আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
54 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (57 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ,
১/ফরজ নামাজে আখেরি বৈঠকে তাশশাহুদ,দুরুদ ও দুয়ামা সূরার পরে সর্বশেষে ইসমে আজম পড়ে কি সালাম ফিরানো যাবে?এতে কি নামাজের কোনো ক্ষতি হবে?

২/কেউ যদি আল্লাহ কে বলে আল্লাহ আমি দুর্বল অক্ষম কিন্তু আপনি তো দুর্বল না তাই আমার প্রতি যারা যুলুম করেছে আপনি আমার হয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিয়েন।এভাবে কি দোয়া করা যাবে বা এভাবে বললে কি কাউকে অভিশাপ দেওয়া হয়?

৩/আমাদের পাশে খ্রিস্টান ফ্যামিলি থাকে সেই সুবাদে প্রতিবেশী হিসেবে আমরা তাদের বিভিন্ন খাবার দাবার ও হাদিয়া দিয়ে থাকি তারা ও দিয়ে থাকে।তো এক্ষেত্রে কি তাদের হাদিয়া গ্রহণ করা যাবে?বা তাদের রান্না করা খাবার কি খাওয়া যাবে যদি তা হালাল হয়?

1 Answer

0 votes
by (676,960 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
শরীয়তের বিধান হলো নামাজের মধ্যে শেষ বৈঠকে তাশাহুদের পর যেকোনো কুরআন হাদীসে বর্ণিত দোয়া পাঠ করা যাবে।
এই ব্যাপারে কোনো দ্বিমত নেই। 
,
যেহেতু ইসমে আজম হাদীস শরীফে আছে।
সুতরাং শেষ বৈঠকে তাশাহুদের পর প্রশ্নে উল্লেখিত দোয়া পাঠ করা যাবে।    

ইসমে আজম হলোঃ-

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنَّ لَكَ الْحَمْدَ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ الْحَنَّانُ الْمَنَّانُ بَدِيعُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ أَسْأَلُكَ 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ أَنَسٍ قَالَ: كُنْتُ جَالِسًا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمَسْجِدِ وَرَجُلٌ يُصَلِّي فَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنَّ لَكَ الْحَمْدَ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ الْحَنَّانُ الْمَنَّانُ بَدِيعُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ أَسْأَلُكَ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «دَعَا اللَّهَ بِاسْمِهِ الْأَعْظَمِ الَّذِي إِذَا دُعِيَ بِهِ أَجَابَ وَإِذَا سُئِلَ بِهِ أَعْطَى»

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে মসজিদে নাবাবীতে বসে ছিলাম। তখন জনৈক ব্যক্তি সালাত আদায় করছিল এবং সালাতের পর বলছিল, হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি। কারণ তোমারই জন্য সব প্রশংসা। তুমি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মা‘বূদ নেই। তুমিই সবচেয়ে বড় দয়ালু, বড়দাতা। তুমিই আসমান জমিনের স্রষ্টা। হে মর্যাদা ও দান করার মালিক! হে চিরঞ্জীব, হে প্রতিষ্ঠাতা! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করি। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যে আল্লাহকে ইস্মে আ‘যম-এর সাথে ডাকে তিনি তাতে সাড়া দেন এবং যখন তাঁর কাছে প্রার্থনা করা হয় তখন তিনি তা দান করেন।
(সহীহ : আবূ দাঊদ ১৪৯৫, তিরমিযী ৩৪৭৫, নাসায়ী ১৩০০, আহমাদ ১২২০৫, ইবনু আবী শায়বাহ্ ২৯৩৬১, ইবনু মাজাহ ৩৮৫৮, ইবনু হিব্বান ৮৯৩, সহীহ আত্ তারগীব ১৬৪১,মিশকাত ২২৯০।)

আরো জানুনঃ- 

ইসমে আজম সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ফরজ নামাজে আখেরি বৈঠকে তাশাহুদ,দরুদ শরী ও দুয়ায়ে মাছুরার পরে সর্বশেষে ইসমে আজম পড়ে সালাম ফিরানো যাবে।
এতে নামাজের কোনো ক্ষতি হবেনা।

(০২)
এভাবে দোয়া করলে সমস্যা নেই।

(০৩)
হ্যাঁ, তাদের হাদিয়া গ্রহন করা যাবে,তাদের রান্না করা খাবার (হালাল হলে) খাওয়া যাবে।
তাদের রান্নাকরা কোনো গোশত খাবেননা। গোশত দিয়ে তৈরীকৃত তাদের পাঠানো খাবার খাবেননা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...