ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত মু'আবিয়া ইবনে হাইদাহ রাযি থেকে বর্ণিত,
معاوية بن حيدة رضي الله عنه ، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ( أَتَرعُونَ عَنْ ذِكْرِ الْفَاجِرِ ! اذْكُرُوهُ بِمَا فِيهِ كَي يَعْرِفَهُ النَّاسُ وَيَحْذَرَهُ النَّاسُ ).
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,তোমরা কি ফাসিকের সমালোচনা থেকে বিরত থাকবে?বরং তোমরা ফাসিকের কৃত অপরাধ নিয়ে সমালোচনা করো,যাতেকরে লোকজন সেই অপরাধ থেকে বিরত থাকে।আস-(সুনানুল কুবরা-বায়হাক্বী-১০/২১০) এই হাদীসের সনদে কালাম থাকার ধরুণ মুহাদ্দিসিনে কেরাম এটা যঈফ হাদীস বলে বিবেচনা করেছেন।
প্রকাশ্যে গোনাহে জড়িত ফাসিক যে, নিজের গোনাহ প্রকাশ হওয়া সম্পর্কে কোনো প্রকার পরওয়াহ করে না।এমন ব্যক্তিদের কৃত পাপ সম্বন্ধে লোকদের সতর্ক করা হবে ও বারণ করা হবে।তার ফিসক ও গোনাহ অন্যর জন্য আলোচনা সমালোচনা এজন্য বৈধ যে, সে গোনাহে লিপ্ত হওয়ার মাধ্যমে নিজে নিজের নফসের হুরমতকে নষ্ট করে ফেলেছে।তবে সাবধান তার এমন কোনো আলোচনা করা যাবে না,যা সে নিজেও লুকিয়ে রাখতে চায়,এবং সে যা করেনি তাও আলোচনা করা যাবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/2114
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) প্রতারকদের মুখোশ উন্মোচন করা জায়েয। তবে অতিরিক্ত কিছু যাতে আলোচনায় না আসে, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
(২) অন্যের দোষত্রুটি নিয়ে হাসিতামাশা করা কখনো জায়েয হবে না। হ্যা, শিক্ষামূলক উক্তি করা যাবে।
(৩)
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اجْتَنِبُوا كَثِيرًا مِّنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ إِثْمٌ ۖ وَلَا تَجَسَّسُوا وَلَا يَغْتَب بَّعْضُكُم بَعْضًا ۚ أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَن يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ تَوَّابٌ رَّحِيمٌ
মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তারা মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু।(সূরা হুজুরাত-১২)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এখানে সূরা হুজুরাতের ১২ নং আয়াত প্রযোজ্য হবে না।
বরং জনস্বার্থে উক্ত প্রতারকের মুখোশ উন্মোচন করা জায়েয হবে।
(৪) কেউ প্রতারণা করলে প্রথমে ব্যক্তিগতভাবে সতর্ক করা হবে। সতর্ক করার পরও বিরত না থাকলে তার কথা লোকজনকে জানানো যাবে। কিন্তু কেউ এমন কোনো কাজ করলে যেখানে সতর্ক করার কোনো সুযোগ নেই, সেক্ষেত্রে তার বিষয়টি এমনিতেই সবাইকে জানানো যাবে।