আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
42 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (30 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ,
একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানার ছিল। দয়া করে জানাবেন শায়েখ।

আমার স্বামীর সাথে বিয়ের পর থেকেই কোনোভাবেই বনিবনা হচ্ছিল না। সে আমার কোনো কিছুই পছন্দ করেন না। তাই আমি আজ বলেছিলাম আমাকে ছেড়ে দাও। তখন উনি ২ বার বলেছিল ঠিক আছে। আমি যখন বললাম কী ঠিক আছে? তখন কিছু বলতেছিলো না। তখন আমি বললাম,আমাকে ছেড়ে দিবা সেটার জন্য ঠিক আছে বললা? তখন উনি বললো, হ্যা। আমি তখন বললাম, এখনি ছেড়ে দাও। তখন বললো, ঠিক আছে ছেড়ে দিলাম। এতে কি তালাক হয়ে গেছে আমাদের? কয় তালাক হয়েছে যদি তালাক হয়ে থাকে?

1 Answer

0 votes
by (64,830 points)

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাবঃ-

https://ifatwa.info/57974/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে,  তালাক খুবই মারাত্মক এক বিষয় । নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যেআল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।)

'তোমাকে ছেড়ে দিলাম' ‘তোমাকে মুক্ত করে দিলাম’ বা ‘স্বাধীন করে দিলাম’ শব্দগুলো প্রচলনে সারীহ বা স্পষ্ট তালাকের স্থলে ব্যবহার হয়ে থাকে।

আর সারীহ তালাকের ক্ষেত্রে নিয়তের প্রয়োজন হয় না। বরং যদি কেউ স্ত্রীকে কেবল ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যেও এজাতীয় কথা বলে তাহলেও এর দ্বারা তালাক হয়ে যায়। (জামিউল ফাতাওয়া ১০/১২০ কিতাবুন নাওয়াযিল ৯/২৯৩, ২৯৬, ২৯৯, ৩০০)

যে সকল শব্দ স্পষ্টভাবে তালাককে বুঝায়, সে সকল শব্দ দ্বারা তালাক দিলে তালাক পতিত হওয়ার জন্য নিয়তের প্রয়োজন পড়ে না। আমাদের দেশে ‘ছেড়ে দিলাম’ -এর দ্বারা তালাক বুঝায়। কাজেই এ কথা বললে তালাক পতিত হওয়ার জন্য নিয়তের কোনো প্রয়োজন পড়বে না। (রদ্দুল মুহতার ৪/৫৩০; ফাতওয়া হিন্দিয়া ১/৩৭৯)

سرحتك وهو “رها كردم” لأنه صار صريحا فى العرف (رد المحتار، كتاب الطلاق، باب الكنايات-4/530)

সারমর্মঃ- ছেড়ে দিলাম বাক্যটি আমাদের উরুফের মধ্যে সরিহ বাক্য হয়ে গিয়েছে।

اذا قال الرجل لامرأته: “بهشتم ترا از زنى” فاعلم بأن هذه اللفظة استعملها أهل خراسان وأهل العراق فى الطلاق، وأنها صريحة عند أبى يوسف حتى كان الواقع بها رجعيا ويقع بدون النية (الفتاوى الهندية، كتاب الطلاق، الفصل السابع فى الطلاق بألفاظ الفارسية-1/379، جديد-1/447، الفتاوى التاتارخانية-4/463، رقم-6678)

সারমর্মঃ-কেহ যদি তার স্ত্রীকে ছেড়ে দিলাম হলে,তাহলে এটিকে খোরাসান বাসী ও ইরাক বাসীগন তালাকের বাক্যের অন্তর্ভুক্ত বলেন। আবু ইউসুফ রহঃ এর নিকটে এটি সরীহ শব্দ। এর দ্বারা রজয়ী তালাক পতিত হবে। এবং নিয়ত ছাড়াই তালাক পতিত হবে।

وقال أبو يوسف: إذا قال: بهشتم ان زن، أو قال: ان زن بهشتم، فهى طالق نوى الطلاق أو لم ينو، وتكون تطليقة رجعية (بدائع الصنائع-3/163)

সারমর্মঃ- ইমাম আবু ইউসুফ রহঃ বলেছেন,কেহ যদি তার স্ত্রীকে ছেড়ে দিলাম বলে, তাহলে তালাক পতিত হবে।  তালাকের নিয়ত করুক বা না করুক। আর এর দ্বারা রজয়ী তালাক পতিত হবে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

প্রশ্নে উল্লেখিত আপনার স্বামী যদি "ছেড়ে দিয়েছি বা ছেড়ে দিলাম" বাক্যটি বলে, সেক্ষেত্রে এক তালাকে রজয়ী পতিত হয়েছে। এক্ষেত্রে ইদ্দতকাল অতিবাহিত হওয়ার আগেই ফিরিয়ে নিতে চাইলে আপনার স্বামী আপনাকে "ফিরিয়ে নিলাম" বললেই হবে। বা আপনার সাথে স্বামী স্ত্রী সুলভ দৈহিক আচরন করলেই হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...