وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়তের বিধান হলোঃ দাড়িকে নিয়ে কেহ যদি ঠাট্রা করে,বিরুপ মন্তব্য করে,তাহলে সে মুরতাদ হয়ে যাবে।
(আপকে মাসায়েল আউর উনকা হল ৭/৮৮)
★প্রশ্নের বিবরণ মতে তার মায়ের ঈমান চলে যাবেনা।
এখানে তার মা দাড়ি নিয়ে ঠাট্রা বা কটুক্তি করেনি।
আরো জানুনঃ-
(০২)
শরীয়তের বিধান হলো কোনো অভিজ্ঞ ডাক্তার যদি কোনো অসুস্থ ব্যাক্তি সম্পর্কে বলে যে তাকে রক্ত দেওয়া ব্যাতিত তার বেঁচে থাকা মুশকিল,তাহলে তাকে রক্ত দেওয়া যাবে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৬/২০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عن مسروق قال: من اضطرب إلی المیتۃ والدم ولحم الخنزیر فلم یأکل ولم یشرب حتی یموت دخل النار۔ (السنن الکبریٰ للبیہقي ۱۴؍۳۸۲ رقم: ۲۰۱۹۶)
সারমর্মঃ
যে ব্যাক্তি মুরদাহ খাওয়ার উপর নিরুপায় হয়ে যায়,অথবা রক্ত,শুকরের গোশত খাওয়ার উপর নিরুপায় হয়ে যায়,অতঃপর তাহা না খেয়ে মারা যায়,তাহলে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
অসুস্থ ব্যক্তিকে রক্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে-
এক. যখন কোনো অসুস্থ ব্যক্তির জীবননাশের আশঙ্কা দেখা দেয় এবং অভিজ্ঞ ডাক্তারের মতে তার শরীরে অন্যের রক্ত দেওয়া ছাড়া বাঁচানোর কোনো পন্থা থাকে না, তখন রক্ত দিতে কোনো অসুবিধা নেই। বরং এ ক্ষেত্রে ইসলাম রক্তদানে উৎসাহ দিয়েছে।
দুই. রক্ত দেওয়া প্রয়োজন। অর্থাৎ অসুস্থ ব্যক্তির মৃত্যুর আশঙ্কা নেই, কিন্তু রক্ত দেওয়া ছাড়া তার জীবনের ঝুঁকি বেড়ে যাবে অথবা রোগমুক্তি বিলম্বিত হয়; এমন অবস্থায় রক্ত দেওয়া আবশ্যিক জায়েজ।
তিন. যখন রোগীর শরীরে রক্ত দেওয়ার খুব বেশি প্রয়োজন দেখা দেয় না, বরং রক্ত না দেওয়ার অবকাশ থাকে; তখন অযথা রক্ত দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
চার. যখন জীবননাশের এবং অসুস্থতা দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না, বরং শুধু শক্তি বৃদ্ধি এবং সৌন্দর্যবর্ধনের উদ্দেশ্য থাকে; সে অবস্থায় ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক রক্তদান জায়েজ নয়।
(জাওয়াহিরুল ফিকহ, খ-: ২, পৃষ্ঠা: ৩৮)
রক্ত বিক্রি করা নাজায়েয। তাই রক্ত দিয়ে বিনিময়ে কোনো কিছু নেওয়া জায়েয হবে না। রক্ত দিলে সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই দিতে হবে।
(বাদায়েউস সানায়ে ৪/৩৩৮,আল বাহরুর রায়েক : ৬/১১৫, জাওয়াহিরুল ফিকহ : ২/৩৮)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই,
উপরোক্ত শর্তের ভিত্তিতে কাউকে ব্লাড দেয়া জায়েজ আছে।
তবে বিনিময়ে কিছু নেয়া জায়েজ নেই।
হ্যাঁ যদি আপনার নিষেধাজ্ঞার পরেও তারা যদি বারবার জোড়পূর্বক হাদিয়া নিতে করে,আপনি যদি বাধ্য হয়ে নিয়ে ফেলেন,সেক্ষেত্রে কেউ কেউ গ্রহনের অনুমতিও দিয়েছেন।
তবে গ্রহন না করা বা বাধ্য হয়ে গ্রহন করলেও তাহা গরিব মিসকিনকে দান করে দেয়াই সতর্কতা।।