎসককে আল্লাহর সামনে জবাবদিহি করতে হবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-

(১)
জিন বা জাদুর সমস্যার কারণেই হোক বা মানসিক সমস্যার কারণে, যদি কেউ পাগল হয়। যার কারণে তার শরঈ বুঝ না থাকে। সে যদি কোনো পাপ করে তাহলে তার গোনাহ লিখিত হবে না।সে দোষী হবে না। পাগল থাকা অবস্থায় যদি সে  স্ত্রীকে তালাক দেয়, তালাক হবে না।

(২)যদি কেউ জ্বীন আক্রান্ত হয়,তবে তার বিবেক বুদ্ধি একেবারে লোপ না পায়,বরং কিছু কিছু বুঝ বাকী থাকে,সে যদি গোনাহ করার পর বলে যে, সে কিছূই জানেনা,তাহলে তার গোনাহ হবে না,এবং তালাক সম্পর্কে সে বলে যে,সে কিছুই জানেনা,তাহলে তার তালাকও পতিত হবে না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠّﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠّﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ ﺃَﺣَﺪَﻛُﻢْ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﻘُﻮﻝَ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﺭَﺑَّﻚَ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺑَﻠَﻐَﻪُ ﻓَﻠْﻴَﺴْﺘَﻌِﺬْ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟْﻴَﻨْﺘَﻪِ ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﻣﺴﻠﻢ : ( ﺁﻣﻨﺖ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﻭﺭﺳﻠﻪ)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,শয়তান তোমাদের কারো নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করে, এটা কে বানিয়েছে?ওটা কে বানিয়েছে?শেষ পর্যন্ত জিজ্ঞেস করে, খোদা-কে বানিয়েছে? যখন এমন অবস্থায় কেউ পতিত হবে,সে যেন আল্লাহর নিকট পানাহ চায়।এবং সাথে সাথে সে যেন উক্ত বিষয়ে চিন্তা করা থেকে বিরত থাকে।এক বর্ণনায় এসেছে সে যেন আ'মানতু বিল্লাহি ওয়া রুসুলিহি পড়ে নেয়।(সহীহ বোখারী-৩১০২,সহীহ মুসলিম-১৩৪)

(৩)
যেহেতু এ ব্যক্তি পরিপূর্ণ সুস্থ ,তাই এ ব্যক্তির গোনাহ লিখিত হবে যদি সে কোনো পাপকাজ করে ,তার তালাকও পতিত হবে যদি সে তার স্ত্রীকে তালাক দেয়।

(৪)
জ্বী, উক্ত চিকিৎসককে আল্লাহর সামনে জবাবদিহি করতে হবে ।কেননা এটা অদূশ্যর সংবাদ।আর অদূশ্যর সংবাদ আল্লাহ ছাড়া কেউ-ই জানেনা।

জ্বীনের আছর থেকে বাছার জন্য কোনো মুদাব্বিরের শরণাপন্ন হবে। বিস্তারিত জানুন-ইস্তেখারা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 6960


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 268 views
...