ইমাম বুখারী রহঃ বুখারী শরীফের ১ম খন্ডের ১৪৭ নং পৃষ্ঠায় একটি বাব কায়েম করেছেন। যার শিরোনাম হল, بَابٌ: فِي كَمْ يَقْصُرُ الصَّلاَةَতথা কতটুকু দূরত্বে কসর করা উচিত? এর অধ্যায়।
এ বাবের অধীনে ইমাম বুখারী রহঃ উল্লেখ করেনঃ
وَسَمَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَوْمًا وَلَيْلَةً سَفَرًا» وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ، وَابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، يَقْصُرَانِ، وَيُفْطِرَانِ فِي أَرْبَعَةِ بُرُدٍ وَهِيَ سِتَّةَ عَشَرَ فَرْسَخًا
আর রাসূল সাঃ এক দিন আর এক রাতের দূরত্বকেও সফর বলেছেন। হযরত ইবনে ওমর রাঃ এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ চার বারীদ সফরের সময় কসর পড়া রোযা ভাঙ্গার কথা বলেছেন। আর সেটি হল, ১৬ ফরসখ তথা ৪৮ মাইল হয়।
,
ইমাম বুখারী রহঃ এর কায়েম করা উক্ত বাব দ্বারা একথা সুস্পষ্টরূপে প্রমানিত হচ্ছে যে, সফরের দূরত্ব হল ৪৮ মাইল। কেননা, চার বারীদ দ্বারা ১৬ ফরসখ হয়, আর এক ফরসখ তিন মাইল হয়ে থাকে। সেই হিসেবে ষোলকে তিন দিয়ে গুণ দিলে হচ্ছে ৪৮। সুতরাং ইমাম বুখারী রহঃ এর নিকট সফরের দূরত্ব দাঁড়াচ্ছে ৪৮ মাইল।
“এক বারীদ মানে ১২ মাইল, সুতরাং ৪ বারীদ হল ৪৮ মাইল”। {মুখতারুস সিহাহ লিররাজী}
আরেকটি সহীহ হাদীস
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ سُئِلَ أنقصر الصلاة إلَى عَرَفَةَ قَالَ لَا وَلَكِنْ إلَى عُسْفَانَ وَإِلَى جُدَّةَ وَإِلَى الطَّائِفِ2 وَإِسْنَادُهُ صَحِيحٌ وَذَكَرَهُ مَالِكٌ فِي الْمُوَطَّأِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ بَلَاغًا.
أخرجه الشافعي في مسنده “1/185” كتاب الصلاة، باب صلاة المسافرين الحديث “526”.
وأخرجه مالك في الموطأ “1/148” كتاب قصر الصلاة في السفر، باب ما يجب فيه قصر الصلاة، الحديث “15” بلاغاً عن ابن عباس ورواه أيضاً البيهقي في السنن الكبرى “3/137” كتاب الصلاة، باب السفر الذي لا تقصر في مثله الصلاة.
ورواه في المعرفة “2/418- 419” كتاب الصلاة، باب السفر الذي تقصر في مثله الصلاة بلا خوف رقم “1579، 1580”.
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ কে জিজ্ঞাসা করা হল, মক্কা থেকে আরাফায় যাওয়ার সময় কসর পড়া হবে কি? জবাবে তিনি বললেন, না, তবে আসফান, জেদ্দা বা তায়েফ ইত্যাদি এলাকায় সফরের জন্য কসর পড়তে পারো।
ইবনে হাজার আসকালানী রহঃ বলেন, হাদীসটির সনদ সহীহ। মুয়াত্তা মালিকেও এ হাদীস বর্ণিত। {তালখীসে হাবীর-২/৪৬, হাদীস নং-৬০৮}
উল্লেখ্য মক্কা ও জেদ্দার মধ্যবর্তী দূরত্ব হল ৭২ কিলোমিটার। মক্কা ও তায়েফের দূরত্ব হল ৮৮ কিলোমিটার। আর মক্কা ও আসফানের দূরত্ব হল ৮০ কিলোমিটার।
,
তিনদিনের সফরকেই মূল হিসেবে গণ্য করা হয়েছিলো।তবে পরবর্তী সময়ে হানাফি ফুকাহাগণ ৪৮ কিলোমিটার-কে তিনদিন তিনরাত সমপরিমাণ দূরত্ব হিসেবে নির্ধারণ করেন।এ হিসেবে বর্তমানে ৪৮মাইল বা ৭৭ কিলোমিটার কে সফরের দূরত্ব সাব্যস্ত করা হয়েছে।(আওযানে শরঈয়্যিয়াহ-মুফতী শফী রাহ-৪৯)(ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম-৪/৪৯৪,রদ্দুল মুহতার-২/১২২(করাচি),তাবয়ীনুল হাক্বাঈক্ব- ১/২০৯)
,
(০২)
আপনি যে মাযহাবকে ফলো করতেছেন,সর্বক্ষেত্রে ঐ মাযহাবকেই ফলো করতে হবে।তবে মুজতাহিদ ফিল মাযহাব পর্যায়ের কোনো আলেমের কাছে নিজ মাযহাবের কোনো মাস'আলার দলীল অন্য মাযহাবের চেয়ে দুর্বল প্রমাণিত হলে তখন উনার জন্য শক্তিশালী মাযহাবকে ফলো করা ওয়াজিব।নতুবা যে মাযহাবকে ফলো করা হচ্ছে,সেই মাযহাবের সকল মাস'আলা কে অনুসরণ করতে হবে,করাটাই ওয়াজিব।
আরো জানুনঃ
মাযহাব সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ
একেক মাস'আলায় একেকজন ইমামকে অনুসরণ করা যাবে না।এবং একই মাস'আলা কিছু দিন একটা এবং অন্য কিছু দিন আরেকটা মানা যাবে না।বরং যে ইমামকে মানতে হবে,উনার সবকিছুকেই মানতে হবে।তবে উনার মতের উল্টা সহীহ কোনো হাদীস পাওয়া গেলে,সেটাকে অবশ্যই ফলো করতে হবে।
বিস্তারিত জানুনঃ
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয়টি নিয়ে সমাধান জানতে বিস্তারিত পড়ুনঃ
,
(০৩)
উক্ত জামা যেই টাকা দিয়ে ক্রয় করা হয়েছে,
যদি তার সবটাকাই হারাম হয়,তাহলে তা উক্ত আত্নীয়ার কাছেই ফেরত দিতে হবে।
কেননা হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।
নতুবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
,
সেটি যেহেতু ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা,তাই সেটি পরিধান করে নামাজ পড়াও জায়েজ হবেনা।
,
আরো জানুনঃ