আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
75 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (34 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
১.আগে আমার বাবা সুদ ভিত্তিক লোন নিয়ে ব্যবসা করতো। কিন্তু বর্তমানে তিনি সুদবিহীন  লোন নিয়ে হালালভাবে ব্যবসা করছে। এখন তিনি যখন সুদভিত্তিক  লোন নিয়ে  ব্যবসা করতেন তখন তিনি যেসব জিনিসপত্র আমাদের ব্যবহারের জন্য ক্রয় করেছিলেন যেমন :শীতের জামা- কাপড়, লেপ- কম্বল বালিশ ইত্যাদি এখন এগুলো কি আমি ইচ্ছামতো ব্যবহার করতে পারব নাকি যতটুকু না হলেই না ততটুকু ব্যবহার করবো??

 মানে মনে করেন একটা সোয়েটার পড়লে শীত চলে যায় কিন্তু তাও হালকা হালকা শীত লাগে তাই আমি কি আমার সুবিধামতো যে কয়টা পড়লে আরাম হয় সে কয়টা বালিশ,, লেপ, কোলবালিশ সোয়েটার ইত্যাদি ব্যবহার   করতে পারবো নাকি একটু কষ্ট করে ঠান্ডা সহ্য করবো??

২.আবার আমার বাবাকে যখন সুদ ভিত্তিক  লোন নিয়ে ব্যবসা করতো তখন  ভালো ব্যবসা করার কারণে বাবাকে বাবার  কোম্পানি ফোন দিয়েছিল। এখন এই ফোনটা আমি ব্যবহার করি। এখন আমি কি আমার ইচ্ছামতো ফোন  ব্যবহার করতে পারব যেমন যখন মন চায় তখনই ফেসবুক, youtube ব্যবহার করতে পারব নাকি যতটুকু নিতান্তই দরকার ততটুকু ব্যবহার করতে পারো???

৩.আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
কোন হুজুর  বা   কোনো শায়েখ বা অন্য কোনো সাধারণ ছেলে মানুষের সাথে ইনবক্সে মেসেজের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কথা  বলা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বাবার ইনকাম হারাম হলে,
সাবালক ছেলে বাবার ইনকাম থেকে কিছুই গ্রহণ করতে পারবেনা।
তবে যদি সে অপারগ থাকে,তাহলে পরবর্তীতে ঐ টাকা সদকাহ করার নিয়তে হিসেব করে করে বাবার কাছ থেকে আপাতত নিতে পারবে।

মেয়ের বাবার ইনকাম যদি হারাম হয়,এবং ঐ বাবার মেয়ে যদি দ্বীনদ্বার হয়,তাহলে এমন মেয়েকে বিয়ে করতে কোনো অসুবিধে নাই।
কেননা বাবার ইনকাম হারাম হলেও বাবার উপর শরীয়ত কর্তৃক মেয়েকে লালন পালন করা ওয়াজিব।হারাম খাওয়ানোর দরুণ বাবাকে জবাবদিহি করতে হবে।তবে মেয়ে নিরাপরাধ হিসেবেই থাকবে।
নাবালক ছেলে সন্তান এবং সকল বয়সের মেয়ে সন্তানের লালনপালনের দায়িত্ব নিকটাত্মীয় মাহরাম পুরুষের উপর।পিতা,ভাই,চাচা ইত্যাদি মাহরাম পুরুষরা ধারাবাহিক মেয়ে সন্তানদের লালন-পালনের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। এটা তাদের উপর ওয়াজিব।তারা এ দায়িত্ব পালন না করলে গোনাহগার হবে।
ونفقة البنت بالغة والابن بالغا زمنا أو أعمى على الأب خاصة به يفتى 
বালেগ মেয়ে এবং বালেগ পঙ্গু বা অন্ধ ছেলের ভরণপোষণের দায়িত্ব পিতার উপর।এটার উপরই ফাতাওয়া।(আল-উকুদুদ-দুররিয়া-১/৮২) বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/2362

কতটুকু খাবার খাওয়া জায়েয?
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/3799


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
নাবালক ছেলে সন্তান ও সকল বয়সের মেয়ে সন্তানের ভরণপোষণ যেহেতু বাবার উপর ওয়াজিব।তাই বাবার হারাম ইনকাম থেকে তাদের জন্য জরুরত অনুযায়ী গ্রহণ করা জায়েয। শীতের কাপড় মুবাইল ইত্যাদি অতি প্রয়োজনীয় জিনিষকে জরুরত পর্যন্ত গ্রহণ করা যাবে।

(২) আপনি শুধুমাত জরুরত পর্যন্ত উক্ত মুবাইল ব্যবহার করতে পারবেন।
(৩)
বিশেষ জরুরত হলে ইনবক্সে মেসেজের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কথা  বলা যাবে। এত কোনো গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...