আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
312 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)

আসসালামু আলাইকুম!

আমার মাথায় কিছু প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।যদি মাযহাব পরিপন্থী কোনো ভাই এমন প্রশ্ন করে তাহলে কি উত্তর দিব??

১।হানাফী মাযহাবে বিতর সলাত এর ৩য় রাকাতে কুনুতের আগে তাকবীর দেওয়া হয়,এবং এর ব্যতিক্রম করলে সলাত বাতিল হবে।কিন্তু অন্যান্য মাযহাবে কুনুতের পূর্বে তাকবীর দেওয়া হয় না এবং হাত তুলে কুনুত পাঠ করা হয় অর্থাৎ হানাফী মাযহাব অনুযায়ী শাফেয়ী মাযহাবের বিতর সলাত বাতিল।আবার ৪ মাযহাব হক এর উপর প্রতিষ্ঠিত । তাহলে যারা শাফেয়ী অনুসারী তাদের বিতর সলাত কি বাতিল?শাফেয়ী মাযহাব কি হক নয়?

২। মহিলাগণ কোন হাদীসের ভিত্তিতে বুকে হাত বাঁধবে?যদি বুকে হাত বাঁধার হাদীস দুর্বল হয়।

 

উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম।জাজাকাল্লাহু খায়রান


1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
https://ifatwa.info/15096/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
  
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
أخرجه ابن أبي شيبة في "مصنفه" (6948) من طريق لَيْثٍ ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْأَسْوَدِ ، عَنْ أَبِيهِ ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ، ( كَانَ إِذَا فَرَغَ مِنَ الْقِرَاءَةِ كَبَّرَ ثُمَّ قَنَتَ ، فَإِذَا فَرَغَ مِنَ الْقُنُوتِ ، كَبَّرَ ثُمَّ رَكَعَ ).

সারমর্মঃ
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ যখন কিরাআত শেষ করতেন,তখন তাকবির বলতেন,অতঃপর দোয়ায়ে কুনুত পড়তেন,যখন দোয়ায়ে কুনুত থেকে ফারেগ হতেন,তখন তাকবির বলতেন,রুকুতে যেতেন।      

أخرجه ابن أبي شيبة في "مصنفه" (7040) من طريق أبي إسحاق عن الحارث عن علي ا َنَّهُ كَانَ يَفْتَتِحُ الْقُنُوتَ بِالتَّكْبِيرِ ) .
সারমর্মঃ
হযরত আলী রাঃ দোয়ায়ে কুনুতকে তাকবির দিয়ে শুরু করতেন। 

أخرجه عبد الرزاق في "مصنفه" (4959) ، وابن أبي شيبة في "مصنفه" (7033) ، والطحاوي في "شرح معاني الآثار" (1375) ، من طريق مُخَارِقٍ ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ ، ( أَنَّهُ صَلَّى خَلْفَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ الْفَجْرَ ، فَلَمَّا فَرَغَ مِنَ الْقِرَاءَةِ كَبَّرَ ، ثُمَّ قَنَتَ ، ثُمَّ كَبَّرَ ، ثُمَّ رَكَعَ ).
وإسناده صحيح .
সারমর্মঃ
 ওমর ইবনুল খাত্তাব রাঃ যখন কিরাআত থেকে ফারেগ হলেন, তখন তাকবির বলেন,অতঃপর দোয়ায়ে কুনুত পড়েন,যখন দোয়ায়ে কুনুত থেকে ফারেগ হলেন,তখন তাকবির বলে রুকুতে যেতেন।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
হানাফী মাযহাবে বিতর সলাত এর ৩য় রাকাতে কুনুতের আগে তাকবীর দেওয়া হয়,এটি সুন্নাত।

তবে এর ব্যতিক্রম করলে সলাত বাতিল হবেনা।
সুন্নাহর খেলাফ হবে।
সালাত ঠিকই হয়ে যাবে।
,
হাত উঠিয়ে দোয়ায়ে কুনুতের বিষয়ও একই।
হানাফি উলামায়ে কেরামদের মতে হাত না উঠানোই সুন্নাত।  কুনুতে নাযেলাহ এর ক্ষেত্রে হাত উঠাতে হয়।

বিতর নামাজে দোয়ায়ে কুনুতের সময় হাত উঠানো হলে নামাজ বাতিল হবে,এটি কোথাও নেই।
তবে হানাফি মাযহাব মতে সেটি সুন্নাহর খেলাফ হবে।
নামাজ হয়ে যাবে।

চার মাযহাবই হক,তবে যেকোনো একটি মানতে হবে।
নতুবা যাচ্ছেতাই সব গুলি মানলে নফসের পূজা হবে।
  
(০২)
এটি ইজমা দ্বারা প্রমানিত। 

হযরত আব্দুল হাই লক্ষ্ণৌবী রহঃ লিখেছেনঃ

 اما فى حق النساء فاتفقوا على ان السنة لهن وضع اليدين على الصدر، (السعاية-2/156

আর মহিলাদের ক্ষেত্রে সকলেই ঐক্যমত্ব যে, তাদের ক্ষেত্রে সুন্নত হল তাদের উভয় হাতকে বুকের উপর রাখবে। {আসসিয়ায়াহ-২/১৫৬}

হযরত আতা রহঃ বলেন,

عَنْ عَطَاءٍ قَالَ: «تَجْمَعُ الْمَرْأَةُ يَدَيْهَا فِي قِيَامِهَا مَا اسْتَطَاعَتْ»

মহিলারা নামাযে দাঁড়ানো অবস্থায় তাদের হাতকে যতদূর সম্ভব গুটিয়ে রাখবে। {মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক-৩/১৩৭, হাদীস নং-৫০৬৭}

★সুতরাং মহিলাদের বুকের উপর হাত বাঁধাটি ইজমা দ্বারা প্রমানিত।
(সংগৃহীত।)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...