আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
16 views
ago in সালাত(Prayer) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ

১.নামাজে সিজদা থেকে উঠার পর প্রথমে আল্লাহু আকবার এর "আল" বলেছি কিন্তু তা না পড়ে আর  রিপিট না আবার আলাদা করে করে আল্লাহু আকবার বলেছি। নামাজ কি হয়েছে? এবং এতে কি গুনাহ হয়েছে?
(যোহর এর শেষ ২ রাকাত সুন্নত ২২ ডিসেম্বর ২০২৪)

২.নামাজে রুকু থেকে উঠার পর রুকুর শেষ অংশ রিপিট করলে নামাজ কি ভেঙ্গে যাবে?এতে কি গুনাহ হয়?

৩.নামাজের ওয়াক্ত হওয়ার পরে নামাজ আদায়ে বিলম্ব করা কি জায়েজ? এবং এতে নামাজে সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
ago by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার নামাজ আদায় হয়ে গিয়েছে। গুনাহ হয়নি।

(০২)
রুকু থেকে উঠার পর রুকুর শেষ অংশ রিপিট করার বিষয়টি কমেন্ট বক্সে আরো স্পষ্ট আকারে উল্লেখ করলে জবাব প্রদানে সুবিধা হতো।  জাযাকাল্লাহ। 

(০৩)
https://ifatwa.info/109303/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 

সালাতের মুস্তাহাব সময়

ফজরের সালাত পুরষদের জন্য ফর্সা করে পড়া মুস্তাহাব। আর মহিলাদের জন্যে একটু অন্ধকারে পড়া মুস্তাহাব।

রাফি’ ইবনে খাদীজ (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেনরাসুলুল্লাহ (সা. ) বলেছেন,

"أَصْبِحُوا بِالصُّبْحِ فَإِنَّهُ أَعْظَمُ لأُجُورِكُمْ ". أَوْ" أَعْظَمُ لِلأَجْر" .

ভোরের আলো প্রকাশিত হলে ফজর সালাত আদায় করবে। কারণ এতে তোমাদের জন্য অত্যাধিক সওয়াব বা অতি উত্তম বিনিময় রয়েছে।’’ আবু দাউদ 424

ফজরের এই সময়টুকু দুই ভাগে ভাগ করা যায়। শরিয়তের পরিভাষায় প্রথম ভাগকে ‘গালাস’ আর দ্বিতীয় ভাগকে ‘ইসফার’ বলে। রাসূল সা.  অধিকাংশ সময় দ্বিতীয় অংশ তথা ইসফারে ফজরের সালাত আদায় করতেন। ফিকাহবিদগণ বলেনপ্রথম ভাগ তথা ‘গালাস’ এর সময় মহিলাদের আর দ্বিতীয় ভাগ তথা ‘ইসফার’ এর সময় পুরুষদের ফজর সালাত আদায় করা উত্তম। দুররুল মুখতার ০১/২৬৩আল- বাহরুর রায়েক ০১/২৪৪

,

গ্রীষ্মকালে যোহরকে শীতল করে পড়া মুস্তাহাব

আবু হুরায়রা (রাঃ) ও ‘আবদুল্লাহ্ ইবনে 'উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত আল্লাহ্র রাসূল (সা. ) বলেছেন,

إِذَا اشْتَدَّ الْحَرُّ فَأَبْرِدُوا عَنِ الصَّلاَةِ، فَإِنَّ شِدَّةَ الْحَرِّ مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ.

যখন গরমের প্রচণ্ডতা বৃদ্ধি পায়তখন গরম কমলে সালাত আদায় করবে। কেননাগরমের প্রচণ্ডতা জাহান্নামের নিঃশ্বাসের অংশ।’’ সহীহ বুখারী-533

,

আসরকে দেরী করে পড়া মুস্তাহাব

আলী ইবনে শায়বান (রাঃ) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,

قَدِمْنَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ فَكَانَ يُؤَخِّرُ الْعَصْرَ مَا دَامَتِ الشَّمْسُ بَيْضَاءَ نَقِيَّةً .

একদা আমরা মদীনা হয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.) এর কাছে গেলাম। সে সময় তিনি সূর্যের রং উজ্জ্বল থাকা পর্যন্ত আসরের সালাত বিলম্ব করে আদায় করলেন।’’ আবু দাউদ ৪০৮

,

মেঘাচ্ছন্ন দিনে তাড়াতাড়ি আসরের সালাত পড়া মুস্তাহাব

বুরায়দাহ আল-আসলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেনআমরা রাসুলুল্লাহ (সা. ) এর সাথে এক যুদ্ধে যোগদান করেছিলাম। তিনি সা.  বলেন,

بَكِّرُوا بِالصَّلاَةِ فِي الْيَوْمِ الْغَيْمِ فَإِنَّهُ مَنْ فَاتَتْهُ صَلاَةُ الْعَصْرِ حَبِطَ عَمَلُهُ

তোমরা মেঘাচ্ছন্ন দিনে তাড়াতাড়ি (প্রথম ওয়াক্তে) সালাত আদায় করবে। কারণ যার আসরের সালাত ছুটে যায় তার আমল বিনষ্ট হয়ে যায়।’’ ইবনে মাজাহ 694

,

মাগরিবের সালাতের মুস্তাহাব সময়

মারসাদ ইবনে ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতরাসূল সা. বলেন,

لاَ تَزَالُ أُمَّتِي بِخَيْرٍأَوْ قَالَ عَلَى الْفِطْرَةِ مَا لَمْ يُؤَخِّرُوا الْمَغْرِبَ إِلَى أَنْ تَشْتَبِكَ النُّجُومُ

আমার উম্মাত ততদিন কল্যাণের মধ্যে থাকবে অথবা মূল অবস্থায় থাকবে যতদিন তারা মাগরিবের সালাত আদায়ে তারকা উজ্জ্বল হওয়া পর্যন্ত বিলম্ব করবে না।’’ আবু দাউদ 418

,

এশার সালাতের মুস্তাহাব সময়

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেননবী (সা. ) বলেছেন,

لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي لأَمَرْتُهُمْ أَنْ يُؤَخِّرُوا الْعِشَاءَ إِلَى ثُلُثِ اللَّيْلِ أَوْ نِصْفِهِ

যদি আমি আমার উম্মাতের জন্য কষ্টকর হবে বলে মনে না করতামতাহলে তাদেরকে এশার সালাত রাতের এক তৃতীয়াংশ অথবা অর্ধরাত পর্যন্ত দেরি করে আদায়ের নির্দেশ দিতাম।’’ তিরমিযী 167


★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
নামাজের ওয়াক্ত হওয়ার পরে নামাজ আদায়ে বিলম্ব করা জায়েজ আছে। এবং এতে নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।

তবে বিনা ওযরে ঈশার নামাজ রাতের শেষ তৃতীয়াংশে পড়া মাকরুহ।
এক্ষেত্রে ঈশার নামাজ আদায় হয়ে গেলেও গুনাহ থেকে মুক্ত নয়।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

ago by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর আমাকে এই প্রশ্নের জবাব টা দিবেন প্লিস,

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...