আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
84 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (19 points)
আসসালামু আলাইকুম
সব কিছু একটু বিস্তারিত বলছি।সব গুলো প্রশ্নের উত্তর বুঝিয়ে বলার অনুরোধ রইলো।নয়তো আমার মনে সংকোচ, ভয় সন্দেহ থেকেই যাবে।

আমি শুনেছি ব্যবসা করার সময় মিথ্যা কথা বললে ওই ব্যবসা হারাম, ইনকাম ও হারাম।

আমার আব্বু ফ্রিজ,কাঠের ফার্নিচার, রড এসবের ব্যবসা করে। আমার ধারণা আব্বুও হয়তো কম বেশ মিথ্যা কথা বলে। মাল বিক্রির জন্য বা কিছু লাভের জন্য আমার মনে হয় সব ব্যবসায়ীরাই কিছু না কিছু মিথ্যা কথা বলে।

তো এক্ষেত্রে আমার আব্বুর ব্যবসা তো হারাম।
আমার আব্বুর আরেকটা ইনকাম সোর্স হচ্ছে দোকান ভাড়া।বছর শেষে কয়েক লক্ষ টাকা দোকান ভাড়া হিসেবে পায়।যেটা হালাল আলহামদুলিল্লাহ।
১।এখন আমার প্রশ্ন আমি প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে।অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পড়ছি।নিজের কোন ইনকাম সোর্স নেই।সম্পূর্ণ আব্বুর উপর নির্ভরশীল।

আমি যদি মনে মনে নিয়্যাত করি আব্বুর হালাল টাকা থেকে আমার সব প্রয়োজন মেটাচ্ছি তাহলেও কি আমার হারাম খাওয়া হবে?
২।আমি জানি না আব্বু দোকান ভাড়া কোন কাজে ব্যবহার করে, তবুও যদি এই নিয়্যাত করি তাহলে হবে?
৩।প্রাপ্ত বয়স্কদের নাকি মাহরামের ইনকাম হারাম হলে নিজে ইনকাম করতে হয়।কিন্তু আমি যেহেতু মেয়ে বাহিরে বের হয়ে ইনকাম করতে গেলে পর্দার সমস্যা হবে প্লাস অনেক ইন্ট্রোভার্ট হওয়ায় ঘরে বসে কিছু করবো যে তাও সুযোগ নাই।আমি কোন ইনকামের পথ ও খুজে পাচ্ছি না, এখন আমার জন্য হুকুম কি? আমাকে ইনকাম করার চেষ্টা করতে হবে?
৪।আব্বু অনেক বছর ধরে ব্যবসা করে। প্রায় ১৭/১৮ বছর হবে এমন। এত বছর হারাম খেয়ে আসছি যেহুতু কখনো যদি আমার সামর্থ্য হয় তাহলে কি সব টাকা দান করে দিতে হবে?
৫।আমি তো হিসাব জানি না সেক্ষেত্রে কিভাবে হিসেব করবো?

৬।আর যদি কখনো সামর্থ্য না হয় সেক্ষেত্রে কি করা উচিত?
দয়া করে ৬ টা প্রশ্নেররই উত্তর দিবেন, প্লিজ।
জাযাকাল্লাহ খইরান

1 Answer

0 votes
by (604,200 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বাবার ইনকাম হারাম হলেও বাবার উপর শরীয়ত কর্তৃক মেয়েকে লালন পালন করা ওয়াজিব।হারাম খাওয়ানোর দরুণ বাবাকে জবাবদিহি করতে হবে।তবে মেয়ে নিরাপরাধ হিসেবেই থাকবে। নাবালক ছেলে সন্তান এবং সকল বয়সের মেয়ে সন্তানের লালনপালনের দায়িত্ব নিকটাত্মীয় মাহরাম পুরুষের উপর।পিতা,ভাই,চাচা ইত্যাদি মাহরাম পুরুষরা ধারাবাহিক মেয়ে সন্তানদের লালন-পালনের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। এটা তাদের উপর ওয়াজিব।তারা এ দায়িত্ব পালন না করলে গোনাহগার হবে।
ونفقة البنت بالغة والابن بالغا زمنا أو أعمى على الأب خاصة به يفتى 
বালেগ মেয়ে এবং বালেগ পঙ্গু বা অন্ধ ছেলের ভরণপোষণের দায়িত্ব পিতার উপর।এটার উপরই ফাতাওয়া।(আল-উকুদুদ-দুররিয়া-১/৮২) বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/2362


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার ভয়ের কোনো কারণ নাই। যেহেতু আপনি মেয়ে, তাই বাবার ইনকাম হারাম হলেও আপনার জন্য বাবার ইনকাম থেকে গ্রহণ করা হবে না। যদি বাবার ইনকাম হারাম থাকে, তাহলে গোনাহ বাবারই হবে।আপনার কোনো গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আমি যা,যা প্রশ্ন করেছি তার উত্তর দিন প্লীজ। এভাবে ছোট করে উত্তর দিলে পেরেশানি কমে না।
দয়া করুন প্লীজ। 
আমি যে নিয়্যাত করতে চাচ্ছি তা করতে পারবো কিনা।
ইনকাম করার চেষ্টা করা উচিত কিনা
সামর্থ হলে টাকা দান করতে হবে নাকি
সামর্থ না হলে কি করবো
আল্লাহর দুহাই লাগে সব বলেন প্লিজ 
by (604,200 points)
জ্বী, বলছি, একটু অপেক্ষা করুন।
by (604,200 points)

(১) আপনি প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে।অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পড়ছেন।নিজের কোন ইনকাম সোর্স নেই।সম্পূর্ণ আব্বুর উপর নির্ভরশীল। আপনি যদি মনে মনে নিয়্যাত করেন যে, আব্বুর হালাল টাকা থেকে আপনার সব প্রয়োজন মেটাচ্ছেন, তাহলেও আপনার হারাম খাওয়া হবে না।

(২)আমি জানেন না যে, আব্বু দোকান ভাড়া কোন কাজে ব্যবহার করেন, তবুও যদি এই নিয়্যাত করেন,  তাহলেও হারাম হবে না।

(৩)প্রাপ্ত বয়স্কদের ছেলেদের মাহরামের ইনকাম হারাম হলে নিজে ইনকাম করতে হয়।কিন্তু আপনি যেহেতু মেয়ে, বাহিরে বের হয়ে ইনকাম করতে গেলে পর্দার সমস্যা হবে, প্লাস অনেক ইন্ট্রোভার্ট হওয়ায় ঘরে বসে কিছু করবেন, যে তাও সুযোগ নাই। তাছাড়া আপনি কোন ইনকামের পথ ও খুজে পাচ্ছেন না, এখন আপনার জন্য বাবার ইনকাম হারাম হবে না।

(৪) আব্বু অনেক বছর ধরে ব্যবসা করে। প্রায় ১৭/১৮ বছর হবে এমন। এত বছর হারাম খেয়ে আসছেন, যেহুতু আপনি মেয়ে তাই কোনো সমস্যা নেই। পরবর্তীতে সামর্থ্যে হলে দান করা জরুরী নয়।তবে দান করলে ভালো হবে।

(৫) অনুমান করে হিসেব করবেন।

৬।আর যদি কখনো সামর্থ্য না হয়,তাহলে তো কোনো সমস্যাই নাই। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...