আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
49 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম হুজুর। আমার প্রশ্নের জবাব দেওয়ার অনুরোধ রইলো।

প্রশ্ন ১: নিচের ইসমে আজম দোয়াটি সহীহ হাদিস দিয়ে প্রমাণিত?

اَللّٰهُمَّ إِنِّىْ أَسْأَلُكَ بِأَنَّ لَكَ الْحَمْدَ لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ الْحَنَّانُ الْمَنَّانُ بَدِيعُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ يَا حَىُّ يَا قَيُّومُ أَسْأَلُكَ

হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি। কারণ তোমারই জন্য সব প্রশংসা। তুমি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মাবুদ নেই। তুমিই সবচেয়ে বড় দয়ালু, বড়দাতা। তুমিই আসমান জমিনের স্রষ্টা। হে মর্যাদা ও দান করার মালিক! হে চিরঞ্জীব, হে প্রতিষ্ঠাতা! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করি। 

প্রশ্ন ২: নিচের দুরুদ কি সহীহ হাদিস দিয়ে প্রমাণিত?

 صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ عَبْدِكَ وَرَسُوْلِكَ وَعَلَى الْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَالْمُسْلِمِيْنَ وَالْمُسْلِمَاتِ উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা মুহাম্মাদিন আবদিকা ওয়া রাসুলিকা ওয়া আলাল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাতি ওয়াল মুসলিমিমিনা ওয়াল মুসলিমাতি। অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি রহমত বর্ষণ কর তোমার বান্দা ও রাসুল মুহাম্মদের উপর, এবং সব মুমিন নর-নারী ও মুসলমান নর-নারীর উপর।

প্রশ্ন ৩: নিচের সংক্ষিপ্ত দুরুদ কি সহীহ হাদিস দিয়ে প্রমাণিত?

‎اَللَّهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ عَلَى نَبِيِّنَا مُحَمَّد
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাদের নবি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রহমত ও শান্তি দান করুন।’

প্রশ্ন ৪: বসুন্ধরা থেকে দাওরায়ে হাদিস পাশ করা আলেম জেনারেল শিক্ষায় শিক্ষিতদের আলেমদের পায়খানা থেকে নগণ্য বলেছেন। এই ধরনের বক্তব্য কি সঠিক? কারো সম্মান বুঝানোর জন্য কি অপরকে তুচ্ছ করা জায়েজ?

1 Answer

0 votes
by (606,750 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইসমে আ'জম পড়ে দু'আ করলে সেই দু'আ সাথে সাথেই কবুল করে নেয়া হয়। ইসমে আজমের নির্ধারণ নিয়ে উলামাদের মধ্যে তুমুল বিতর্ক রয়েছে। সুনির্দিষ্ট ভাবে কোনো কিছুকেই ইসমে আ'জম বলে আখ্যায়িত করা যাবে না। কেননা হাদীসে অনেক দু'আকেই ইসমে আযম বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। হ্যা, অধিকাংশ উলামায়ে কেরামের মতে ঈমান ও ইয়াকিনের সাথে 'আল্লাহ' শব্দকে কেউ পড়লে সেটাই ইসমে আ'যম হবে।

হযরত আবু উমামা রাযি রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে বর্ণনা করেন,
وعن أبي أمامة يرفعه قال : اسم الله الأعظم الذي إذا دعي به أجاب في ثلاث: سورة البقرة وآل عمران وطه وقال هشام وهو ابن عمار خطيب دمشق: أما البقرة "الله لا إله إلا هو الحي القيوم" وفي آل عمران "الم الله لا إله إلا هو الحي القيوم" وفي طه "وعنت الوجوه للحي القيوم"
ইসমে আ'যম যা দ্বারা দু'আ করা হলে,আল্লাহ তা'আলা সেই দু'আ কে কবুল করে থাকেন।এই ইসমে আ'যম তিনটি সূরাতে রয়েছে।সূরা বাকারা,সূরা আলে ইমরান,সূরা তা-হা।
হেশাম রাহ,যিনি দামেস্কের খতিব ছিলেন,তিনি বলেন,সূরা বাকারার আয়াতুল কুরসি,আলে ইমরানের প্রথম দুই আয়াত,সূরা তোহার ১১১আয়াত।(সুনানু ইবনি মা'জা-৩৮৫৬)

(১)
এই হাদীসটিকে ইসমে আ'যম হিসেবে ইমাম আহমদ রাহ আনাস ইবনে মালিক থেকে বর্ণনা করেছে।

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: كُنْتُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم جَالِسًا يَعْنِي: وَرَجُلٌ قَائِمٌ يُصَلِّي، فَلَمَّا رَكَعَ، وَسَجَدَ، وَتَشَهَّدَ دَعَا، فَقَالَ فِي دُعَائِهِ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنَّ لَكَ الْحَمْدَ، لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ الْمَنَّانُ، بَدِيعُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ، يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ، يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ، إِنِّي أَسْأَلُكَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِأَصْحَابِهِ: تَدْرُونَ بِمَا دَعَا؟ قَالُوا: اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، قَالَ: وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَدْ دَعَا اللهَ بِاسْمِهِ الْعَظِيمِ، الَّذِي إِذَا دُعِيَ بِهِ أَجَابَ، وَإِذَا سُئِلَ بِهِ أَعْطَى.(رواه الإمام أحمد)
(২)
عن أبي سعيد الخدري ، رضي الله عنه عن رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم أنه قال : " أيما رجل كسب مالا من حلال فأطعم نفسه وكساها فمن دونه من خلق الله له زكاة ، وأيما رجل مسلم لم يكن له صدقة فليقل في دعائه اللهم صل على محمد عبدك ورسولك وصل على المؤمنين والمؤمنات والمسلمين والمسلمات فإنها له زكاة . وقال : " لا يشبع مؤمن يسمع خيرا حتى يكون منتهاه الجنة "(زكاة المسلم المعدم الصلاة على النبي- 2996)

(৩)
এটা দুরুদে ইবরাহিম এর মতই।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/985

(৪) এরকম শব্দ ও বাক্য ব্যবহার করা কখনে উচিৎ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...