আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
53 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।আমরা তো জানি আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর সাথে কোনো প্রকার পরিবর্তন,পরিবর্ধন,ধরন বর্ণনা বা উদাহরণ পেশ করা যাবে না ।

১. এখন যদি বলা হয় একজন মা তার সন্তানকে যত ভালোবাসে আল্লাহ আমাদের তার থেকে বেশি ভালোবাসে।এই কথার দ্বারা কী আল্লাহর নামের সাথে উদাহরণ পেশ করা হলো না? আল্লাহ তো অতুলনীয় কিন্তু এখানে কি আল্লাহর সাথে তুলনা করা হচ্ছে না?

২.আবার একজন মা তার সন্তানকে উত্তম তরবিয়ত দিয়ে মানুষ করলেন কিন্তু তার সন্তান মন্দ আখলাকের অধিকারী হলো এক্ষেত্রে মা তার সন্তানের সাথে ন্যায় বিচার করেছেন কিন্তু মা যখন আবারো বুঝিয়ে, তার ভুল ধরিয়ে তাকে উত্তম আখলাকে অধিকারী হবার জন্য সাহায্য করবেন তখন তিনি তার প্রতি দয়া করলেন। আমাদের আল্লাহ আমাদেরকে বিভিন্ন গুণাবলী দিয়ে সৃষ্টি করছেন সেসব গুণাবলী থাকার সত্তেও কেউ যদি জাহান্নামে যায় তাহলে আল্লাহ ন্যায় বিচার করলেন কিন্তু গুণাবলীর পাশাপাশি জীবনের বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করলেন আর এটা হলো দয়া। এখন এইযে আমি ন্যায়বিচার ও দয়ার ক্ষেত্রে মায়ের কথা বল্লাম এখানে কি আল্লাহর সাথে উদাহরণ পেশ করা হলো?

জাজাকাল্লাহু খাইর

1 Answer

0 votes
by (603,420 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
فَاطِرُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۚ جَعَلَ لَكُم مِّنْ أَنفُسِكُمْ أَزْوَاجًا وَمِنَ الْأَنْعَامِ أَزْوَاجًا ۖ يَذْرَؤُكُمْ فِيهِ ۚ لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ ۖ وَهُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ
তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের স্রষ্টা। তিনি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের জন্যে যুগল সৃষ্টি করেছেন এবং চতুস্পদ জন্তুদের মধ্য থেকে জোড়া সৃষ্টি করেছেন। এভাবে তিনি তোমাদের বংশ বিস্তার করেন। কোন কিছুই তাঁর অনুরূপ নয়। তিনি সব শুনেন, সব দেখেন।(সূরা আশ-শূরা-১১)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আল্লাহর সমকক্ষ বা সমতুল্য কেউ নেই। একজন মা তার সন্তানকে যত ভালোবাসে আল্লাহ আমাদেরকে তার থেকে বেশি ভালোবাসে। এখানে কিন্তু হুবহু পরিমাণ বুঝানো হচ্ছে না বরং বুঝানোর স্বার্থে একটি দষ্টান্ত দেয়া হচ্ছে।

আবূ হামযাহ আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত,
وَعَنْ أَبِي حَمزَةَ أَنَسِ بنِ مَالكٍ الأنصَارِيِّ خَادِمِ رَسُولِ الله ﷺ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ الله ﷺ لَلَّهُ أفْرَحُ بِتَوْبَةِ عَبْدِهِ مِنْ أَحَدِكُمْ سَقَطَ عَلَى بَعِيرهِ وقد أضلَّهُ في أرضٍ فَلاةٍ مُتَّفَقٌ عليه
وفي رواية لمُسْلمٍ للهُ أَشَدُّ فَرَحاً بِتَوبَةِ عَبْدِهِ حِينَ يتوبُ إِلَيْهِ مِنْ أَحَدِكُمْ كَانَ عَلَى رَاحِلَتهِ بأرضٍ فَلاةٍ، فَانْفَلَتَتْ مِنْهُ وَعَلَيْهَا طَعَامُهُ وَشَرَابهُ فأَيِسَ مِنْهَا، فَأَتى شَجَرَةً فاضطَجَعَ في ظِلِّهَا وقد أيِسَ مِنْ رَاحلَتهِ، فَبَينَما هُوَ كَذٰلِكَ إِذْ هُوَ بِها قائِمَةً عِندَهُ، فَأَخَذَ بِخِطامِهَا، ثُمَّ قَالَ مِنْ شِدَّةِ الفَرَحِ: اَللّٰهُمَّ أنْتَ عَبدِي وأنا رَبُّكَ أَخْطَأَ مِنْ شِدَّةِ الفَرَحِ
তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’আল্লাহ তাআলা স্বীয় বান্দার তওবা করার জন্য ঐ ব্যক্তি অপেক্ষা বেশী আনন্দিত হন, যে তার উঁট জঙ্গলে হারিয়ে ফেলার পর পুনরায় ফিরে পায়।
মুসলিমের অন্য বর্ণনায় এইভাবে এসেছে যে, নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দার তওবায় যখন সে তওবা করে তোমাদের সেই ব্যক্তির চেয়ে বেশী খুশী হন, যে তার বাহনের উপর চড়ে কোন মরুভূমি বা জনহীন প্রান্তর অতিক্রমকালে বাহনটি তার নিকট থেকে পালিয়ে যায়। আর খাদ্য ও পানীয় সব ওর পিঠের উপর থাকে। অতঃপর বহু খোঁজাখুঁজির পর নিরাশ হয়ে সে একটি গাছের ছায়ায় ঘুমিয়ে পড়ে। ইতোমধ্যে বাহনটি হঠাৎ তার সম্মুখে দাঁড়িয়ে যায়। সে তার লাগাম ধরে খুশীর চোটে বলে ওঠে, ’হে আল্লাহ! তুমি আমার দাস, আর আমি তোমার প্রভু!’ সীমাহীন খুশীর কারণে সে ভুল করে ফেলে।(বুখারী ৬৩০৯, মুসলিম ৭১৩১-৭১৩৭)

আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নটি অস্পষ্ট। স্পষ্টকরে কমেন্টে লিখে দিবেন। আমরা জবাব দেয়ার চেষ্টা করবো। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...