আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
47 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (10 points)
১।।।ঝগড়া  করে স্বামীকে  বলেছিলাম ডিভোর্স লেটার পাঠাই দিব। তখন আমার স্বামী বলে ওকে পাঠাই দিও।।পরের দিন স্বামী মেসেজ দিয়ে বলে কই ডিভোর্স লেটার পাঠালে না তো।।আমি বললাম মেয়েরা পাঠাতে পারে না,,আপনি পাঠান আমি সই করে দিব।।।  স্বামী বলে আমি কেন পাঠাব আমি তো বলিনি ডিভোর্স দিব,,আপনি বলছেন আপনি পাঠান,,আমি বললাম আপনি পাঠান আমি সই করে দিব,, তারপর আমার স্বামী বলে তর্ক করতে শিখে গেছ যা তোমার জীবনকে বিষিয়ে দিচ্ছে।। এরপর বলছে ডিভোর্স লেটার পাঠালে তাড়াতাড়ি পাঠাও,, আর যদি না পাঠাও তাহলে আরেকবার ডিভোর্স দিবা  বললে আমি ওই ৩  টা শব্দ বলে দিব।।তখন আমি বললাম তখনের জন্য অপেক্ষা করে কি লাভ এখনই বলে দেন,,,,তখন আমার স্বামী বলে তুমি শুধু মৌখিকভাবে বলে ডিভোর্স দিবা তাহলে/তখন আমার শেষ বাক্য হয়ে যাবে।। ((হুজুর তাহলে/তখন এই দুইটার যে কোন একটা বলেছে।।কিন্তু আমার যতদুর মনে পড়ছে তাহলে শব্দ টা বলছে।।১ বছর আগের কথা তাই মনে নেই সঠিক টা)))।এরপর আমি বললাম এখনই বলে দেন।তখন  আমার স্বামী আরকিছু বলি নি।।,আমিও কিছু বলি নি।,।।অনেক দিন মেসেজ ঘাটতে গিয়ে এই মেসেজ গুলা দেখি  তারপরে তাকে জিজ্ঞেস করলে  সে বলে আমি ডিভোর্স দিব বললে সে তালাক শব্দটা বলে দিবে এটা বুঝিয়েছে।।
** পরে অন্য একদিন ঝগড়া করে আমার পরিবার আর আমার শ্বশুর এর কাছে বলেছি তাকে ছেড়ে দিব।।।কিন্তু আমার স্বামীর কাছে সরাসরি এই কথা বলছি কি না আমার মনে পড়তেছে না।।বাট স্বামীকে অনেকবার বলছি আমাকে তালাক দিয়ে দেন,,কিন্তু আমি স্বামীকে ডিভোর্স দিব এটা আর বলছি কি না মনে করতেই পারছি না।।একবার মনে হচ্ছে বলছি একবার মনে হচ্ছে বলি নাই।

***হুজুর এটা কি কোন শর্তযুক্ত তালাক।।আমি পরে ডিভোর্স দিব বললেই কি তালাক হয়ে যাবে।

২।।আমি আমার স্বামীকে বলছিলাম আপনি অন্যদের যেভাবে গুরুত্ব দেন তার কানাকড়ি ও আমাকে দেন না।।। তার জন্য ইদানীং শুধু মনে হয় আপনাকে ডিভোর্স দিয়ে দিলেই হয়তো ভালো হতো।।তখন আমার স্বামী বলে,, তাই নাকি ডিভোর্স,, আমি বললাম হুম,,,তখন আমার স্বামী বলে,, এটা তো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত,, আমি বললাম হুম,,,তারপর আমার স্বামী বলে যে মেয়ে ডিভোর্স চায় কথায় কথায় সে জাহান্নামী।।।।তারপর আমি বললাম আপনি তো এখন ডিভোর্স বলছেন,,তখন আমার স্বামী বলে আমি তোমাকে এটা বলি নি,,,তুমি বলছো ডিভোর্স দিবা তাই আমি বলছি তাই নাকি ডিভোর্স,,,সে বলেছে তাই নাকি ডিভোর্স বলে আমাকে সে জিজ্ঞেস করেছে যে আমি তাকে ডিভোর্স দিতে চায়।।সে আমাকে ডিভোর্স বলে নি।।এটা বলেছে।।

