আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
84 views
in সালাত(Prayer) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ।

১. আমার বাচ্চার বয়স ১৪ মাস চলছে। ও অনেক বেশি চঞ্চল এবং দুষ্টু। প্রায় সময়ই আমি বাসায় একা থাকি। যার জন্য সালাত আদায়ের সময় ওকে আমার সাথেই রাখতে হয় (ফজর এবং যোহরের ওয়াক্তে ঘুমিয়ে থাকে)। যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন আমি বিছানার পাশে সালাত আদায় করি।মাঝে মাঝে আমার সালাত আদায়ের মধ্যেই ওর ঘুম ভেঙে যায় এবং বিছানা থেকে নামার জন্য হাত পা বারিয়ে দেয়। ও যাতে পড়ে না যায় তার জন্য আমি মাঝে মাঝে হাত দিয়ে ওকে সরিয়ে দেই। আবার যখন জেগে থাকে তখন ওকে খেলনা দিয়ে আমার পাশে বসিয়ে সালাত আদায় করি।কিন্তু দেখা যায় ও খেলনা বাদ দিয়ে জায়নামাযে এসে বসে বা শুয়ে থাকে।তখন ওকে হাত দিয়ে সরিয়ে সিজদা দিতে হয়। কখনো আমার পা ধরে দাঁড়িয়ে থাকে,খাটের নিচে ঢুকতে যায় তখন হাত দিয়ে বাধা দিতে হয়। এতে কি সালাত ভঙ্গ হয়ে যাবে?
২.আবার দেখা যায় বৈঠকে বসলে আমার কোলে বসে থাকে এবং সরাতে গেলে কান্না করে যার জন্য ইশারায় যতটুকু পারি ঝুকে সিজদা দেই।
৩.আমি সালাতে বসলে ও আমার সাথে কথা বলে, আমাকে ডাকে, খেলনা দেখায়। তখন যদি আমি ওর দিকে না তাকাই ও কান্না করে দেয়। দেখা যায় যে তখন আমার ওর দিকে তাকাতে হয় চোখ দিয়ে ইশারা করতে হয় কান্না না করার জন্য। এসব কারনে কি আমার সালাত ভঙ্গ হবে? এখন আমার করনীয় কি?

আর হ্যাঁ ও ঘুমায় খুব কম সময়। দিনে একবার। আর যতক্ষন জেগে থাকে ততক্ষন শুধু দুষ্টুমিই করতে থাকে। বসিয়ে দিলে ২ মিনিটের জন্যও স্থির হয়ে বসে থাকে না।

1 Answer

0 votes
by (609,960 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
عن عبد الله بن شداد ، عن ابيه ، قال: خرج علينا رسول الله صلى الله عليه وسلم في إحدى صلاتي العشي: الظهر او العصر، وهو حامل الحسن او الحسين، فتقدم النبي صلى الله عليه وسلم فوضعه، ثم كبر للصلاة، فصلى، فسجد بين ظهراني صلاته سجدة اطالها، فقال: إني رفعت راسي، فإذا الصبي على ظهر رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو ساجد، فرجعت في سجودي، فلما قضى رسول الله صلى الله عليه وسلم الصلاة، قال الناس: يا رسول الله، إنك سجدت بين ظهراني صلاتك هذه سجدة قد اطلتها، فظننا انه قد حدث امر، او انه قد يوحى إليك , قال:" فكل ذلك لم يكن، ولكن ابني ارتحلني، فكرهت ان اعجله حتى يقضي حاجته".

রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যুহরের বা আছরের মধ্যে যে কোন এক ছালাতে হাসান বা হুসাইনকে কোলে করে নিয়ে আসেন। তিনি (ইমামতের স্থলে) অগ্রসর হয়ে তাকে স্বীয় ডান পায়ের নিকটে রাখেন অতঃপর ছালাতের উদ্দেশ্যে তাকবীর বলেন এবং ছালাত আদায় করেন। তাঁর এই ছালাতে একটি সাজদাকে দীর্ঘায়িত করলে লোকজনের মধ্য হতে আমি স্বীয় মস্তক উত্তোলন করি। দেখতে পেলাম যে, বালকটি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর পিঠের উপরে রয়েছে আর তিনি সাজদারত অবস্থায় রয়েছেন, এ দেখে আমি আবার সাজদায় চলে যাই। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ছালাত শেষ করলে লোকজন বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি ছালাতে একটি সাজদাকে এতই দীর্ঘায়িত করেছেন যে, আমাদের এই ধারণা হয়েছিল যে, সম্ভবত একটা কিছু ঘটেছে অথবা ওহী অবতীর্ণ হচ্ছে। তিনি বললেনঃ ও সবের কোনটাই নয় বরং আমার এই ছেলেটি আমার উপরে আরোহণ[1] করেছিল, ফলে তার চাহিদা পূর্ণ না হতেই তাকে জলদি নামিয়ে দেয়া অপছন্দ মনে করেছি।(নাসাঈ, ইবনু আসাকির (৪/২৫৭/১-২)

অপর হাদীছে এসেছেঃ
كان صلى الله عليه وسلم يصلي فإذا سجد وثب الحسن والحسين على ظهره فإذا منعوهما أشار إليهم أن دعوهما فلما قضى الصلاة وضعهما في حجره وقال: من أحبني فليحب هذين

নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর ছালাত আদায় কালে সাজদায় যেতেই হাসান ও হুসাইন তাঁর পিঠে লাফিয়ে চড়ে বসত, অন্যরা তাদেরকে নিষেধ করতে গেলেই তিনি ইঙ্গিতে বলতেন যে, তাদেরকে নিজ অবস্থায় ছেড়ে রাখ। অতঃপর ছালাত শেষ করে তাদেরকে কোলে বসিয়ে বললেনঃ যে ব্যক্তি আমাকে ভালবাসে সে যেন এই দু’জনকেও ভালবাসে।[ইবনু খুযাইমাহ স্বীয় গ্রন্থে' (৮৮৭) ইবনু মাসউদ থেকে হাসান সনদে, বাইহাকী মুরসাল সনদে (২/২৬৩]


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রথমে বাচ্চাকে কারো নিকট দিয়ে নামায পড়ার চেষ্টা করবেন।যদি কাউকে না পান, তাহলে পাশে রেখে নামায পড়তে পারবেন। যদি তাকে হাত দ্বারা সরানোর প্রয়োজন পড়ে, তাহলে হাত দ্বারা তাকে সরিযে নামায পড়তে পারবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 194 views
0 votes
1 answer 98 views
...