আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
46 views
in সালাত(Prayer) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

১:উস্তায নামাজের মধ্যে ১/২ আয়াত তেলাওয়াত করার পর যদি বুঝতে পরি ১ম আয়াতে এ ভুল হয়েছে এবং আবার উক্ত ২আয়াত রিপিট করে পড়ি তাহলে কি সাহু সিজদা দিতে হবে??

২:বিমানে বা বাসে নামাজ আদায় করলে কি সেই নামাজ পূ্নরায় আদায় করতে হবে??যেহেতু দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া যায় না,

আর সফর রত অবস্থায় যেই নামাজ টা বিমানে বা বাসে থাকাকালীন কসর করে পড়েছিলাম,সেই নামাজ আবার যদি পড়তে হয় সেক্ষেত্রে কেমন করে পড়বো ?কসর করে পড়বো কি??

৩: রমাদান আমায় কিছু  আন্টিরা  বেশ কিছু টাকা দেয় এবং সেটা কিসের টাকা উল্লেখ করেন না,এবং এটা হাদিয়া/সদাকা/যাকাতের টাকা কিছুই বলেনি, কিন্তু রমাদান মাস এটা হিসেব করে আমি  ধারনা করি এটা যাকাতের টাকা হতে পরে,যদিও তারা কিছুই বলেন নাই,, এখন এই টাকার বিধান কি হবে?মানে টাকাটা কি করবো আমি কি খরচ করতে পারবো নাকি অন্য কাওকে দিয়ে দিবো??? যেহেতু আমার  স্বামীর উপরে যাকাত ফরজ, আলহামদুলিল্লাহ
৪:ওমরা করার বিধি বিধান গুলা বল্লে একটু মুনাসিব হতো ইং শা আল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (592,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এক্ষেত্রে সাহু সেজদাহ দিতে হবেনা। নামাজ হয়ে যাবে।

(০২)
https://ifatwa.info/19450/ নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,
নামাযে কিবলামুখী হওয়া নামায সহীহ হবার জন্য শর্ত। কিবলামুখী না হলে নামায শুদ্ধই হবে না। 
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ     

قَدْ نَرَىٰ تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِي السَّمَاءِ ۖ فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبْلَةً تَرْضَاهَا ۚ فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ ۚ وَحَيْثُ مَا كُنتُمْ فَوَلُّوا وُجُوهَكُمْ شَطْرَهُ ۗ وَإِنَّ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ لَيَعْلَمُونَ أَنَّهُ الْحَقُّ مِن رَّبِّهِمْ ۗ وَمَا اللَّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا يَعْمَلُونَ [٢:١٤٤] 

নিশ্চয়ই আমি আপনাকে বার বার আকাশের দিকে তাকাতে দেখি। অতএব, অবশ্যই আমি আপনাকে সে কেবলার দিকেই ঘুরিয়ে দেব যাকে আপনি পছন্দ করেন। এখন আপনি মসজিদুল-হারামের দিকে মুখ করুন এবং তোমরা যেখানেই থাক, সেদিকে মুখ কর। যারা আহলে-কিতাব, তারা অবশ্যই জানে যে, এটাই ঠিক পালনকর্তার পক্ষ থেকে। আল্লাহ বেখবর নন, সে সমস্ত কর্ম সম্পর্কে যা তারা করে। {বাকারা-১৪৪}

★নামাযে কিবলামুখী হওয়া নামায সহীহ হবার জন্য শর্ত। কিবলামুখী না হলে নামায শুদ্ধই হবে না। যারা সরাসরি কিবলা দেখতে পায় না, তাদের জন্য যেহেতু সরাসরি বাইতুল্লামুখী হওয়া সম্ভব নয়। তাই তাদের জন্য আবশ্যক হল জিহাতে কিবলা তথা কিবলামুখী হওয়া। আর যারা সরাসরি বাইতুল্লাহ দেখে তাদের জন্য সরাসরি বাইতুল্লাহমুখী হওয়া আবশ্যক।
নামাযে কিবলামুখী হওয়া আবশ্যকীয় বিষয়। এটি ছাড়া নামাযই শুদ্ধ হয় না। তাই নামায পড়ার সময় ভাল করে কিবলা দিক ঠিক করে নেয়া জরুরী।

