আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
227 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
edited by
রহিম সাহেবের  তার  স্ত্রীর সাথে প্রায় ঝগড়া হয় ঝগড়ার সময়  স্ত্রী  বলল আমি আপনার সাথে থাকবো না, আমাকে মুক্তি দেন রহিম সাহেব  বলল যে তোর যা ইচ্ছে  তাই কর, যাকে খুশি  তাকে বিয়ে কর, তোকে মুক্তি দিলাম। উক্ত কথায় কোন তালাকের নিয়ত ছিল না। তার  পরপরই  যখন সে সরাসরি বলল যে আমি তালাক চাই  রহিম সাহেব বলল যে পরে দুই পরিবার একত্রে  আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবো তালাক দিবো কি দিবো না।
১ঃ এই কথা গুলো  স্থানীয়  এক আলেম বললে সে বলল যে মুক্তি  দেওয়া কথাটি আমাদের সমাজে তালাক হিসেবেই ব্যাবহৃত হয়।  তাই তালাক হয়ে গেছে।

২ঃ তাই  রহিম সাহেব  মাসালা জানার উদ্দেশে  আগের বলা কথা গুলোকে উদ্দেশ্য  করে বলল যে, সে   তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছে। এই কথা বলার জন্য কি তার স্ত্রী তালাক হয়ে গেছে।

৩ঃ পরে জানতে পারল যে, উক্ত কথা গুলো  কেনায়া শব্দ  তাই নিয়ত না থাকার কারণে কোন তালাক পতিত  হয়নি। কিন্তু ২ নং প্রশ্নে  মাসালা জানার জন্য যে বাক্য বলা হয়েছে  এতে কোন তালাক  হবে কি না?

৪ঃ তালাক  না দিয়েও স্বীকার করলে কি তালাক  হয়ে যায়? তালাকের  সন্দেহের কারণে বললে?  এর পক্ষে বা বিপক্ষে কোন দলিল  আছে কি কোন? থাকলে জানালে উপকৃত হব।
৫ঃরহিম সাহেব তালাক হয়ে গেছে  এই সন্দেহে তালাকের  সিকারোক্তি  প্রদান করেন, পরে জানতে পারল যে সন্দেহর কারনে তালাক হয়ে গেছে ভেবেছিল তাতে কোন তালাক পতিত হয়নি, এমতাবস্থায়  যেহেতু তালাকের  সিকারোক্তি প্রদান করেছে  এক্ষেত্রে কি কোন তালাক পতিত হবে?

৬ঃ রহিম সাহেব পরে মাসআলা জানার জন্য একজন আলেমকে বলেন আমি আমার স্ত্রীকে তা** দিয়েছি এই কথা বলেছি এতে কি কোন তালাক পতিত হয়েছে?  এই কথাটি সন্দেহের কারণে বলা সিকারোক্তিটিকে উদ্দেশ্য করে বলেছিল।

৭ঃতালাক না দিয়েও স্বীকার করলে তালাক হয়ে যায়  এর পক্ষে কোরআনের কোন  আয়াত  বা স্পষ্ট  কোন হাদীস আছে কি না জানতে চাই।

৮ঃ রাসূল হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন যে, তালাক ইচ্ছেকৃত ভাবে বললেও ইচ্ছেকৃত ধরা হয়,  হাসিঠাট্টার  ছলে বললেও ইচ্ছেকৃত ধরা হয়।  কিন্তুু তালাক না দিয়েও স্বীকার করলে তালাক হয়ে  যায় একথা তো বলেন নি। কিন্তুু আলেমগণ ফতোয়া দেন যে, তালাক না দিয়েও স্বীকার করলে তালাক হয়ে যায়।  কেন এই ফতোয়া দেন জানালে উপকৃত হব।

৯ঃ ওয়াসওয়াসাগ্রস্ত ব্যাক্তি তালাক না দিয়েও স্বীকার করলে কি তালাক  হবে ?

১০ঃ আমি আপনার সাথে  ফোনে কথা  চায় কিন্তু গ্রুপে এড হতে পারছিনা।

1 Answer

0 votes
by (683,880 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/45359/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
তালাক খুবই মারাত্মক  একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

যদি স্বামী তালাক দেয়ার উপর ধমক দিতে থাকে,বা স্ত্রী তালাক চায়,বা সেখানে অন্য কোনো ব্যাক্তি সেই স্বামীকে তালাক দেয়ার উপর উদ্ভুদ্ধ করে,তাহলে সেটিকে তালাকের মজলিস,মুযাকারায়ে তালাক বলা হবে।

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতকে তালাকের মজলিস বলা হবে।  

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
https://ifatwa.info/1049/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  

 "ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া) তে বর্ণিত রয়েছে,

 لَا يَقَعُ بِهَا الطَّلَاقُ إلَّا بِالنِّيَّةِ أَوْ بِدَلَالَةِ حَالٍ كَذَا فِي الْجَوْهَرَةِ النَّيِّرَةِ. ثُمَّ الْكِنَايَاتُ ثَلَاثَةُ أَقْسَامٍ (مَا يَصْلُحُ جَوَابًا لَا غَيْرُ) أَمْرُك بِيَدِك، اخْتَارِي، اعْتَدِّي (وَمَا يَصْلُحُ جَوَابًا وَرَدَّا لَا غَيْرُ) اُخْرُجِي اذْهَبِي اُعْزُبِي قُومِي تَقَنَّعِي اسْتَتِرِي تَخَمَّرِي (وَمَا يَصْلُحُ جَوَابًا وَشَتْمًا) خَلِيَّةٌ بَرِيَّةٌ بَتَّةٌ بَتْلَةٌ بَائِنٌ حَرَامٌ


