আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
16 views
ago in ওয়াসওয়াসা by (1 point)
আসসালামুআলাইকুম,
আমি আজ সকালে ফজরের সালাত আদায়ের পর কিছু সময় ঘুমাই এবং ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি আমি আমার বাবার  সাথে পোশাক কিনতে মার্কেটে যাই। মার্কেটে যাওয়ার পর আমার বাবা আমার জন্য একটি কালো রংয়ের পোশাক পছন্দ করে ।পরে আমরা লক্ষ করি পোশাকের পিছনে কতটুকু জায়গা ছেড়া এবং আমরা সেটি না কিনেই চলে আসি। পরবর্তীতে আমার মা আর মামাতো বোন আমাক নিয়ে আবার মার্কেটে যায় এবং সেই কালো জামাটি আমার মা আমাকে জিজ্ঞাসা না করেই কিনে ফেলে কারণ সেটি সাধারণের চেয়ে কম মূল্যে বিক্রি হচ্ছিল।এতে আমি রাগ হই আমার মায়ের সাথে, কারণ টাকা দিয়ে ছেড়া জামা কেনার কোনো মানে নেই। এরপর মায়ের সাথে রাগ হয়  আমি মার্কেট ছেড়ে অনেক দূর চলে আসি। কিছুদূর যাওয়ার পর আমার মনে হয় আমার মা হয়তো ঠিকই করেছে এবং আমার মায়ের সাথে দুর্ব্যবহার করা ঠিক হয়নি । এরপর আমি আবার মায়ের  কাছে ফিরে যাই। এই স্বপ্ন দেখে ঘুম থেকে উঠার পর আমার তেমন খারাপ কিছু মনে হয়নি। কিন্তু পরে মনে হলো এতো স্পষ্ট স্বপ্ন আমি খুব কম দেখেছি আর স্বপ্নের সেই কালো জামার রঙটা খুবই সুন্দর ও গাঢ় ছিলো। এখন আমার প্রশ্ন হলো আমার এই স্বপ্নের কি কোনো মানে আছে?? আল্লাহ তায়ালা কি  আমাকে কোনো দিক নির্দেশনা দিতে চাচ্ছেন?

বি দ্র: গত চার পাচ মাস যাবত আমার বাসায় একটি বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আমি নিজেও এখন বিয়ে করতে চাইছি। ছেলেপক্ষ আমাকে দেখে যাওয়ার পর জানিয়েছিলো তাদের আমাকে পছন্দ এবং আমার ব্যাপারে আগ্রহী এবং পরবর্তীতে বিয়ের কথা আগাবে যেহেতু পাত্র দেশের বাহিরে থাকে। এরপর আমি একদিন আমার বিয়ের স্বপ্নও দেখি এবং মাঝে মাঝে ইস্তিখারাও করি এই প্রস্তাবে সায় দেওয়া উচিত কিনা সেটা বোঝার জন্য । তবে ইস্তিখারা করার পর আমি তেমন কিছু বুঝতে পারি নি আমার কি করা উচিত। গত পরশু রাতেও আমি ইস্তিখারা করি। এখন কোনোভাবে কি এই স্বপ্নটি ইস্তিখারার সাথে সম্পর্কিত?

1 Answer

0 votes
ago by (574,800 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا اقْتَرَبَ الزَّمَانُ لَمْ تَكَدْ رُؤْيَا الْمُسْلِمِ تَكْذِبُ وَأَصْدَقُكُمْ رُؤْيَا أَصْدَقُكُمْ حَدِيثًا وَرُؤْيَا الْمُسْلِمِ جُزْءٌ مِنْ خَمْسٍ وَأَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ وَالرُّؤْيَا ثَلاَثَةٌ فَرُؤْيَا الصَّالِحَةِ بُشْرَى مِنَ اللَّهِ وَرُؤْيَا تَحْزِينٌ مِنَ الشَّيْطَانِ وَرُؤْيَا مِمَّا يُحَدِّثُ الْمَرْءُ نَفْسَهُ فَإِنْ رَأَى أَحَدُكُمْ مَا يَكْرَهُ فَلْيَقُمْ فَلْيُصَلِّ وَلاَ يُحَدِّثْ بِهَا النَّاسَ "
মুহাম্মাদ ইবনু আবূ উমার আল-মাক্কী (রহঃ) ..... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন যুগ ও সময় (কিয়ামাতের) সন্নিকটে হয়ে আসবে তখন প্রায়শ (খাঁটি) মুসলিমের স্বপ্ন মিথ্যা ও ভ্রান্ত হবে না। তোমাদের (মাঝে) অধিক সত্যভাষী লোক সর্বাধিক সত্য (ও বাস্তব) স্বপ্নদ্রষ্টা হবে। আর মুসলিমের স্বপ্ন নুবুওয়াতের পয়তাল্লিশ ভাগের এক ভাগ। আর স্বপ্ন তিন (প্রকার)- ভাল স্বপ্ন আল্লাহর তরফ হতে সুসংবাদ (বাহক)। আর (এক ধরনের) স্বপ্ন শাইতানের পক্ষ হতে দুর্ভাবনা তৈরি করে। আর (এক ধরনের) স্বপ্ন যা মানুষ তার মনের সাথে কথা বলে (এবং ভাবনা-চিন্তা করে) তা থেকে (উদ্ভূত)।

অতএব তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু (স্বপ্ন) দর্শন করে- যা সে পছন্দ করে না, তাহলে সে যেন (ঘুম থেকে) উঠে দাঁড়ায় এবং সলাত (সালাত/নামাজ/নামায) আদায় করে আর মানুষের নিকট সে (স্বপ্নের) কথা গোপন রাখে।
(মুসলিম ৫৭৯৮, (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৭০৮, ইসলামিক সেন্টার ৫৭৪০)

ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার। 
,
১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।
তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
,
ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়। 

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
উক্ত স্বপ্নের আপনার মনের কল্পনা প্রসূত বলেই মনে হচ্ছে। সুতরাং চিন্তিত না হওয়ার পরামর্শ থাকবে। 

ইস্তিখারার সাথে আপনার উক্ত স্বপ্নের কোনো সম্পর্ক আছে বলে মনে হয়না।

সুতরাং পুনরায় ইস্তেখারা করার পরামর্শ থাকবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 156 views
...