আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
405 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (33 points)
আসসালামুআলাইকুম,

আমি একজন জিমেইল সেলার, জিমেইল বানিয়ে বিক্রি করে থাকি... দৈনিক ৫০/১০০ জিমেইল বানাতে গেলে ভেরিফাইয়ের জন্য অনেক নাম্বারের দরকার হয়, যা ম্যানেজ করা সম্ভব হয় না বলে ২/৩ টার বেশি মেইল বানানো যায় না, আর এত নাম্বারের জন্য এত সিম ও থাকা সম্ভব না...

আমার একটা ফেক আইডি (মেয়ের নামে) আছে যেটায় প্রচুর ফ্রেন্ড আছে এবং প্রতিদিন অনেকে এড হয় ৷ এখন আমি যদি এই ফেসবুক ফ্রেন্ডদের নাম্বার ব্যবহার করে ভেরিফাই করে জিমেইল বানাই, তাহলে এভাবে কি বানানো জায়েজ আছে, যদি আমি তাদেরকে বলি,  "আমার একটা জিমেইল বানাতে হবে, তোর নাম্বারটা দে, ভেরিফিকেশন কোড গেলে ওটা আমাকে দিস"..... এভাবে নাম্বার ব্যবহার করে কাজ করলে সেটা ধোঁকা বা হারাম এরকম কিছু হবে ? উল্লেখ্য, জিমেইল বানানো হয়ে গেলে ঐ নাম্বারগুলো পরবর্তীতে আবার রিমুভ করে দিবো ৷

যেহেতু আমি কারণ ব্যাখ্যা করতে মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছি না এবং ওরা নাম্বার ব্যবহার করতে দিতে যদি রাজি হয়, তাহলে কি এভাবে জিমেইল বানাতে পারবো ?

আরেকটা জিনিস হচ্ছে ফেক আইডিটা যেহেতু মেয়ের নামে খোলা, অর্থাৎ আমার পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে, ঐ গোপন পরিচয়েই যদি সত্য কারণটা বলে নাম্বার নিয়ে কাজ করি সেটা হারাম হবে কিনা, যদিও আমি কি কারণে নাম্বার নিচ্ছি সেটা বলেই নিচ্ছি ৷

এককথায় বলতে গেলে, আসল পরিচয় গোপন রেখেই সঠিক কারণ উল্লেখ করে কারো নাম্বার নিয়ে সেটা ব্যবহার করতে পারবো কিনা

আশা করি জানাবেন ...

1 Answer

0 votes
by (559,260 points)
reshown by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
https://ifatwa.info/8762/ ফতোয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী ফেসবুকে ছদ্মনাম ব্যবহার করে,(ফেইক আইডি খুলে),যেকোনো নামে (ফেইক) ই - মেইল একাউন্ট ব্যবহার করে, ন্যায্য বিষয় নিয়ে,সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে  লেখালেখি করা জায়েজ আছে। তবে শরীয়ত বহির্ভূত কোনো কাজ করা যাবেনা।
অসৎ কাজ করা যাবেনা।

হাদীস শরীফে এসেছে  

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

অন্য এক হাদীসে এসেছে 

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি তাদের কোনো সমস্যা না হয়,তাহলে নাম্বার ব্যবহার করে তাদের সন্তুষ্টি চিত্তে জিমেইল আইডি বানিয়ে ইনকাম করা জায়েজ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...