আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
80 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (34 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
আমার আগের প্রশ্নের উত্তরে বলা হয়েছে,, বাবার  ইনকাম  হারাম হলে প্রয়োজন অনুযায়ী খরচ করা যাবে।
আমি এখানে প্রয়োজনে অর্থটা বুঝতে চাই। মনে করুন একটা জিনিস হলেও চলে না হলেও চলে। যেমন : আমার ক্ষুদা লেগেছে। আমি চাইলে খুব কষ্ট করে না খেয়ে থাকতে পারি। আবার কম খেয়েও কষ্ট করে থাকতে পারি।এখন আমার জন্য কি উচিত হবে যে  বাবার টাকা খাবার না পেট ভরে না খেয়ে পেটে ক্ষুধা রেখে খাওয়া।  অথবা দিনে তিনবার চারবার খাওয়ার পরিবর্তে  পরিবর্তে এক দুইবার খেয়ে থাকা। প্রয়োজন বলতে কি এটাই বোঝানো হয়েছে?? একইভাবে ঘুমানোর সময় আমি চাইলেই বালিশ, কোলবালিশ,, কাঁথা এগুলো ছাড়াই ঘুমাতে পারি।   এগুলো তো আমার হলেও চলে না হলেও চলে। একইভাবে আমি ফোন ব্যবহার করি, ফোনে বিভিন্ন রকম শিক্ষামূলক ভিডিও দেখি। এটার মধ্যে কিছু ভিডিও আমার দেখলেও চলে  আবার না দেখলেও চলে। না দেখলে হয়তো একটু অসুবিধা হবে। কিন্তু তারপরও ম্যানেজ করে চলা যায়।এখন আমি কি এগুলো দেখবো না একইভাবে ধরুন আম্মু প্রতিদিন যে খাবারগুলো রান্না করে সেগুলো আমি খেলাম। মাঝে মাঝে  আম্মু সন্ধ্যার নাস্তা বানাই, স্পেশাল কিছু খাবার বানায় যেমন: পোলাও,, মাংস বানায়। যেগুলো আমার খেলেও চলে না খেলেও চলে। আমি কি এগুলো খাবো না?? একইভাবে আবার বাবা কখনো শখ করে বাইরে থেকে আমার জন্য নানা রকমের খাবার কিনে আনে।এগুলো আমার জন্য না খেলেও চলে। আমি কি খাবো না? একইভাবে  পড়াশোনার জন্য খাতা কলম দরকার হয়,, বই দরকার হয়।  এগুলো কখনো কখনো খুব বেশি একটা জরুরি দরকার হয় না। তবে হলে ভালো হয়,, না হলেও হালকা পাতলা অসুবিধা হয়। এ সকল ক্ষেত্রে আমার কি করা উচিত?? আমি কি এগুলো সব থেকে বিরত থাকবো??? পপ্রয়োজন কথাটার ব্যাপক অর্থ বুঝতে চাইছি। উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো দৈনন্দন জীবনের জন্য প্রয়োজনীয়। এগুলো না হলে অসুবিধা হয়। তবে অসুবিধা গুলোর জন্য যে মরে যেতে হয় বিষয়টা তা না। তবে চলতে ফিরতে কষ্ট হয়। তো আমার কি উচিত হবে বাবার টাকা থেকে এগুলো ব্যয় না করে বরং কষ্ট করে থাকা? আরেকবার আমি বিষয়টি বলছি..বাবা আমার জন্য বাইরে থেকে নানা রকম খাবার কিনে আনে। এগুলো কি আমি খাবো না?? এগুলো খাওয়ার সময় আমার বাড়ির কাজের মহিলারা থাকে,, তাদেরকে না দিয়ে খাওয়া যায় না। আমি কি তাদেরকে দেবো না?? দয়া করে আমাকে স্পষ্ট করে উত্তর দিবেন।
২.আমার আগের আগের প্রশ্নের উত্তরে সম্মানিত মুফতি সাহেব  যা বলেছেন আপনি কপি করছি নিচে.......

ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা করলে ইনকাম হারাম হবে কিনা,সেটি নির্ভর করবে লোন পরিশোধ করছে কোন টাকা দিয়ে,সেটির উপর।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যদি প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার বাবা হালাল টাকায় লোন শোধ করে,তাহলে উক্ত লোনের টাকায় কৃত ব্যবসার পুরোটা হালাল থাকবে।

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এক্ষেত্রে আপনি আপনার বাবার ইনকাম থেকে ইচ্ছামতো খরচ করতে পারবেন।
প্রয়োজনের চাইতে বেশি খরচ করা যাবে।
আপনি ইচ্ছামতো খরচ করতে পারবেন।

আর যদি আপনার বাবা হারাম টাকায় লোন শোধ করে,তাহলে উক্ত লোনের টাকায় কৃত ব্যবসার ইনকাম পুরোটা হারাম হবে।

এক্ষেত্রে আপনি মেয়ে বা নাবালেগ ছেলে হলে আপনার বাবার ইনকাম থেকে ইচ্ছামতো খরচ করতে পারবেননা।
প্রয়োজনের চাইতে বেশি খরচ করা

কিন্তু কিন্তু শায়খ আহমদুল্লাহ উনি বলছেন ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা করলেই তা হারাম  হবে। ইউটিউবে ভিডিও লিংকটা দিচ্ছি,,  https://youtube.com/shorts/FhQegAWa3Jw?si=sxRZzAWlLfT9BHwM

