ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
জিন বা জাদুর সমস্যার কারণেই হোক বা মানসিক সমস্যার কারণে, যদি কেউ পাগল হয়। যার কারণে তার শরঈ বুঝ না থাকে। সে যদি কোনো পাপ করে তাহলে তার গোনাহ লিখিত হবে না।সে দোষী হবে না। পাগল থাকা অবস্থায় যদি সে স্ত্রীকে তালাক দেয়, তালাক হবে না।
(২)যদি কেউ জ্বীন আক্রান্ত হয়,তবে তার বিবেক বুদ্ধি একেবারে লোপ না পায়,বরং কিছু কিছু বুঝ বাকী থাকে,সে যদি গোনাহ করার পর বলে যে, সে কিছূই জানেনা,তাহলে তার গোনাহ হবে না,এবং তালাক সম্পর্কে সে বলে যে,সে কিছুই জানেনা,তাহলে তার তালাকও পতিত হবে না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠّﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠّﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ ﺃَﺣَﺪَﻛُﻢْ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﻘُﻮﻝَ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﺭَﺑَّﻚَ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺑَﻠَﻐَﻪُ ﻓَﻠْﻴَﺴْﺘَﻌِﺬْ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟْﻴَﻨْﺘَﻪِ ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﻣﺴﻠﻢ : ( ﺁﻣﻨﺖ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﻭﺭﺳﻠﻪ)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,শয়তান তোমাদের কারো নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করে, এটা কে বানিয়েছে?ওটা কে বানিয়েছে?শেষ পর্যন্ত জিজ্ঞেস করে, খোদা-কে বানিয়েছে? যখন এমন অবস্থায় কেউ পতিত হবে,সে যেন আল্লাহর নিকট পানাহ চায়।এবং সাথে সাথে সে যেন উক্ত বিষয়ে চিন্তা করা থেকে বিরত থাকে।এক বর্ণনায় এসেছে সে যেন আ'মানতু বিল্লাহি ওয়া রুসুলিহি পড়ে নেয়।(সহীহ বোখারী-৩১০২,সহীহ মুসলিম-১৩৪)
(৩)
যেহেতু এ ব্যক্তি পরিপূর্ণ সুস্থ ,তাই এ ব্যক্তির গোনাহ লিখিত হবে যদি সে কোনো পাপকাজ করে ,তার তালাকও পতিত হবে যদি সে তার স্ত্রীকে তালাক দেয়।
(৪)
জ্বী, উক্ত চিকিৎসককে আল্লাহর সামনে জবাবদিহি করতে হবে ।কেননা এটা অদূশ্যর সংবাদ।আর অদূশ্যর সংবাদ আল্লাহ ছাড়া কেউ-ই জানেনা।