ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মুজতাহিদ নয় এমন সবার জন্য মাযহাব মানা ফরয।বিস্তারিত জানতে দেখুন!জাস্টিস আল্লামা তাক্বী উসমানী রচিত"মাযহাব কি ও কেন?"
মাযহাব অর্থ হল,কুরআন-হাদীসের ব্যাখা জানতে কারো সাহায্য গ্রহণ করা।অর্থাৎ যারা নিজে সরাসরি কুরআনের আয়াত বা হাদীসে রাসূল এর মর্মার্থ বুঝতে পারেন না, তারা অন্যর সাহায্য নিয়ে কুরআন-হাদীস এর মর্মার্থ বুঝবেন,এবং সে অনুযায়ী আ'মল করবেন।
সুতরাং কোনো এক আলেম বা মৌলিক মূলনীতি এক এমন একদল আলেমের কুরাআন-সুন্নাহ অনুসৃত মত ও পন্থাকে অনুসরণ করার নামই হল মাযহাব।এক্ষেত্রে সকল মাস'আলায় শুধুমাত্র একজনকেই অনুসরণ করতে হবে।নতুবা একেকজনকে একেক মাস'আলা অনুসরণ মূলত প্রবৃত্তির অনুসরণ হবে,।এজন্য এমন কোনো এক আলেম বা মূলনীতি এক এমন একদল আলেমকে অনুসরণ করতে হবে যাদের প্রায় সকল বিষয়ে ইজতেহাদ রয়েছে।এই হল মাযহাব এর তাৎপর্য। সুতরাং এ দৃষ্টিকোনে নবীজী সাঃ কোনো মাযহাবের অনুসারী হওয়ার প্রশ্নই আসে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)আপনার পরিবার যদি হানাফি মাযহাবের হয়ে থাকে, তাহলে আপনি তো পূর্ব থেকে হানাফি। কেননা মাতাপিতা আপনাকে হানাফি ব্যখ্যামতেই ইবাদতের শিক্ষা দিয়ে আসছেন।
(২)কারো পুরো ফ্যামিলি যদি হানাফি মাযহাবের হয়। এবং সে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর যদি নিজেকে আহলে হাদিস দাবি করেন। এবং সে অনুযায়ী ইবাদত করেন, তাহলে তাতে কোনো সমস্যা নেই। তবে আহলে হাদীস ইমামদের অনুসরণ করতে হবে। হ্যা, নিজের পরিপূর্ণ জ্ঞান থাকলে, তিনি সেই অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।
(৩) কেউ নিজেকে যে মাযহাবের বলে দাবী করবে, সে যদি সেই মাযহাবের ব্যখ্যামতে ইবাদত করে, তাহলে সে সেই মাযহাবেরই অনুসারী হিসেবে বিবেচিত হবে।
(৪) ঐ আহলে হাদীস ভাইয়ের কথাটা অযৌক্তিক। কেননা আহলে হাদীসরাও তাদের ইমাম আলবানি গংদের অনুসরণ করে থাকেন।