ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।
বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।
জবাবঃ
https://www.ifatwa.info/2187
নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
বালিগ হওয়ার বৎসর বয়স থেকে যতটা রমজান অতিবাহিত হয়েছে। এর মধ্যে
যতটা রোযা রাখা হয়নি বা নিয়তই করা হয়নি। সেগুলোকে হিসেব করে শুধুমাত্র কাযা করে নিলেই
হবে। কাফফারার কোনো প্রয়োজন এক্ষেত্রে নেই। আর যে সমস্ত রোযা রেখে তারপর ভেঙ্গে
দেওয়া হয়েছে। যেমন ইচ্ছাকৃত খানা খাওয়ার মাধ্যমে অথবা স্ত্রী সহবাসের মাধ্যমে একটি
ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এ রোযার কাফফারা আদায় করতে
হবে।
ভেঙ্গে ফেলা রোযা সমূহের কয়টি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে? ছুটে যাওয়া প্রত্যেকটি রোযার জন্য কি পৃথক পৃথক কাফ্ফারা আদায়
করতে হবে? নাকি সবগুলোর জন্য একটি কাফ্ফারাই যথেষ্ট হবে?
প্রতিউত্তরে বলা যায়-এ সম্পর্কে সর্বমোট তিনটি মতামত পাওয়া যায়।
এর মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য অভিমত হচ্ছে-
প্রতিটি রোযার জন্য পৃথক পৃথক কাফ্ফারা যদিও আসার কথা ছিলো।
কিন্তু যেহেতু এটা মানুষের জন্য অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। তাই ফুকাহায়ে কেরাম সহজতার স্বার্থে
বলেন যে,
অতীতের যতগুলো রোযা স্ত্রী সহবাসের মাধ্যমে ভঙ্গ হয়েছে সেই সবগুলোর
জন্য একটি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে এবং স্ত্রী সহবাস ব্যতীত অন্য কোনো মাধ্যম তথা খানাপিনার
মাধ্যমে যতগুলো রোযা ভঙ্গ হয়েছে সেই সবগুলোর জন্য পৃথক একটি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে।
(আহসানুল ফাতাওয়া-৪/৪৩৪)
মোটকথাঃ
জীবনে যত ফরয রোযা পানাহারের মাধ্যমে ভঙ্গ করা হয়েছে, তার জন্য একটি কাফ্ফারা আসবে এবং একটি কাফ্ফারাই উক্ত সকল রোযার
জন্য যথেষ্ট হবে। ঠিক এভাবে যত রোজা সহবাসের মাধ্যমে ভঙ্গ করা হয়েছে তার জন্য একটি
কাফ্ফারা আসবে। কাফফারা সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/102
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. ইচ্ছাকৃত শুধু রমজানের রোজা ভেঙ্গে ফেলার দ্বারা কাফফারা
আসে। অন্য রোজার ক্ষেত্রে আসে। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যদি রমজানের রোজা হয়ে
থাকে একটি কাফফারা অর্থাৎ ৬০ টি রোজা লাগাতার রাখতে হবে এবং ৩০ টি রোজা কাযা আদায়
করে দিতে হবে। তাহলেই যথেষ্ট হবে ইনশাআল্লাহ।
২. অর্ধদিনের আগে বলতে যোহরের সালাতের সময় শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগ পর্যন্ত করা যাবে।
৩. না, রোজা অবস্থায় ভুল করে কিছু খেলে রোজা ভঙ্গ হয় না।