কেনায়া শব্দাবলী দ্বারা নিয়ত ব্যতীত বা তালাকের ব্যাপারে ইশরা ইঙ্গিত ব্যতীত তালাক পতিত হয় না।কেনায়া তালাক তিন প্রকার যথাঃ-


(১)

যে সমস্ত শব্দাবলী দ্বারা তালাক ব্যতীত ভিন্ন কিছু বুঝা যায় না।যেমন,তোমার বিষয় তোমার হাতে,তুমি পছন্দ করো,তুমি গণনা করো।


(২) যে সমস্ত শব্দাবলী দ্বারা তালাক হওয়া এবং না হওয়া উভয়টি বুঝায়।যেমন,তুমি বের হও,তুমি চলে যাও,তুমি আমার কওম থেকে দূরে চলে চাও,তুমি নেকাব পরিধান করো,তুমি পর্দার আড়ালে চলে যাও,তুমি উড়না পরিধান করো।


(৩) যা তালাক এবং গালির উভয়টির সম্ভাবনা রাখে। হারাম,বায়িন,মুক্ত,দায়মুক্ত, বাত্তাহ,বাতলাহ ইত্যাদি শব্দাবলি।


পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপট তিন প্রকারঃ যথাঃ- 

وَالْأَحْوَالُ ثَلَاثَةٌ (حَالَةُ) الرِّضَا (وَحَالَةُ) مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ بِأَنْ تَسْأَلَ هِيَ طَلَاقَهَا أَوْ غَيْرُهَا يَسْأَلُ طَلَاقَهَا (وَحَالَةُ) الْغَضَبِ 

পরিবেশ ও পরিস্থিতি তিন প্রকার।(১) হালতে রেযা- খুশির হালত(২) তালাকের শব্দাবলী উচ্ছারণের হালত(৩) রাগান্বিত অবস্থা।


فَفِي حَالَةِ الرِّضَا لَا يَقَعُ الطَّلَاقُ فِي الْأَلْفَاظِ كُلِّهَا إلَّا بِالنِّيَّةِ وَالْقَوْلُ قَوْلُ الزَّوْجِ فِي تَرْكِ النِّيَّةِ مَعَ الْيَمِينِ

(১) খুশির হালতে নিয়ত ব্যতীত কেনায়া শব্দাবলী দ্বারা তালাক পতিত হবে না।নিয়ত না থাকার বিষয়ে স্বামীর কথাই কসমের সাথে গ্রহণযোগ্য। 


وَفِي حَالَةِ مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ يَقَعُ الطَّلَاقُ فِي سَائِرِ الْأَقْسَامِ قَضَاءً إلَّا فِيمَا يَصْلُحُ جَوَابًا وَرَدَّا فَإِنَّهُ لَا يُجْعَلُ طَلَاقًا كَذَا فِي الْكَافِي

(২)তালাকের আলোচনার পরিস্থিতিতে সকল প্রকার কেনায়া তালাকে তালাক পতিত হবে।তবে যে শব্দগুলো তালাকের আবেদনের জবাব এবং রদ উভয়টা বুঝাবে,সে শব্দগুলো দ্বারা তালাক পতিত হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)



প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(১-৭)
এখানে স্ত্রী ঝগড়ার সময় বলেছিলোঃ  
"আমি আপনার সাথে থাকবো না, আমাকে মুক্তি দেন"

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতকে তালাকের মজলিস বলা হবে।  
এ কথার প্রেক্ষিতে স্বামী বলে যে "তোর যা ইচ্ছে  তাই কর, যাকে খুশি  তাকে বিয়ে কর, তোকে মুক্তি দিলাম।""

সুতরাং তালাকের মজলিসে এহেন  কেনায়া বাক্য বলায় প্রশ্নে উল্লেখিত স্ত্রীর উপর  এক তালাকে বায়েন পতিত হয়েছে। 

(০৭)
হাদীসে স্পষ্ট আকারে এমনটি পাইনি। 

(০৮)
তারা কুরআন হাদীসের উপর ইজতিহাদ করে এমন মাসয়ালা বলেন।
যাহা মুকাল্লিদ দের জন্য মান্য করা আবশ্যক। 

(০৯)
তিনি যদি নিশ্চিত হোন যে তিনি তালাকের স্বীকারোক্তি  প্রদান করেছেন,তাহলে তালাক হবে।
আর যদি সন্দেহে থাকে, যে আসলেই স্বীকারোক্তি দিয়েছে কিনা,তাহলে তালাক হবেনা।

(১০)
ইনবক্সে আসুন।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (2 points)
কয়েকজন আলেম বিস্তারিত শোনার পর বলেছে তালাক হয়নি।তালাকের  সন্দেহের কারণে তালাকের স্বিকারোক্তিতে কোন তালাক পতিত হবে না। যেহেতু কোরান হাদিসে  স্পষ্ট কোন দদিল নেই তাহলে তাদের মতামত গ্রহণ করলে  কোন গুনাহ হবে কি না?
by (2 points)
হুজুর আমার gmail number এ পারসোনাল ভাবে আপনার ফোন নাম্বার দিলে কথা বলতে পারতাম।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...