এখানে তো অন্য কথা বলছে। তাহলে আপনাদের উত্তর কি ভুল হয়েছে কোথাও। একটু দেখবেন প্লিজ।

3.আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
আমার বাবা ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে টিনের ব্যবসা করে। তিনি নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে থাকেন.......
ইসলামী ব্যাংক সরাসরি নগদ টাকা দেয় না। আমার বাবা  যে কোম্পানির সাথে ব্যবসা করে,বাবা যদি সেই কোম্পানি থেকে মাল কিনতে চাই তাহলে ব্যাংকে গিয়ে বলে। ব্যাংক তখন কোম্পানির কাছে টাকা পাঠিয়ে দেয়। তখন কোম্পানি আবার সেই টাকার মাল বাবার কাছে পাঠিয়ে দেয়। আর বছর শেষে ওই টাকার উপর মুনাফা দিতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে ব্যাংক বলছে, তারা যে টাকা মুনাফা নিচ্ছে তার সুদ না। বরং তারা যে মাল কিনে দিচ্ছে ওই মাল কিনে দেওয়া বাবদ বাবার কাছ থেকে লাভ নিচ্ছে।যেমন ভাবে বিক্রেতা লাভ রেখে ক্রেতার কাছে মাল বিক্রি করে সেইভাবে। এ পদ্ধতিটা কি শরীয়ত সম্মত?? বাবা ওই মাল বিক্রি করে ধীরে ধীরে ব্যাংকের টাকা পরিশোধ করে আর সংসারের খরচ করে এখন  আমার বাবার কি হারাম নাকি হালাল?আমি যে তার টাকে ইচ্ছামতো ব্যবহার করতে পারবো??
by (715,680 points)
+1
একাধিক আলেমের মতামত মানা কখনই এক হবে না।সুতরাং আপনাকে যে কোনো একজন আলেমের কথাই মানতে হবে।আমাদের কথা ভুল হয় নাই।

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, 
عن أبي سعيد الخدري رضي الله عنه قال: جاء بلال إلى النبي صلى الله عليه وسلم بتمر برني، فقال له النبي صلى الله عليه وسلم: "من أين هذا؟"، قال بلال: كان عندنا تمر رديء، فبعت منه صاعين بصاع؛ ليطعم النبي صلى الله عليه وسلم، فقال النبي صلى الله عليه وسلم عند ذلك: "أوه عين الربا، عين الربا، لا تفعل، ولكن إذا أردت أن تشتري، فبع التمر ببيع آخر، ثم اشترِ به".
 তিনি বলেন, বিলাল (রাঃ) কিছু বরনী খেজুর (উন্নত মানের খেজুর) নিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আসেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, এগুলো কোথায় পেলে? বিলাল (রাঃ) বললেন, আমাদের কাছে কিছু নিকৃষ্ট মানের খেজুর ছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে খাওয়ানোর উদ্দেশ্যে তা দু’সা’ বিনিময়ে এক সা’ কিনেছি। এ কথা শুনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হায়! হায়! এটাতো একেবারে সূদ! এটাতো একেবারে সূদ! এরূপ করো না। যখন তুমি উৎকৃষ্ট খেজুর কিনতে চাও, তখন নিকৃষ্ট খেজুর ভিন্নভাবে বিক্রি করে দাও। তারপর সেই মূল্যের বিনিময়ে উৎকৃষ্ট খেজুর কিনে নাও।(সহীহ বোখারী-২১৬২,সহীহ মুসলিম-৩৯৩৮)


 عن أبي سعيد الخدري وأبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم استعمل رجلًا على خيبر فجاءه بتمر جنيب، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: "كل تمر خيبر هكذا" فقال: لا والله يا رسول الله، إنا لنأخذ الصاع من هذا بالصاعين، والصاعين بالثلاثة، فقال: "لا تفعل، بع الجمع بالدراهم، ثم ابْتَعْ بالدراهم جنيبًا"، 
২০৬১. কুতায়বা (রহঃ) ... আবূ সাঈদ খুদরী ও আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যাক্তিকে খায়বারে তহসীলদার নিযুক্ত করেন। তিনি জানীব নামক (উত্তম) খেজুর নিয়ে উপস্থিত হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন, খায়বারের সব খেজুর কি এ রকমের? সে বলল, না, মহান আল্লাহর কসম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এরূপ নয়, বরং আমরা দুই সা’ এর পরিবর্তে এ ধরনের এক সা’ খেজুর নিয়ে থাকি এবং তিন সা’ এর পরিবর্তে এর দুই সা’। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এরূপ করবে না। বরং মিশ্রিত খেজুর দিরহামের বিনিময়ে বিক্রি করে দিরহাম দিয়ে জানীব খেজুর খরিদ করবে।(সহীহ বোখারী-২০৬১)

وفي رواية: بعث أخا بني عدي من الأنصار إلى خيبر، فأمَّره عليها. المتزهدين جواز اختيار طيب الطعام، وجواز الوكالة في البيع وغيره، وفيه أن البيوع الفاسدة ترد( فتح الباري: (4/ 400)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণমতে ব্যাংক যদি পণ্য ক্রয় করে আপনার বাবাকে বাকীতে বেশ মূল্যে পণ্য হস্তান্তর করে, এবং পরবর্তীতে কিস্তিতে আপনার বাবা সেই টাকা পরিশোধ করেন, তাহলে সুদ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...