বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
শাতিমে রাসূল সাঃ কে হত্যা করা রাষ্ট্রর উপর ওয়াজিব।জনগণ শরীয়া দন্ডবিধিকে নিজ হাতে তুলে নিতে পারবে না।তবে যদি কেউ তুলে নেয়,তাহলে তার এ কাজটি সমর্থনযোগ্য হবে না।
মুরতাদ সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে,
إن قتله إنسان قبل الاستتابة يكره له ذلك ولا شيء عليه لزوال عصمته بالردة
যদি ঘটনাক্রমে কেউ মুরতাদকে তওবা করার পূর্বেই হত্যা করে ফেলে, তাহলে কাজটি মাকরূহ হবে। তবে হত্যাকারীর উপর কোন কেসাস বা দিয়ত কিছুই ওয়াজিব হবে না।কেননা মুরতাদ হওয়ার দরুণ তার রক্ত মূল্যহীন হয়ে গেছে।{বাদায়ে সানায়ে-৭/১৩৪} বিস্তারিত জানুন-
(২)
ইসলামের বিরুদ্ধে কটুক্তি করলে,সে মুরতাদ হয়ে যাবে।তাকে তিনদিন পর্যন্ত বন্ধি করে রেখে,তিনবার তার সামনে আবার ইসলামকে পেশ করা হবে,যদি সে মনেপ্রাণে ইসলামকে কবুল করে নেয়,তাহলে তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে।নতুবা তাকে হত্যা করা হবে।
(৩)
আল্লাহকে গালী দিলে,সে মুরতাদ হয়ে যাবে।
(৪)
যুদ্ধগ্রস্ত কাফির অর্থ মুসলমানদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত কাফিরের রক্ত হালাল।এছাড়া অন্যান্য কাফির নিরাপদ।যেভাবে একজন মুসলমান অন্য মুসলমান থেকে নিরাপদ, ঠিকতেমনি একজন সাধারণ কাফির যে যুদ্ধে লিপ্ত নয়,সেও নিরাপদ।