আরো জানুনঃ 

মাসয়ালা হলোঃ

যানবাহনে, কিবলামুখি হতে যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। যদি গাড়ি কিবলামুখ থেকে অন্যদিকে ঘুরে যায় তবে নামাজে থাকা অবস্থায় কিবলামুখি ঘুরে যাবে। যদি সম্ভব না হয়, তাহলে যেদিকে মুখ হয়, সেদিকে ফিরেই নামাজ শেষ করবে। কিন্তু ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও কিবলামুখি হয়ে নামাজ আদায় করতে না পারলে এই নামাজ পরে আবার পড়ে নিতে হবে। কিবলামুখি ফিরে নামাজ আদায় করতে পারলে পরে তা আবার আদায় করার প্রয়োজন নেই।

★ট্রেনে কেবলা কোন দিকে, এই বিষয়ে ট্রেনের কাহারো কাছ থেকে জিজ্ঞাসা করে নিবেন, এই ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ দের সহায়তা নিবেন।

আগেই টিটি, বা যারা নিয়মিত যাতায়াত করেন,তাদের থেকে সহায়তা নিবেন। 
অথবা কম্পাসের মাধ্যমে  আপনি নিজেও বুঝতে পারবেন।

★তার পরেও কিবলার দিক জানা যদি সম্ভব না হয়,তাহলে আপনিই বাহিরে তাকিয়ে চাঁদ সূর্যের দিক ইত্যাদির দিক লক্ষ্য করে  সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন,

তার পরেও কিবলার দিক জানা সম্ভব  না হলে চিন্তা ফিকির করে যেই দিকে মনের প্রবল ধারনা হয়,সেই দিক হয়েই নামাজ আদায় করবেন। 

وإن اشتبہت علیہ القبلة ولیس بحضرتہ من یسألہ عنہا اجتہد وصلی فإن علم أنہ اخ۔أ بعد ما صلی لا یعیدہا․ (الہندیة: ۱/۶۴)

সারমর্মঃ তার কাছে যদি জেনে নেওয়ার মতো কেউ না থাকে,তাহলে ইজতিহাদ করে নামাজ পড়বে,পরবর্তীতে এই নামাজ আর পড়তে হবেনা।

من أخطأ جهة القبلة صحيحة لا تلزمه إعادتها إن اجتهد فأداه اجتهاده إلى تلك الجهة. وأما إن صلى بغير اجتهاد أو أمكنه السؤال عن جهة القبلة فلم يفعل فعليه الإعادة. جاء في الاختيار قال : وإن اشتبهت عليه القبلة وليس له من يسأل اجتهد وصلى، ولا يعيد وإن أخطأ. لما روي أن جماعة من الصحابة اشتبهت عليهم القبلة في ليلة مظلمة، فصلى كل واحد منهم إلى جهة وخط بين يديه خطا، فلما أصبحوا وجدوا الخطوط إلى غير القبلة، فأخبروا بذلك رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال : تمت صلاتكم . وفي رواية : لا إعادة عليكم

সারমর্মঃ ইজতিহাদ, চিন্তা ফিকির করে কিবলার দিক ধরে নিয়ে নামাজ নামাজ আদায়ের পর যদি সেই দিক ভূল হয়ে থাকে,তাহলে পরবর্তীতে এই নামাজ আর পড়তে হবেনা।
তবে যদি ইজতিহাদ, চিন্তা ফিকির করা ছাড়া, অথবা কাহারো থেকে জেনে নেওয়া সম্ভবপর হওয়া সত্ত্বেও না জেনে নিয়ে নামাজ পড়ে, তাহলে (ভুল হলে) সেই নামাজ পরবর্তীতে আবার আদায় করতে হবে।

★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন,
এমতাবস্থায় আপনি যদি পুরো নামাজ কিবলা মুখি হয়ে আদায় করতে পারেন,সেক্ষেত্রে সেই নামাজের কাজা আদায় করতে হবেনা।

★এক্ষেত্রে আপনার সফর ৭৮ কিলোমিটার বা তার চেয়ে বেশি হলে সেক্ষেত্রে কসর আদায় করাই উচিত ছিলো।
পুনরায় কাজা আদায় করতে হবেনা।

তবে যদি উক্ত সফর ৭৮ কিলোমিটারের থেকে কম হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে সেই কাজা আদায় করতে হবে।

(০৩)
ঐ টাকা আপনি খরচ করতে পারবেন।
,
যাকাতের টাকা হলে সেক্ষেত্রে আপনি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক না হয়ে থাকলে সেই টাকা খরচ করতে পারবেন।

(০৪)
এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...