৩।।।আমার স্বামী অন্য মেয়ের সাথে কথা বলে।এ নিয়ে ঝগড়া হলে স্বামী রেগে গিয়ে বলে চইললো না আমার সাথে  একথা বলে কল কেটে দেয়। তারপর আমার স্বামীর সাথে মেসেজের মাধ্যমে ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্বামী বলে,আমার মনে হয় তোমার সাথে বেশি দিন টিকবো না শুধু তুমি বেহুব এজন্য।তখন আমি বলি না টিকলে যা করার করেন পরিবারকে বলে।তখন আমার স্বামি বললো ওকে বলবো আগে পাঁচ লক্ষ টাকা জমিয়ে নেই।আমি বললাম  ততদিন আমার অপেক্ষা করে সময় নষ্ট করার মানে হয় না,যা করার তাড়াতাড়ি করেন।তখন স্বামী বললো ওকে।এরপর আমি আমার স্বামীকে বার বার কল দিচ্ছি কিন্তূ সে কেটে দিচ্ছে তখন আমি মেসেজে বলি সম্পর্ক শেষ করতে হলে তো কথা বলতে হয়।তখন আমার স্বামী বলে যেদিন শেষ করবো সেদিন কথা বলবো।তখন আমি বলি তাহলে শর্ত দিলেন যেদিন  কথা বলবেন সেদিন সম্পর্ক শেষ।তখন আমার স্বামি বলে যেদিন টাকা জমাতে পারবো ঐদিন কথা হবে এ  নিয়ে।।আমি বলি যেদিন টাকা জমাতে পারবেন সেদিন তাহলে তালাক হবে এটাই বলছেন।।তখন স্বামী বলে এ নিয়ে কথা হবে। আমি বলি মানে তালাক হবে তাইতো।তখন স্বামী বলে আপনি যা বুঝন।।এরপর আমি জিঞ্জেস করলেও আর কোন উত্তর দেয় নি এ বিষয়ের।।তার একটু পরেই আমাদর ফোনে কথা হয়েছে।। স্বামী জিঞ্জেস করার পর বলছে টাকা জমাতে পারলে এনিয়ে কথা বলবো বলছি। আবার নাও বলতে পারি ।।

** হুজুর এখন টাকা জমাতে পারলে কি আমাদের তালাক হয়ে যাবে।।ফোনে যে কথা বলে ফেলছি তাতে কি সমস্য হবে।।এখন স্বামী বলে যেদিন শেষ করবো সেদিন কথা বলবো বলেছি,মানে  সে বলে আমি ওই বিষয় নিয়ে কথা বলবো বলেছি  ।আমি  বললাম তুমি এটা বুঝাও নি।তখন স্বামী বলে ঝগড়া শেষ  করবো এটাও তো বুঝাতে পারি।।। তালাক হয়ে যাবে এটা  বলিনি।।এ বিষয়ে কথা বলবো বলছি।

হুজুর আমাদের বিবাহে কি কোন সমস্যা হবে।।

৪।।স্বামীকে বলেছিলাম আপনি আমার কাছে আসেন না সময় দেন না  আমাকে আর আমাদের সন্তানদের,তখন আমার স্বামী বলে  তোমাদের আমি  ছাইড়া যাইতাছিগা,,মানে সে আমাকে প্রশ্ন করেছে যে তোমাদের তো ছাইড়া যাইতাছিগা না।। বললাম ছাইড়া যাইতাছেন গা মানে,,তখন সে বলে যেভাবে বলতেছে তোমাদের মনে হয় আমি ছাইড়া যাইতাছিগা।। তখন বললাম তালাকের জন্য বললেন নাকি তখন আমার স্বামী বলে এখানে তালাকে কথা আসলো কেথায় থেকে।।। আমি অনেক দিন আগে বলছিলাম এখন আপনি আমাদের থেকে দারে থাকেন তাই আপনার যখন বয়স হবে আমি আর আমার সন্তনরাও আপনাকে তখন একা রাখবো দেখবো না আপনার থেকে দূরে থাকবো।।আজকে বলছিলাম চপনার পরিবারের সাথে কত দিন থাকবেন তার পর তো আমাদের সাথে থাকতে হবে,, এ কথাটা পুরোপুরি শেয করতে পারি নি সে বলল থাকলে থাকবা না থাকলে নাই,,যাইলেগা যাওগা কিংবা যাওগা বলছে খেয়াল নেই।।আমি বলছি যাওগা মানে - তালাক দিতে চান ।।তখন সে বলে এখানে তো তালাকে কথা আসে নি তুমি সবসময় বলো পরে আমার সাথে থাকবা না আমাকে একা রাখবা তাই বলছি একথা,এখানে কোন তালাকের কথা হয় নি যে তালাক দিব।। তারপর  বলে  আমি একা থাকতে পারি,কারো ইচ্ছে হলে থাকবে আর ইচ্ছে না হলে চলে যাবে,,আমার সাথে থাকার জন্য আমি কাইকেউ জোর করবো না,,আমার বাবাকেও না।।মানে সে বুঝাতে চায়ছে আমি সারাজীবন যদি তার থেকে আলাদা থাকি তাও সে বলবে না তার সাথে থাকতে,,ইচ্ছে হলে থাকবে না হলে চলে যাবে।।।মানে তালাক দিবে না বাট আলাদা বাসায় থাকবে এটা।।তারপর বলে তুমি তালাকের প্রসঙ্গ কেন আনো।।এখানে তো তালাকের কথা আসে নি।।আমিও কোন তালাকে কথা বলি নি।।কথা হচ্ছেল একি বাসায় একসাথে থাকা আর আমাদের সময় দেওয়া নিয়ে।

৫।।।আমি তার সাথে কথা বলতে চাইতাম বাট সে ব্যস্ত থাকতো তাই কথা বলতে পারতো না।।।তাই আমি রাগ করে বলেছিলাম আপনার প্রয়োজন নেই আমি একাই থাকতে পারবো,,,কারণ আমি একা বাসা থাকতাম।।এটা মুলত অভিমান করে বলেছি।।তাই সেও রাগ করে বলেছে কথায় কথায় যারা বলে প্রয়োজন নেই তাদের আমার ও প্রয়োজন নেই।।।সেও রাগ করেই বলেছে তালাকের কোন নিয়ত নেই।।আর এসব বাক্যে যে তালাক হয় সে এটাও জানে না

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
بسم الله الرحمن الرحيم

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...